৫ মিশ্র বেহাগ-খাম্বাজ — দাদরা কেন কাঁদে পরান কী বেদনায় কারে কহি সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি রহি॥ সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে, সাতাশ তারার সতিন-সাথে সে যে ঘুরে মরে, কেমনে ধরি সে চাঁদেContinue Reading

৬ সিন্ধু-ভৈরবী—কাহারবা মৃদুল বায়ে বকুল ছায়ে গোপন পায়ে কে ওই আসে। আকাশ-ছাওয়া চোখের চাওয়া উতল হাওয়া কেশের বাসে॥ উষার রাগে সাঁঝের ফাগে যুগল তাহার কপোল রাঙে, কমল দুলে সূরয শশী নিশীথ-চুলে আঁধার-রাশে॥ চরণ-ছোঁয়ায় পাতার ঠোঁটেContinue Reading

৭ ভৈরবী-আশাবরী — কাহারবা কে বিদেশি মন-উদাসী বাঁশির বাঁশি বাজাও বনে। সুর-সোহাগে তন্দ্রা লাগে কুসুম-বাগের গুল্-বদনে॥ ঝিমিয়ে আসে ভোমরা-পাখা, যূথীর চোখে আবেশ মাখা, কাতর ঘুমে চাঁদিমা রাকা (ভোর গগনের দর-দালানে) দর-দালানে ভোর গগনে॥ লজ্জাবতীর লুলিতContinue Reading

৮ সিন্ধু—কাওয়ালি করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব। হায় সাকি এ আঙ্গুরি খুন, নয় ও হিয়ার খুন-খারাব॥ দুর্দিনের এই দারুণ দিনে শরণ নিলাম পানশালায়, হায় শাহারার প্রখর তাপে পরান কাঁপে দিল্-কাবাব॥ আরContinue Reading

৯ মান্দ্—কাওয়ালি এত জল ও-কাজল-চোখে পাষাণী, আনলে বল কে। টলমল জল-মোতির মালা দুলিছে ঝালর-পলকে॥ দিল কি পুব্-হাওয়াতে দোল, বুকে কি বিঁধিল কেয়া? কাঁদিয়া কুটিলে গগন এলায়ে ঝামর-অলকে॥ চলিতে পৈচি কি হাতের বাধিল বৈঁচি-কাঁটাতে? ছাড়াতে কাঁচুলিরContinue Reading

১০ ভীমপলশ্রী—দাদরা আসে বসন্ত ফুলবনে সাজে বনভূমি সুন্দরী। চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি॥ ফুলরেণু-মাখা দখিনা বায় বাতাস করিছে বনবালায়, বনকরবী-নিকুঞ্জছায় মুকুলিকা ওঠে মুঞ্জরি॥ কুহু আজি ডাকে মুহুমুহু, ‘পিউ কাঁহা’ কাঁদে উহু উহু পাখায় পাখায়Continue Reading

১১ কাফি-সিন্ধু — কাহারবা দুরন্ত বায়ু পুরবৈয়াঁ বহে অধীর আনন্দে। তরঙ্গে দুলে আজি নাইয়া রণ-তুরঙ্গ-ছন্দে॥ অশান্ত অম্বর-মাঝে মৃদঙ্গ গুরুগুরু বাজে, আতঙ্কে থরথর অঙ্গ মন অনন্তে বন্দে॥ ভুজঙ্গী দামিনীর দাহে দিগন্ত শিহরিয়া চাহে, বিষণ্ণ-ভয়-ভীতা যামিনী খোঁজেContinue Reading

১২ বাগেশ্রী-পিলু—কাহারবা চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে। জানিতে নাইকো বাকি সই ও আঁখি কী জাদু জানে॥ একে ওই চাউনি বাঁকা সুরমা-আঁকা, তায় ডাগর আঁখি। বধিতে তায় কেন সাধ যে মরেছে ওইContinue Reading

১৩ পিলু — দাদারা পরান-প্রিয়! কেন এলে অবেলায়। শীতল হিমেল বায়ে ফুল ঝরে যায়॥ সেদিনও সকাল বেলা খেলেছি কুসুম-খেলা, আজি যে কাঁদি একেলা এ ভাঙা মেলায়, কেন এলে অবেলায়॥ ক্লান্ত দিবস দূরে কাঁদিছে পিলুর সুরে,Continue Reading

১৪ ভৈরবী—যৎ সখী জাগো, রজনী পোহায়। মলিন কামিনী-ফুল যামিনী-গলায়॥ চলিছে বধূ সিনানে বসন না বশ মানে, শিথিল আঁচল টানে পথের কাঁটায়॥Continue Reading

১৫ ভৈরবী — কাহারবা নিশি ভোর হল জাগিয়া পরান-পিয়া। কাঁদে ‘পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পরান-পিয়া॥ ভুলি বুলবুলি-সোহাগে কত গুলবদনী জাগে, রাতি গুলশনে যাপিয়া পরান-পিয়া॥ জেগে রয় জাগার সাথী দূরে চাঁদ, শিয়রে বাতি, কাঁদি ফুল-শয়ন পাতিয়া, পরান-পিয়া॥Continue Reading

১৬ বৃন্দাবনী সারঙ—মিশ্র দাদরা এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো ছলিতে। কেন পুন বাঁশি বাজালে কাফি-ললিতে॥ নিশীথ গভীরে কেন আঁখি-নীরে এলে ফিরে ফিরে গোপনকথা বলিতে॥ দলিত কুসুম-দলে রচিয়াছি শয়ন অন্ধ তিমির রাতি, নিবু-নিবু নয়ন! মরণ-বেলায়Continue Reading

১৭ কালাংড়া — কাওয়ালি বসিয়া নদীকূলে এলোচুলে কে উদাসিনী। কে এলে পথ ভুলে এ অকূলে বন-হরিণী॥ কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায় কুলবধূরা কেঁদে যায় ফুলে ফুলে পদমূলে সাঁঝ-তটিনী॥ নিশিদিন চাহি তোমারে ওপারে বাজিছে বাঁশি, এপারেContinue Reading

১৮ বেহাগ—দাদরা কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে ফুটিত না কি কমল ও কাঁটা না বিঁধিলে॥ কেন এ আঁখি-কূলে বিধুর অশ্রু দুলে, কেন দিলে এ হৃদি যদি না হৃদয় মিলে॥ শীতল মেঘ-নীরে ডাকিয়াContinue Reading

১৯ বিহারী খাম্বাজ মিশ্র—দাদরা সখী, বোলো-বঁধূয়ারে নিরজনে দেখা হলে রাতে ফুলবনে॥ কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালি, কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি জেনেছে ফুলমালি গোপনে॥ কাঁটার আড়ালে গোলাবের বাগে ফুটায়েছে কুসুম কপট সোহাগে,Continue Reading

২০ দুর্গা কাওয়ালী নহে নহে প্রিয়, এ নয় আঁখি-জল। মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল॥ হেরিয়া নিশি-প্রভাতে শিশির কমল-পাতে, ভাব বুঝি বেদনাতে কেঁদেছে কমল॥ মরুতে চরণ ফেলে কেন বন-মৃগ এলে, সলিল চাহিতে পেলে মরীচিকা-ছল॥ এ শুধুContinue Reading

২১ ভৈরবী—কাওয়ালি এ আঁখি-জল মোছো পিয়া ভোলো ভোলো আমারে। মনে কে গো রাখে তারে ঝরে যে ফুল আঁধারে॥ ফোটা ফুলে ভরি ডালা গাঁথো বালা মালিকা, দলিত এ ফুল লয়ে দেবে গো বলো কারে॥ স্বপনের স্মৃতিContinue Reading

২২ ভৈরবী—পোস্তা কী হবে জানিয়া বলো কেন জল নয়নে। তুমি তো ঘুমায়ে আছ সুখে ফুল-শয়নে॥ তুমি বুঝিবে বালা কুসুমে কীটের জ্বালা, কারো গলে দোলে মালা কেহ ঝরে পবনে॥ আকাশের আঁখি ভরি কে জানে কেমন করিContinue Reading

২৩ বিহারী—ঠুংরি পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে। আসিলে এতদিনে কেমনে পথ চিনে॥ তোমারে খুঁজিয়া কত রবি শশী অন্ধ হইল প্রিয়, নিভিল তিমিরে, তব আশে আকাশ তারা-দীপ জ্বালি জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে! শুকায়েছে স্বরগ, দেবতা, তোমাContinue Reading

২৪ বেহাগ-খাম্বাজ—দাদরা কেন উচাটন মন পরান এমন করে কেন কাঁদে গো বধূ বঁধুর বুকে বাসরে॥ কেন মিলন-রাতে সলিল আঁখি-পাতে, কেন ফাগুন-প্রাতে সহসা বাদল ঝরে॥ ডাকিলে অনুরাগে কেন বিদায় মাগে, (কেন) মরিতে সাধ জাগে পিয়ার বুকেরContinue Reading