১১
রায়-পরিবারের সঙ্গে দিন দিন বেশ ভাল করিয়া মিশ খাইয়া যাইতেছি। আর সবাই চমৎকার, এক আশঙ্কা ছিল ব্যারিস্টার রায়ের সম্বন্ধে, দেখিতেছি তাঁহার মত অমায়িক লোক অল্পই দেখা যায়। বরং বলা চলে তিনি একদিক দিয়া আমায় নিরাশ করিয়াছেন কেন না যে-জিনিসটা সম্বন্ধে একটা উৎকট রকম ধারণা গড়িয়া রাখিয়াছি, যদি দেখা যায় যে, সেটা উৎকট হইবার ধার দিয়াও গেল না তো মনে এক ধরনের নৈরাশ্য আসে। মনটা যেন উৎকটকে গ্রহণ করিবার জন্য নিজেকে তৈয়ার করিয়া রাখে, তাহার পর দেখে তাহার কষ্ট করিয়া অত তোড়জোড় করাই বৃথা হইয়াছে। আমার তো মস্ত বড় একটা উপকার করিয়াছেন, একটা পেশা সম্বন্ধেই আমার ভ্রান্ত ধারণা একেবারে দূর করিয়া দিয়াছেন। আমার আদর্শ ব্যারিস্টারের চেহারাওলা লোকই যখন এই রকম তখন আর কোন দ্বিধা সন্দেহই নাই আমার ও সম্প্রদায় সম্বন্ধে। এখন এমন একটা অদ্ভুত ধারণা এককালে ছিল বলিয়া নিজের পানেই বিদ্রূপের দৃষ্টিতে চাহি মাঝে মাঝে।
তরুর পড়াশুনা চলিতেছে। ওকে এইভাবে যে কি করা হইবে কিছু বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। অদ্ভুত এই দোটানার মধ্যে ওর শিশু-মন বিভ্রান্ত এবং কখন কখন সেই বিভ্রমের জন্যই শ্রান্ত হইয়া পড়ে, এটা বেশ বুঝা যায়। একদিন লরেটো থেকে আসিয়াই সোজা আমার ঘরে উপস্থিত হইল এবং বইয়ের স্যাচেলটা আমার বিছানার উপর ফেলিয়া দিয়া একেবারে আমার কোলে মুখ গুঁজিয়া লুটাইয়া পড়িল। প্রশ্ন করায় ফোঁপাইতে ফোঁপাইতে বলিল, “আমি আর যাব না লরেটোয় মাস্টারমশাই, কখনও যাব না আমি।”
জিজ্ঞাসা করিলাম, “কেন বল তো, কি হল?”
“না, ওদের মেয়েরা গালাগাল দেয় আমাদের শিবঠাকুরকে, বলে, ‘He is a mad snake-charmer’ (পাগলা সাপুড়ে)। আমি বলেছি তাদের—‘I will ask him to curse you’ (আমি তাঁকে বলব তোমাদের শাপ দিতে)। শাপ দিয়ে দেবেন’খন সবাইকে ভস্ম করে। কিন্তু আমি যাব না ওদের স্কুলে, মাস্টারমশাই……”
তাহার পরদিন লক্ষ্মীপাঠশালা হইতে দশটার সময় আসিল বেশ প্রফুল্লভাবে মোটর থেকে নামিয়াই আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া যেন কতকটা বিজয়োল্লাসে প্রশ্ন করিল, “মাস্টারমশাই ইম্যাকুলেট্ কন্সেপ্শ্যন্ কি সম্ভব?”
আমি লিখিতেছিলাম, স্তম্ভিতভাবে ঘুরিয়া ওর মুখের দিকে চাহিয়া একটু কড়াভাবেই প্রশ্ন করিলাম, “কে শেখালে তোমায় এ কথা তরু?”
আমার ভাবগতিক দেখিয়া তরু একেবারে হতভম্ব হইয়া আমার মুখের পানে চাহিয়া রহিল, তাহার পর একেবারে ভগ্নস্বরে আমতা-আমতা করিয়া বলিল, “না, কেউ বলেনি আমায়…ওদের জিজ্ঞেস করতে বলে দিয়েছে…!”
কথাটা বুঝিলাম, লক্ষ্মীপাঠশালায় গিয়া শিবনিন্দার কথা প্রচার করায় এই ফলটি দাঁড়াইয়াছে। বোধ হয় কোন অগ্রণী বয়স্থা ছাত্রী প্রশ্নের আকারে এই পাল্টা জবাব প্রেরণ করিতেছে; ব্যাপার দাঁড়াইতেছে কবির লড়াইয়ের মত। তরুর আবার যাহাতে বেশি কৌতূহল উদ্রেক না হয় সেই উদ্দেশ্যে বলিলাম, “ও-কথা বললে ওদের ঠাকুরকেও পাগল বলা হয় তরু, তাই তোমায় কেউ শিখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেটা কি তোমার বলা উচিত? ধর্ম নিয়ে কারুর মনে কষ্ট দিতে আছে?”
তরু লক্ষ্মী মেয়ের মতই উত্তর করিল, “না মাস্টারমশাই; তা ভিন্ন মহাদেব তো শুধু আমাদের ঠাকুর, ক্রাইস্ট যীশু ওদের, আমাদের—সব্বারই ত্রাণকর্তা। মহাদেব ত্ৰিশূল নিয়ে অন্যদের মারেন, ক্রাইস্ট তো নিজেই ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন।”
এও এক জগাখিঁচুড়ি হইয়া যাইতেছে, লরেটোর শেখানো বুলি লক্ষ্মীপাঠশালার বর্ম ভেদ করিয়া শিশু হৃদয়ে আধিপত্য বিস্তার করিতেছে।
এ-কথা সেদিন মিস্টার রায়কে বলিলাম। আহারের পর উনি গিয়া একটি ঘরে একটু একান্তে বসেন। ওঁর শখের আলোচনা জ্যোতির্বিজ্ঞান, সেই সময় কখন কখন গভীর রাত্রি পর্যন্ত এই লইয়া ব্যাপৃত থাকেন। ওই সময়টিতে ওঁর একটু পানের অভ্যাস আছে। দু’এক পেগের পর ওঁর অমায়িক মনটা আরও উদার হইয়া পড়ে। ইহার মধ্যে আমায় দুই-একদিন ডাকিয়া কিছু এদিক-ওদিক আলোচনাও করিয়াছেন। আজ আমার কথাটা শুনিয়া অনেক কথাই বলিলেন, বেশির ভাগই ওঁদের দাম্পত্য জীবন সম্বন্ধে। স্বীকার করিলেন, ওঁর ওই উগ্র পাশ্চাত্য ভাবের দ্বারা উনি অপর্ণা দেবীর জীবন ব্যর্থ করিয়াছেন, পুত্রের দিক দিয়া তো বটেই, বোধ হয় মীরার দিক দিয়াও। এখন তরুকে লইয়া আসলে একটা পরীক্ষা চলিতেছে। মিস্টার রায়ের মত, তাঁহার সন্তানেরা তাহাদের মায়ের দিকে না গিয়া তাহাদের বাপের দিকেই গিয়াছে অর্থাৎ বাপের মারফত পাশ্চাত্য ভাবটা তাহাদের মজ্জায় প্রবেশ করিয়াছে একেবারে। এই যদি তাহাদের প্রকৃতি তো সে-প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাওয়া সুফলপ্রদ হইবে না। তাই নমনীয় অবস্থাতেই তরুর উপর দিয়া প্রাচ্য পাশ্চাত্য দুইটি ধারার পরীক্ষা চলিতেছে। তরু শেষ পর্যন্ত বোধ হয় মায়ের দিকে যাইবে। মিস্টার রায় বলিলেন, “I am hoping. Sailen, I may give at least one of our children to their Poor mother” (শৈলেন, আমার আশা, আমাদের অন্তত একটি সন্তান ওদের মার হাতে দিতে পারব)।
মিস্টার রায় পেগটা তুলিয়া লইয়া ধীরে ধীরে একটু চুমুক দিলেন, তাহার পর রাখিয়া দিয়া বলিলেন, “শৈলেন, অথচ এই পাশ্চাত্য ভাবের জন্যে দায়ী ওদের মা-ই, অপর্ণা।” আমি নীরব প্রশ্নের দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলাম। মিস্টার রায় মাথাটা নাড়িয়া একটু জোরের সহিতই বলিলেন, “Yes Aparna. Except for her saree you could not know her from a European girl in those days” (শাড়ি না থাকলে সে-যুগে ইউরোপীয় মেয়ের সঙ্গে ওর কোন পার্থক্যই ধরা যেত না)। কলেজের প্রথম ছাত্রী,—ডিবেটে বল, টেনিসে বল, স্টাইলে বল ও ইংরেজ ছাত্রীদেরও পেছনে ফেলে যেতে। আমি তখন বিলেতে, পুরোপুরি ওরই উপযোগী হবার জন্যে পাশ্চাত্য ধরন-ধারনে কত যত্নে কত ব্যয়ে হাত পাকালাম, তারপর যখন আমি তোয়ের, the miracle came (বিস্ময়কর ব্যাপারটা ঘটল)। ওর প্রতিভা দেখে ওকেও বিলেতে পাঠাবার কথাবার্তা বহুদিন থেকে চলছিল—সে-যুগে একটা দুঃসাহসের ব্যাপার। কথা ঠিক-ঠাক, নেক্স্ট স্টীমারেই অপর্ণা বিলেতে আসছে, কেম্ব্রিজে ভর্তি হবে, ভারতীয় মেয়ের প্রতিভা দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে, হঠাৎ ‘কেবল’ পেলাম–অপর্ণা আসছে না। পাছে শক পাই আসল কথাটা কেউ আর আমায় খুলে জানালে না। বিলেত থেকে আমি একেবারে full-fledged সাহেব হয়ে ফিরলাম and then I had the shock of my life (জীবনের সবচেয়ে মোক্ষম আঘাতটা পেলাম)। Where was the Aparna of my dreams? (আমার স্বপ্নের সে অপর্ণা কোথায়?) দেখলাম শাড়ি-সিঁদুর-শাখা-আলতায় এক ভট্টচায-গিন্নী সামনে উপস্থিত!”
মিস্টার রায় রসিকতাটুকু হাসিতে হাসিতে করিলেন বটে, কিন্তু লক্ষ্য করিলাম কত বৎসর পূর্বের কথা হইলেও হাসিটুকুতে সেদিনের সেই নৈরাশ্যটুকু লাগিয়া আছে। পেগে আর এক চুমুক দিলেন, তাহার পর পাত্রটা টেবিলে নামাইয়া রাখিয়া কৌচে হেলিয়া পড়িয়া ছাদের দিকে খানিকটা একদৃষ্টে চাহিয়া রহিলেন যেন কালের ব্যবধান ভেদ করিয়া কত দূরে গিয়া দৃষ্টি নিবদ্ধ হইয়া গিয়াছে তাঁহার। একটু পরে ধীরে ধীরে নামাইয়া কতকটা যেন আত্মগতভাবেই বলিলেন, “পরিবর্তনটা টের পেলেও যে আমি অপর্ণাকে ছাড়তে পারতাম এমন নয়—I was over head and ears in love with her” (আমি ওর প্রেমে একেবারে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিলাম)।
একটু থামিয়া আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন “She is a wonderful girl, believe me Sailen” (বিশ্বাস কর, আশ্চর্য মেয়ে অপর্ণা)।
মিস্টার রায় স্মৃতির আলোড়নে ভাবাতুর হইয়া পড়িয়াছেন। আমারও কিছু একটা বলা দরকার এখানে, প্রাণের অন্তরতম কথাটাই আপনি বাহির হইয়া আসিল, বলিলাম, “আমি ওঁকে অপরিসীম শ্রদ্ধা করি।”
মিস্টার রায় সেই রকম আবিষ্টভাবেই আমার পানে চাহিয়া বলিলেন, “And she deserves” (তার যোগ্যও সে)। তাহার পর অকস্মাৎ আলোচনার মোড় ফিরাইয়া প্রশ্ন করিয়া উঠিলেন, “Bye the bye, মীরাকে তোমার কি রকম বোধ হচ্ছে?”
আমি একবারে নির্বাক হইয়া গেলাম। মিস্টার রায় সাধারণ কৌতূহলেই বোধ হয় কথাটা জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, আমার মনে যে কোথায় ঘা দিলেন তাহার খোঁজ রাখেন নাই, তবু আমি বেশ নিষ্কম্প কণ্ঠে উত্তর দিতে পারিলাম না, একটু আমতা-আমতা করিয়া বলিলাম, “আজ্ঞে মীরা দেবী…মানে, আমি এই মাস ছয়েকের কাছাকাছি সামান্য যতটুকু দেখছি, তাতে তো খুব ভাল, মানে…”
এই কয়েকটি কথা বলিতেই কপালে ঘাম জমিয়া উঠিল, মিস্টার রায় চুরুটের ধূম্রজালের মধ্য দিয়া আমার পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া আছেন—সেই আমার চিরকালের বিভীষিকার ব্যারিস্টার, খাড়ার মতন নাক কি একটা রহস্য ভেদ করিবার জন্য উন্মুক্ত হইয়া উঠিয়াছে, ঠোঁট দুইটা পাইপের উপর চাপা, তাহাতে চিবুকটা আরও ধারাল হইয়া উঠিয়াছে যেন।… আমি আর অগ্রসর হইতে পারিলাম না, হঠাৎ থামিয়া গিয়া দৃষ্টি নত করিলাম। অনেকক্ষণ চুপচাপ গেল; সে এক অসহ্য অবস্থা, আমি অপরাধের গুরুভার লইয়া চক্ষু নত করিয়া বসিয়া আছি, অনুভব করিতেছি—আমার ললাটে আসিয়া পড়িতেছে বিচারকের দৃষ্টি। আমি রায় পরিবারে আতিথেয়তার অবমাননা করিয়াছি, মীরার আমি পক্ষপাতী হইয়া উঠিয়াছি, আজ ধরা পড়িয়া গিয়াছি।… ধরাইয়া দিয়াছি আমি নিজেকে নিজেই, মিস্টার রায় বোধ হয় নিতান্ত সাধারণ কৌতূহলেই প্রশ্নটা করিয়াছিলেন—মীরাদের প্রসঙ্গটা তো চলিতেই ছিল, আমার বিবেক আমার কণ্ঠে জড়তা আনিয়া দিয়া তাঁহার কাছে কথাটা ফাঁস করিয়া দিল যে, আমি চক্ষু নত করিয়া অনুভব করিতেছি, আমার স্বেদসিক্ত ললাটে মিস্টার রায়ের উদ্যত দৃষ্টির অগ্নিস্ফুলিঙ্গ—দেখিতেছি না, কিন্তু তাহার জানা অনুভব করিতেছি।
অসংযতভাবেই চক্ষুর পল্লব একবার উপর দিকে উঠিল। কী স্বস্তি! মিস্টার রায় আমার দিকে মোটেই চাহিয়া নাই, কৌচের পিঠের উপর মাথাটা উল্টাইয়া দিয়া চক্ষুমুদিয়া, চিন্তিতভাবে ধীরে ধীরে পাইপটা টানিতে লাগিলেন।
আরও একটু গেল।
তাহার পর সেই ভাবেই পাইপ-মুখে প্রশ্ন করিলেন, “So you have joined yous M. A class already” (তাহ’লে এম-এ পড়া শুরু ক’রে দিয়েছ)?
উত্তর করিলাম, “আজ্ঞে হ্যাঁ।”
“হুঁ…।”
আরও খানিকক্ষণ নীরবে কাটিল, তাহার পর মিস্টার রায় সোজা হইয়া প্রশ্ন করিলেন “Suppose you go abroad and fetch a European degree” (যদি ইউরোপ গিয়ে সেখান থেকে একটা ডিগ্রী নিয়ে এস তাহ’লে কেমন হয়)?
অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন; “মীরাকে কেমন বোধ হচ্ছে”–তাহার চেয়ে শতগুণে অপ্রত্যাশিত। আমি কয়েকটা অদ্ভুত, অস্পষ্ট অনুভূতির মিশ্রণে একেবারে নিষ্পন্দ হইয়া বসিয়া রহিলাম; হাঁ-না, কোন রকমই উত্তর মুখে জোগাইল না।
আরও একটু পরে মিস্টার রায় ধীরে ধীরে বলিলেন, “যাও শোও গে রাত হয়েছে, আমি স্টেটসম্যানে তোমার ফ্রেণ্ড মিস্টার করের অ্যাস্ট্রনমি সম্বন্ধে সেই লেখাটা ততক্ষণ পড়ি। … গুড্ নাইট্ … হ্যাঁ, তরুর কথা শুনলাম, আর একদিন দুজনে বসে ভাল ক’রে আলোচনা করতে হবে।… গুড নাইট।”
দুঃখের জীবনে বিনিদ্র রজনী অনেকই কাটাইতে হইয়াছে, কিন্তু সেদিনের সেই যে তন্দ্রাহীন রাত্রি যা দীর্ঘ হইয়াও মুখের তীক্ষ্ণতায় আমার কাছে অল্পায়ু হইয়া পড়িয়াছিল তাহার কথা এ-জীবনে কখনও ভুলিব না। শিশু যেমন অতি সামান্য খেলনা লইয়াই কল্পনায় নিজের আনন্দ সৃষ্টি করিয়া চলে, মিস্টার রায়ের তিনটি অতিসামান্য কথা লইয়া আমি আমার জীবন-মরণ সৃষ্টি করিয়াছি সেই রাত্রে—মীরাকে কি রকম বোধ হচ্ছে? এম-এ তাহ’লে শুরু ক’রে দিয়েছ? আচ্ছা, ইউরোপে গিয়ে একটা ডিগ্রী নিয়ে এলে কেমন হয়?
নিতান্ত খাপছাড়া তিনটি কথা, কিন্তু প্রশ্নে-উত্তরে, আশায়-আবেগে এই তিনটি লইয়াই যে কত গড়াপেটা সেদিন, এখনও ভাবিলে বিস্মিত হই। কত অসংলগ্ন অসম্ভব কল্পনা, সবকেই সূত্রের মত বাঁধিয়া রাখিল, সবের মধ্যেই সামঞ্জস্য আনিল শুধু একটি প্রশ্ন—“মীরাকে তোমার কেমন বোধ হচ্ছে?”
হয়তো নিতান্ত নিরুদ্দেশ ভাবেই মিস্টার রায় প্রশ্ন তিনটি করিয়াছিলেন, হয়তো যাহা ভাবিয়াছিলাম তাহার সবটুকুই মিথ্যা তবু সেই রাত্রিটি একটি চরম সত্যরূপে আমার জীবনে শাশ্বত হইয়া আছে।