» » নীলাঙ্গুরীয় চলচ্চিত্র

বর্ণাকার

গুণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘নীলাঙ্গুরীয়’ উপন্যাসের একটি চলচ্চিত্র[১] নির্মিত হয়েছিল ১৯৪৩ সালে; প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধীরাজ ও যমুনা। এই চলচ্চিত্রে মোট পাঁচটি গান ছিল। চলচ্চিত্রটি গৃহিত হয়েছিল ‘ইন্দ্রপুরী ষ্টুডিওতে’ পরিবেশক ছিল ‘ইষ্টার্ণ টকীজ লিমিটেড্, কলকাতা।

চরিত্র লিপি

মি. জি, পি, রায় : ছবি বিশ্বাস
অনিল : মাণিক
মিসেস অপর্ণা রায় : দেববালা
সৌদামিনী : রেণুকা
মীরা : যমুনা
অম্বুরী : মলিনা
তরু : লতিকা
সরমা : পূর্ণিমা
শৈলেন : ধীরাজ
রাজু : ইন্দু
নিশীথ : জহর
ইমানুয়েল : কানু

অন্যান্য ভূমিকা : গায়ত্রী রায়, কৃষ্ণা, বেলা, বিভূতি গাঙ্গুলী, হরিমোহন, সুশীল রায়, রতন, নরেশ রায়, শ্যাম লাহা, কমল মিত্র, সুধীর মিত্র, সুধাংশু, রহমন, আশু বোস প্রভৃতি।

নৃত্য পরিচালনা : রতন সেনগুপ্ত
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : গুণময় বন্দ্যোপাধ্যায়
কাহিনী : বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
গীতকার : শৈলেন রায়
সুরশিল্পী : সুবল দাশগুপ্ত
চিত্র শিল্পী : অজয় কর
শব্দানুলেখন : গৌরদাস
রসায়নাগারিক : ধীরেন দাশগুপ্ত
চিত্র সম্পাদক : সন্তোষ গাঙ্গুলী
শিল্প নির্দেশক : তারক বসু
ব্যবস্থাপক : সুধীর সরকার
স্থির চিত্রশিল্পী : গোপাল ভৌমিক; সত্যেন সান্যাল
প্রয়োজক : সুরেন্দ্র রঞ্জন সরকার

কাহিনী

নীলাঙ্গুরীয়র নীল দর্পণের দিকে চাইলে শৈলেন তার সারা জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়! নীল হীরকের মায়া-মুকুরে তার অতীতের দিনগুলি একটার পর একটা এসে ভিড় ক’রে দাঁড়ায়। শৈলেনের মানস-চক্ষের সম্মুখ দিয়ে ভেসে চলে তারই হারানো দিনের অবিস্মরণীয় চলচ্ছবি। — সেই ছায়া-ঢাকা পাখী-ডাকা সাঁতরাগ্রাম—যেখানে তার শৈশব অতিবাহিত হয়েছে,—সেই আঁকা-বাঁকা পথ ঘাট—ছায়াচ্ছন্ন আম কাঁঠালের বন— নির্জ্জন নদী-সৈকত—শাপলা ঘেরা পানায়-ঢাকা গাঁয়ের দীঘি—আরও কত কি! কত কি মনে পড়ে! মনে পড়ে বাল্য-সহচর অনিলকে, – মনে পড়ে শৈশবের লীলা সঙ্গিনী সৌদামিনীকে—এক ঝলক বিদ্যুতের মতই সে তার মনের এক প্রান্ত হ’তে আর এক প্রান্ত অবধি আলোক রেখা টেনে যায়!

আর—সব স্মৃতিকে নিষ্প্রভ ক’রে যে এসে দাঁড়ায়, এক জলন্ত নক্ষত্রের মত—সে হচ্ছে মীরা।

বিদ্যার্থীর জীবনযুদ্ধ কাকে বলে শৈলেন তা ভাল করেই জানে—কারণ সে দরিদ্র। আট দশটি ছেলে পড়িয়ে—ক্লান্ত অবসন্ন দেহ-মনে শৈলেন যখন একটার পর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার বেড়া ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছিল—তারই একটি স্মরণীয় দিনে ভাগ্য তাকে টেনে নিয়ে চল্‌ল—কলকাতার বিখ্যাত ব্যারিষ্টার মিঃ রায়ের প্রথমা কন্যা মীরার সান্নিধ্যে। মীরার ছোট বোন তরুর শিক্ষকতার ভার পড়ল শৈলেনের ’পর।

আজকের সভ্যতা, মানুষ আর মানুষের মাঝখানে অলঙ্ঘ্য প্রাচীর গ’ড়ে তুলেছে!—এ প্রাচীর ভাঙ্গতে মানুষ যতই চেষ্টা করে—প্রাচীর ততই গ’ড়ে ওঠে—তাই শৈলেন আর মীরার সান্নিধ্যকে সান্নিধ্য বলা চলে না। সেখানেও ঐ একই ব্যবধানের প্রাচীর দুজনার মাঝখানে দাঁড়িয়ে।—মীরার আছে আভিজাত্য, শৈলেনের যা নেই। —মীরা বিত্তশালিনী, শৈলেন কপর্দকহীন—বিশেষ ক’রে মীরারই আশ্রিত সে! — পরিশ্রমের বিনিময়ে হাত পেতে পারিশ্রমিক তাকে নিতে হয় যেমন এ বাড়ীতে তারই মত আরও নিয়ে থাকে— রাজু বেয়ারা বা ইমানুয়েল মালী।

কিন্তু পঞ্চশর হাতে নিয়ে মনের পথে পথে যে দেবতাটির আসা যাওয়া— মানুষের গড়া বিভেদের প্রাচীর তার জন্য নয়।

ব্যারিষ্টারের সংসারে একটু বৈচিত্র্য আছে! সাহেব বলতে যা বোঝায় গুরুপ্রসাদ রায় ঠিক তাইই—কিন্তু তাঁর স্ত্রী অর্পণা দেবীকে ভট্টচায্যি গিন্নি বললেও অতিশয়োক্তি হয় না। অথচ মিঃ রায় বিলেত যাবার আগে নাকি অৰ্পণা দেবী পুরোদস্তুর মেম সাহেবই ছিলেন। স্ত্রীর এই বিপরীত আচার বস্ত্রহারে গুরুপ্রসাদ বেদনা অনুভব করেন। অর্পণা দেবীর ব্যথাও কম নয়!— একে স্বামীর রুচি তিনি মেনে নিতে পারেন না; দ্বিতীয়তঃ তাঁর একমাত্র ছেলে বিলেতে নিরুদ্দিষ্ট, — বাগদত্তা সরমা আজও তার পথ চেয়ে!

শৈলেন এখন ব্যারিষ্টার পরিবারে অনেকটা স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠেছে! ব্যারিষ্টার গুরুপ্রসাদ রায় তাঁকে স্নেহের চোখে দেখেন। মীরার মা অর্পণা ও তাকে ছেলের মত স্নেহ করেন তরু ত মাষ্টারমশাই বলতে অজ্ঞান। আর মীরা! — মীরাকে সে বুঝতে পারেনি। যেন তার চোখে হেঁয়ালী—সে যেন দেখা না- দেখায় মেশা!—মীরার চোখে মাঝে মাঝে সে দেখে অনুরাগের আভাষ—কল্পনাতীত আশায় মন তার ভরে উঠে—কিন্তু স্বপ্ন তার ভেঙ্গে যায় যখন দেখে সেই দু’টা চোখেই বিপরীত দৃষ্টি-জ্বালা!— সে যেন বিদ্রূপের কশাঘাত —শৈলেনকে জর্জরিত করে তোলে!—তবু মীরার সঙ্গে তাকে পার্টিতে যেতে হয়—মোটারে বেরুতে হয়— মীরার খেয়ালের অন্ত নেই। শৈলেন বুঝতে চায় মীরা অন্য জগতের —যে জগতে ভীড় করে আছে নিশীথ ও আরো অনেকে। শৈলেন যে জগতের মীরা তার কেউ নয়। শৈলেনের মনে ধিক্কার জাগে—তার মনে হয় মীরার চোখে সে যেন এক জীবন্ত ব্যঙ্গচিত্র—যেমন ঐ ইমানুয়েল মালী জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছে এক মেম-সাহেবের স্বপ্নে—যাকে জীবনে কখন পায়নি বা পাবে না। দূরের চাঁদকে হাতে ধরবার জন্যে মানুষের এ-কি পাগলামী! ইমানুয়েল আর নিজের মধ্যে সে আর পার্থক্য খুঁজে পায় না। এদিকে মিষ্টার রায় শৈলেনকে বিলেত পাঠাতে চান; শৈলেন আবার আশার স্বপ্ন দেখে। মীরাকে সে আপনার করে ভাবতে চায়, কিন্তু কি যেন একটা বাধা তাকে নিরাশ করে তোলে। মীরা কাছে এসে দূরে সরে যায়। সে যেন একটি কাঁটায় ভরা ফুল যার গন্ধ মাদকতা জাগিয়ে তোলে, অথচ হাত বাড়িয়ে তুলতে গেলেই বিপদ!

অনিলের চিঠি পেয়ে সে একদিন গায়ে ফিরল কদিনের ছুটি নিয়ে—খানিকটা আশা-নিরাশার দ্বন্দ্ব ভুলতে–খানিকটা প্রাণের তাগিদে।

অনিল এখন রীতিমত সংসারী। অনিলের স্ত্রী অম্বুরী (একথা এখানেই বলে রাখা দরকার যে এ নামটি শৈলেনের দেওয়া)—অম্বুরী তামাকের ধোঁয়ার মতই সুবাসে স্নিগ্ধ, মনোরমা—যাকে বলে, সত্যিকারের গাঁয়ের বধু। এদের মধ্যে এসে দিনগুলি শৈলেনের বেশ কেটে যাচ্ছিল; এমন সময় বহুদিন পরে আবার শৈশব-সঙ্গিনী সৌদামিনীর সঙ্গে দেখা। সৌদামিনী এখন এক শ্মশান-যাত্রী অতি বৃদ্ধের ঘরণী; অথচ এই সৌদামিনীকেই একদিন সে……সৌদামিনীর জন্যে তার মন বেদনায় করুণায় ভরে উঠলো! —এই সেই সৌদামিনী! অদৃষ্টের একি পরিহাস!

সঙ্গে সঙ্গে আর একটি অভাবনীয় ঘটনা ঘটলো—সেটি হচ্ছে তরুকে সঙ্গে নিয়ে আকস্মিক মীরার সাঁতরায় আবির্ভাব। এ কোন আকর্ষণ—যা আজ মীরাকে তার কাছে টেনে এনেছে। শৈলেনের মনে নতুন করে আশার দোলা লাগে।

মীরা চলে গেল। অনিল আর অম্বুরী শৈলেনকে পরিহাসে উত্তক্ত করে তুল্‌ল। শৈলেনের অন্তরের যা একান্ত গোপনীয় তা আর গোপন রইল না। কদিন পরে শৈলেন ফিরে গেল কলকাতায় কিন্তু তার মনে কাঁটার মত বিঁধে রইল সৌদামিনীর স্মৃতি। সৌদামিনীর এই দুরদৃষ্টের জন্য সেও কি দায়ী নয়? কিন্তু মীরার তুলনায় সৌদামিনী? শৈলেনের মনে নতুন করে দ্বন্দ্ব বাধল।

কলকাতায় ফিরে শৈলেন— মীরাকে আবার নতুন রূপে দেখল। এবার তার অনুরাগ চোখে যেন দাক্ষিণ্যের সজল ছায়া—অনুরাগের নতুন মায়া। কিন্তু অপটু শৈলেন—দান চেয়ে নিতে জানে না—আভিজাত্য ভুলে মীরাও এগিয়ে আসতে পারে না। অনুরাগ থেকে অভিমান জাগে—অভিমান থেকে ঘৃণা। সুধার পাত্র গরলে ভরে ওঠে। কাছে এসে দূরে সরে যাওয়া—ধরা দিয়ে ধরা না দেওয়া শুধু এই নিয়েই দিন কেটে যায়—মীরার মনে জাগে আত্মঘাতী ক্রোধ। শৈলেনকে অপমান করবার জন্যেই নিশীথকে প্রশ্রয় দেয়—নিশীথ দেখে ফুলশয্যার স্বপ্ন—মীরার চোখে নেমে আসে আসন্ন মৃত্যুর ছায়া!—নিশীথ আর মৃত্যু—মীরার কাছে দুইই এক।

এমন সময় অনিলের চিঠি এল— “সৌদামিনী বিধবা হয়েছে।”—শৈলেন আবার ছুটলো সাঁতরায়। অনিল বলল—তোকেই গ্রহন করতে হ’বে সদুকে। ভাগবত হালদারের অত্যাচারে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল—আমি এ যাত্রা কোনও রকমে বাঁচিয়েছি। কিন্তু এবার তুই যদি না নিস্ তা’ হ’লে সদুকে আর বাঁচান যাবে না।” শৈলেন জবাব দিল,— “ভেবে দেখি।” মীরার দাবীও যে তার কাছে আজ কম নয়। সদুকে সে বলে এলো অপেক্ষা করতে।

এরপর কলকাতায় আর একদিনের কথা বলছি। মীরার চোখে অবিরল অশ্রুধারা ঝরে পড়ছে আর শৈলেন তার পিঠে হাত বুলিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছে। মীরা কেঁদে বলছে, “আমি নিজেকে ঠিক করে তুলে ধরতে পারিনি আপনার সামনে, কিন্তু আপনি কেন চিনে নিলেন না।—বাইরে যা পেলেন মীরা সত্যিই কি তাই?” এ প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় মীরা শৈলেনের দিকে ব্যাকুল চোখে চেয়ে রইল।

মীরা, সৌদামিনী দু’জনেই তার প্রতীক্ষায় দিন কাটাচ্ছে—এ প্রতীক্ষার শেষ কোথায়?

গান

—এক—

আমি দেখেছি নয়ন মেলে

পাথীর কুজনে সুষমা জাগায়ে

(মোর) সফল সাধনা এলে।

তব আঁখির নীবিড়-নীলে

মোর নীল নভ ছেয়ে দিলে।

মোরে মলয়ার সাথে মৃদুল আভাষে

অবেশে ছুঁয়ে যে গেলে।

তোমারি স্বপনে রচিলে—

মোর মনেরি ফুলের বন

(তব) কমল-আসন পাতিলে—

(ওগো) যেখানে আমার মন।

(মোর) প্রেমের মুকুতা দলে—

মালা গাঁথিয়া পরিলে গলে,

তুমি নিজের অনলে না জেনে দিয়েছ

মোর মণি-দ্বীপ জ্বেলে।

— দুই —

জানি না কখন, হারায়েছি মন

জানি না রে,

আপনি সাধিয়া দিয়েছি তাহারে

আপনারে, মোর আপনারে।

ব্যাথা হ’য়ে সে যে বুকে জাগে

ভালো লাগে তবু ভাল লাগে,

পরাজয় মানি সে বিজয়ী লাগি

গাঁথি শুধু জয় মালারে।

হৃদয় মাঝারে চাহিয়া দেখেছি

সে যে অন্তরময়

তারি লাগি গায় তরু শাখে পাখী

ফোটে ফুল বনময়।

(তবু) কাছে এলে যাই দূরে সাধি

দুরে গেলে হায় ফিরে কাঁদি।

একি অনুরাগ? একি অভিমান?

একি মোর ভালবাসারে!

—তিন—

এল মহুয়া বনে কোন বাঁশুরিয়া,

সে যে বাঁশীর সুরে করে আকুল হিয়া

বুঝি মোহনিয়া, মোর মোহনিয়া।

একে চৈতি-চাঁদের রাতে পেল হাসি

তায় মধুর নেশার বাজে বঁধুর বাঁশী

আহা নিশুত রাতে তার-সুরের টানে

বন-পাপিয়া গায়লো ঐ পিয়া পিয়া—

এল মোহনিয়া মোর মোহনিয়া।

আহা চাঁদের সাথী মোর চিকন্ কালা

তার শুন্‌বো লো বাঁশী, আঁখি মান্‌বে না ঘুম,

মোরা নাচ্‌বো তালে তালে বাজ্‌বে নূপুর

রুম্ ঝুম্, রুম্ ঝুম্ ওলো রুম্ ঝুম্, রুম্ ঝুম্।

তার গলায় দেবো গাঁথি পলার মালা

এই বুকের মালা সইলো বুকের মালা।

তারে হৃদয় দেব লো তার হৃদয় নিয়া

জানে মরম নিতেলো সই মরমিয়া

সে যে মোহনিয়া, মোর মোহনিয়া।

—চার—

এই রাঙ্গা মাটির দেশে এই গাঁয়ের পথের ধারে!

আমার মনের মানুষ হ’ল কি আজ মন ভোলারে।

ফুল জাগানো বনের লতা

তারাও যেন কয়রে কথা।

আমার মন রাঙ্গিয়ে গান ধরে কোন বুলবুলি

আর চন্দনারে

আমার মনের মানুষ হ’ল কি আজ মন ভোলারে!

দীঘল-তরু অতল স্নেহে ফেলে শীতল ছায়া

মায়ের মতন মন জুড়ানো আমার গাঁয়ের মায়া।

কোন সে রাখাল বাজায় বেণু

ধুলায় ওড়ে গোখুর রেণু

সুনীল আকাশ মেশে হেথায় ধূসর শ্যামল মাঠের পারে

আমার মনের মানুষ তাই হলো কি মন ভোলারে।

—পাঁচ—

সাত ভাই চম্পা আর বোনটি পারুল

জাগো! জাগো ওগো বনেরি ফুল!

শ্যামল বনের ওগো সোনার মেয়ে!

গন্ধে তোমার গেল ভুবন ছেয়ে;

আহা বিনি-কথার কোন আভাস দিয়ে,

কর সুবাসে বাতাসে বিভোল ব্যাকুল।

ভ্রমর শোনায় তোরে কী গানখানি

শোনাও আমায় আগে গোলাপ কলি!

কোন প্রজাপতির রাঙা পাথার ছায়ে

রঙের স্বপন মেখে রঙিন হ’লি।

বনের লতা ওগো লাজুক লতা

তোমার সনে মোর অনেক কথা।

ফুল ফোটার বেলা দিয়ে লতার দোলা

(বলো) সে কোন কোকিল গানে হয় রে সাকুল।

সহকারীগণ

পরিচালনায় : নির্ম্মল চৌধুরী, অমিয় ঘোষ, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজয় মুখোপাধ্যায়।
সুর শিল্পে : গোপেন মল্লিক।
চিত্র শিল্পে : এম, রহমান; গোপাল চক্রবর্ত্তী, দশরথ।
শব্দানুলেখনে : সত্যেন ঘোষ।
সম্পাদনায় : কমল গঙ্গোপাধ্যায়।
রসায়নাগার-শিল্পে : মথুরা ভট্টাচার্য্য, দীনবন্ধু চট্টোপাধ্যায়, শম্ভূ সাহা, মঞ্জু, সুরেশ রায়।
ব্যবস্থাপনায় : সুখেন চক্রবর্ত্তী।
পোষাক পরিচ্ছদাদি : কমলালয় ষ্টোর্স লিমিটেডের সৌজন্যে।

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. ‘নীলাঙ্গুরীয়’ প্রচার পুস্তিকা— ৩২এ, ধর্ম্মতলা ষ্ট্রীট, ইষ্টার্ণ টকিজ লিমিটেডের পক্ষ হইতে শ্রীদীপ্তেন্দ্রকুমার সান্যাল দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত। শ্রীহীরেন্দ্র নাথ সরকার কর্ত্তৃক “প্যারী প্রেস” ১ বি, প্যারী রো, কলিকাতা, হইতে মুদ্রিত। ইম্পিরিয়াল আর্ট কটেজ হইতে কভার মুদ্রিত।