জনতার স্রোতস্বিনী উত্তাল জোয়ারের টানে
ভাসমান রাজনীতির পালে লাগে নতুন হাওয়া;
উজান স্রোতের মুখে তাই দিক্হারা নেতা
সাফল্যের পথ খোঁজে নতুন ধারায়, নতুন ভাবনায়।
জীর্ণ অট্টালিকার প্রাচীন বনিয়াদে যেমন করে জন্ম নেয়
ভাঙনের কুটিল কুচক্রী দুঃস্বপ্নের দল,
জনতার মনের রন্ধ্রে নব আবিষ্কারে তেমনি দ্রুত মগ্ন হয়
বল্লাহীন অশ্বের মতো নতুন কোন নেতা।
ঊর্ধ্বমুখী পতঙ্গের অবশ্যম্ভাবী দুঃসহ পতন রীতিমত অভ্যস্ত
দুর্বোধ্য অসংলগ্ন অঙ্গীকারের বুকে মূর্তিমান যাদুকর
সনাতন নেতার কাঠামো ভাঙে। আবার নতুন নেতা গড়ে।
দিকভ্রান্ত বিভ্রান্ত জনতার আশা আকাঙ্ক্ষার নগ্ন ইতিহাস
অসঙ্গত অন্যায় মুমুর্ষু জীবনের পাতায় পাতায়
যে মেঘলা প্রভাতে গোপনে গোপনে জলের রেখায় লেখা হয়,
অমৃতের বরপুত্রের মতো চমকপ্রদ পোষাকে ঠিক তখনই
আবার আকস্মিকভাবে নব জন্ম লাভ করে কোন নেতা।
পলায়নের খতিয়ানের ধূসর ছিন্নপত্রগুলো
ঘূর্ণি হাওয়ার মাঝে আবার সহসা কখনও উধাও হলে,
এবং জ্বলন্ত বক্তৃতার মালা কখনও অর্থহীন প্রমাণিত হলে,
সেই বিশেষ নেতার অপমৃত্যু ঘটে অনিবার্য গন্তব্যের মতোই।
যশ অপযশের নিরপেক্ষ চিরন্তন মানদণ্ডে জনতার ময়দানে
নিতুল সংকেতের স্পষ্ট ছায়াছবি নিয়তির পরিহাসে প্রতিফলিত;
শরৎকালের প্রতি প্রত্যুষের জীবন্ত নিষ্পাপ শিউলির মতোই
উচ্চাভিলাসী নেতারা ফোটে করে আবার মাটিতেই বিলীন হয়;
দেশে দেশে প্রতি মরশুমেই তারা আসে, আসবে এবং যাবে।