মুক
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

অনেক কথাই বলতে আমি চেয়েছি এই দেশে, তার বদলে অনেক কথাই শুনে গেলাম এসে। তোমারা জান বলতে কত কথা, গড়তে জান কত রূপকথা লে রূপকথা আমার কানে মর্মভেদী বজ্র হানে, কই নি কথা, মুক হয়েContinue Reading

ঘুম নেই

মুক্ত বীরদের প্রতি
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

তোমরা এসেছ, বিপ্লবী বীর! অবাক অভ্যুদয়। যদিও রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে সারা কলকাতাময়। তবু দেখ আজ রক্তে রক্তে সাড়া– আমরা এসেছি উদ্দাম ভয়হারা। আমরা এসেছি চারিদিক থেকে, ভুলতে কখনো পারি! একসূত্রে যে বাঁধা হয়ে গেছে কবেContinue Reading

বিষের বাঁশী

মুক্ত-পিঞ্জর
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

ভেদি দৈত্য-কারা উদিলাম পুন আমি কারা-ত্রাস চির-মুক্ত বাধাবন্ধ-হারা উদ্দামের জ্যোতি-মুখরিত মহা-গগন-অঙ্গনে – হেরিনু, অনন্তলোক দাঁড়াল প্রণতি করি মুক্ত-বন্ধ আমার চরণে। থেমে গেল ক্ষণেকের তরে বিশ্ব-প্রণব-ওংকার, শুনিল কোথায় বাজে ছিন্ন শৃঙ্খলে কার আহত ঝংকার! কালের করাতেContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

মুক্তি-বার
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

লক্ষ্মী আমার! তোমার পথে আজকে অভিসার। অনেক দিনের পর পেয়েছি মুক্তি-রবিবার॥ দিনের পরে দিন গিয়েছে, হয়নি আমার ছুটি, বুকের ভিতর মৌন-কাঁদন পড়ত বৃথাই লুটি। আজ পেয়েছি মুক্ত হাওয়া, লাগল চোখে তোমার চাওয়া, তাই তো প্রাণেContinue Reading

ফণী মনসা

মুক্তিকাম
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

স্বাগত বঙ্গে মুক্তিকাম! সুপ্ত বঙ্গে জাগুক আবার লুপ্ত স্বাধীন সপ্তগ্রাম! শোনাও সাগর-জাগর সিন্ধু-ভৈরবী গান ভয়-হরণ,– এ যে রে তন্দ্রা, জেগে ওঠ তোরা, জেগে ঘুম দেওয়া নয় মরণ! সপ্ত-কোটি কু-সন্তান তোরা রাখিতে নারিলি সপ্তগ্রাম? খাসনি মায়েরContinue Reading

মুক্তির নিমন্ত্রণ
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

গভীর রাত্তিরে আবছা কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রাচীন কালের মসজিদের পেছনে ডালিম গাছে আলো ছড়িয়ে সুগোল নরম চাঁদখানা যখন দেখা দিল, তখন সহসা মনে পড়ল তোমার কথা, কমল। উত্তর দিগন্ত থেকে হালকা হাওয়া এল, ঝিঝি পোকারContinue Reading

মুখবন্ধ
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

আমার কবিতাগুচ্ছ মুঠো মুঠো জ্বলস্ত অঙ্গার, সৈনিকের অস্ত্রাগারে ইম্পাতের উজ্জ্বল তলোয়ার ছত্রে ছত্রে স্বীকৃত জীবনের সত্য অঙ্গীকার, দুর্বলের দরিদ্রের নিজস্ব কঠিন হাতিয়ার।   আমার কবিতা বিংশ শতাব্দীর প্রত্যক্ষ দর্পণ, আধ্যাত্মিক জীবনের বেদান্তের সহজ দর্শন। কোমলContinue Reading

দোলন-চাঁপা প্রচ্ছদ

মুখরা
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

আমার  কাঁচা মনে রং ধরেচে আজ,    ক্ষমা করো মা গো আমার আর কি সাজে লাজ? আমার  কাঁচা মনে রং ধরেচে আজ,             আমার ভুবন উঠচে রেঙে          তাঁর পরশের সোহাগ লেগে,          ঘুমিয়েContinue Reading

পূর্বাভাস - সুকান্ত ভট্টাচার্য

মুহূর্ত
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

এমন মুহূর্ত এসেছিল একদিন আমার জীবনে যে মুহূর্তে মনে হয়েছিল সার্থক ভুবনে বেঁচে থাকা : কালের আরণ্য পদপাত ঘটেছিল আমার গুহায়। জরাগ্রস্ত শীতের পাতারা উড়ে এসেছিল কোথা থেকে, সব কিছু মিশে একাকার কাল-বোশেখীর পদার্পণে সেদিনContinue Reading

পূর্বাভাস - সুকান্ত ভট্টাচার্য

মৃত পৃথিবী
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

পৃথিবী কি আজ শেষে নিঃস্ব ক্ষুধাতুর কাঁদে সারা বিশ্ব, চারিদিকে ঝরে পড়া রক্ত, জীবন আজকে উত্যক্ত। আজকের দিন নয় কাব্যের পরিণাম আর সম্ভাব্যের ভয় নিয়ে দিন কাটে নিত্য, জীবনে গোপন-দুর্বৃত্ত। তাইতো জীবন আজ রিক্ত, অলসContinue Reading

মৃত্যু
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

নদীর তীরে ওই ডালিম গাছের ধারে ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বাঁশের বেড়ার ফাঁকে সেদিন সহসা সূর্যের আলো এসে পড়েছিল, যেদিন জন্ম নিয়েছিল একটি প্রাণ নিষ্কৃত্রিম আর্তনাদে সরবে শঙ্খ রবে। তারপর কত কাল পার হয়ে গেছে সেইContinue Reading

ছাড়পত্র

মৃত্যুজয়ী গান
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

নিয়ত দক্ষিণ হাওয়া স্তব্ধ হল একদা সন্ধ্যায় অজ্ঞাতবাসের শেষে নিদ্রাভঙ্গে নির্বীর্য জনতা সহসা আরণ্য রাজ্যে স্তম্ভিত সভয়ে; নির্বায়ুমণ্ডল ক্রমে দুর্ভাবনা দৃঢ়তর করে। দুরাগত স্বপ্নের কী দুর্দিন! মহামারী অন্তরে বিক্ষোভ, সঞ্চারিত রক্তবেগ পৃথিবীর প্রতি ধমনীতে :Continue Reading

মেজদাকে : মুক্তির অভিনন্দন
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

তোমাকে দেখেছি আমি অবিচল, দৃপ্ত দুঃসময়ে ললাটে পড়ে নি রেখা ক্রূরতম সংকটেরও ভয়ে; তোমাকে দেখেছি আমি বিপদেও পরিহাস রত দেখেছি তোমার মধ্যে কোন এক শক্তি সুসংহত দুঃখে শোকে, বারবার অদৃষ্টের নিষ্ঠুর আঘাতে অনাহত, আত্মমগ্ন সমুদ্যতContinue Reading

মিঠিকড়া-সুকান্ত ভট্টাচার্য

মেয়েদের পদবী
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী, অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি; ‘আ’কার অন্ত দিয়ে মহিলা করার চেষ্টা হাসির। তাই ভূমিকা ছড়ার। ‘গুপ্ত’ ‘গুপ্তা’ হয় মেয়েদের নামে, দেখেছি অনেক চিঠি, পোষ্টকার্ড, খামে। সে নিয়মে যদি আজ ‘ঘোষ’ হয়Continue Reading

অগ্নিবীণা-কাজী নজরুল ইসলাম

মোহর্‌রম
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

নীল সিয়া আসমান, লালে লাল দুনিয়া– ‘আম্মা! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া।’ কাঁদে কোন্ ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে, সে কাঁদনে আঁশু আনে সিমারেরওছোরাতে! রুদ্র মাতম্ওঠে দুনিয়া-দামেশ্‌কে – ‘জয়নালেপরাল এ খুনিয়ারা বেশ কে?’ ‘হায় হায় হোসেনা’, ওঠেContinue Reading

ফণী মনসা

যা শত্রু পরে পরে
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

রাজ্যে যাদের সূর্য অস্ত যায় না কখনও, শুনিস হায়, মেরে মেরে যারা ভাবিছে অমর, মরিবে না কভু মৃত্যু-ঘায়, তাদের সন্ধ্যা ওই ঘনায়! চেয়ে দেখ ওই ধূম্র-চূড় অসন্তোষের মেঘ-গরুড় সূর্য তাদের গ্রাসিল প্রায়! ডুবেছে যে পথেContinue Reading

ফণী মনসা

যুগের আলো
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

নিদ্রা-দেবীর মিনার-চুড়ে মুয়াজ্জিনের শুনছি আরাব,– পান করে নে প্রাণ-পেয়ালায় যুগের আলোর রৌদ্র-শারাব! উষায় যারা চমকে গেল তরুণ রবির রক্ত-রাগে, যুগের আলো! তাদের বলো, প্রথম উদয় এমনি লাগে! সাতরঙা ওই ইন্দ্রধনুর লাল রংটাই দেখল যারা, তাদের গাঁয়ে মেঘ নামায়েContinue Reading

যৌথ
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

সবল পেশীর মুষ্টিতে ঘোরে যন্ত্রের চাকা, প্রসূত সৃষ্টি মুনাফা আনে সহস্র টাকা। মজদুর আমি যন্ত্রের মতো দৃঢ় কঠোর, আমার দেহের বয়লারটার নাম জঠর, সেখানেও চাই কয়লার মতো কিছু রুটি। ধর্মঘটের কৌশল আনে গণছুটি, লক আউটContinue Reading

সন্ধ্যা - কাজী নজরুল ইসলাম

যৌবন
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

−ওরে ও শীর্ণা নদী, দু-তীরে নিরাশা-বালুচর লয়ে জাগিবি কি নিরবধি? নব-যৌবনজলতরঙ্গ-জোয়ারে কি দুলিবি না? নাচিবে জোয়ারে পদ্মা গঙ্গা, তুই রবি চির-ক্ষীণা? ভরা ভাদরের বরিষন এসে বারে বারে তোর কূলে জানাবে রে তোরে সজল মিনতি, তুইContinue Reading

সন্ধ্যা - কাজী নজরুল ইসলাম

যৌবন জল তরঙ্গ
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

এই যৌবনজলতরঙ্গ রোধিবি কি দিয়া বালির বাঁধ? কে রোধিবি এই জোয়ারের টান গগনে যখন উঠেছে চাঁদ? যে সিন্ধু-জলে ডাকিয়াছে বান–তাহারি তরে এ চন্দ্রোদয়, বাঁধ বেঁধে থির আছে নালা ডোবা, চাঁদের উদয় তাদের নয়! যে বানContinue Reading