পৃ. ৪৪, পংক্তি ১৭, “সীতারাম…যাইবে?” এই পংক্তিটির পরিবর্ত্তে ছিল— সীতারাম বলিলেন, “শ্রী—তুমি এখানে কেন?”

শ্রী। সিপাইতে ধরিয়া আনিয়াছে।

সীতা। হাঙ্গামায় ছিলে বলিয়া? তা, ইহাদের বোধ সোধ নাই। অত্যাচার বেশী হইতেছে। যাই হউক, এখন ভগবানের কৃপায় আমরা মুক্ত হইয়াছি। এখন তুমি এখানে পড়িয়া কেন? আপনার স্থানে যাও।

পৃ. ৪৪, পংক্তি ২০, “সেখানে কে আছে?” এই কথা কয়টির পর ছিল—আমার উপর এখন দৌরাত্ম্য

পৃ. ৪৪, পংক্তি ২৩, “মাঠ” কথাটির স্থলে “কারাগার” ছিল।

পৃ. ৪৫, পংক্তি ১৬, “আমি তোমার বিবাহিতা স্ত্রী,” এই কথা কয়টির পর ছিল— তোমার স্নেহের অধিকারিণী, আমি

পৃ. ৪৫, পংক্তি ২০-২১, “তোমার আর দুই স্ত্রী আছে, কিন্তু” এই কথাটির পরিবর্ত্তে ছিল— নন্দা তোমার দ্বিতীয়া স্ত্রী,

পৃ. ৪৬, পংক্তি ৬, এই “সপ্তম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “একাদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৪৬, পংক্তি ৭-৮, “পলায়নের…হইয়াছে। সীতারাম” এই অংশটি ছিল না।

পৃ. ৪৭, পংক্তি ২১, “শ্রী আবার দাঁড়াইয়া উঠিল। বলিল,” এই কথা কয়টির পর ছিল—“এই আধখানা মোহর তুমি আমাকে পাঠাইয়া দিয়াছিলে—বিপদে পড়িলে নিদর্শন স্বরূপ তোমাকে ইহা দেখাইতে বলিয়া দিয়াছিলে। সে দিন ইহাই তোমাকে দেখাইয়া ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা পাইয়াছি।

পৃ. ৪৭, পংক্তি ২২, “ইহা তোমার অশেষ গুণ।” এই কথা কয়টির পর ছিল—কিন্তু আর কখন ইহাতে আমার প্রয়োজন হইবে না।

পৃ. ৪৭, পংক্তি ২৭, “ফিরিয়া না চাহিয়া,” এই কথা কয়টির পরিবর্ত্তে ছিল—সেই সুবর্ণার্দ্ধ নদীসৈকতে নিক্ষিপ্ত করিয়া

পৃ. ৪৮, পংক্তি ১, এই “অষ্টম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “দ্বাদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৪৮, পংক্তি ৪-৯, “তার পর সীতারাম…ভাসিয়া গেল।” এই অংশটি ছিল না।

পৃ. ৪৮, পংক্তি ৯, এই পংক্তির শেষে ছিল— একবার সে বড় দুঃখে পড়িয়াছে, লোকমুখে শুনিয়া সীতারাম তাহাকে কিছু অর্থ পাঠাইয়া দিলেন—আর চিহ্নিত করিয়া আধখানা মোহর পাঠাইয়া দিয়াছিলেন যে, “তোমার যখন কিছুর প্রয়োজন হইবে, এই আধখানা মোহর সঙ্গে দিয়া এক জন লোক আমার কাছে পাঠাইয়া দিও। সে যা চাবে, আমি তাই দিব।” শ্রী সে আধখানা মোহর কখনও কাজে লাগায় নাই—কখনও লোক পাঠায় নাই। কেবল ভাইয়ের প্রাণ রক্ষার্থ সে রাত্রে মোহর লইয়া আসিয়াছিল।

পৃ. ৪৮, পংক্তি ২৮, “পাপাচরণ করিতেছি।” এই কথা কয়টির পর ছিল— পরশুরামের কুঠার তাঁহার মনে পড়িয়াছিল।

পৃ. ৪৯, পংক্তি ২১, “জাগরূক হইতে লাগিল।” এই কথা কয়টির পর ছিল— যিনি সাম্রাজ্য সংস্থাপনের উচ্চ আশাকে মনে স্থান দিয়াছেন, তাঁহার উপযুক্ত মহিষী কই। নন্দা কি রমা কি সিংহাসনের যোগ্যা? না

পৃ. ৪৯, পংক্তি ২২, “রণজয় করিয়াছিল,” এই কথা কয়টির পর ছিল— সেই সে সিংহাসনের যোগ্যা?

এবং ইহার পরেই “যদি” কথাটির পর “সেই” কথাটি ছিল না।

পৃ. ৪৯, পংক্তি ২৮, “আমি কি জানি!” এই কথা কয়টির পর ছিল আপনি ত তাহাকে চন্দ্রচূড় ঠাকুরের জিম্মা করিয়া দিয়াছিলেন।

পৃ. ৪৯, পংক্তি ২৯, “সে এখানে আসে নাই?” এই কথা কয়টির স্থলে ছিল— সে ঠাকুরের সঙ্গ ছাড়া হইয়াছে। এখানে আসে নাই?