পৃ. ১০৪, পং ১৭, এই পংক্তির শেষে ছিল— তাই দরবারে আরও অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে রাজা রাজপুরুষেরা সকল কথা ভাঙ্গিয়া বলেন না—এই জন্য তিনি নন্দাকে কেবল আব্রু পরদার কথা বলিয়া ভুলাইয়াছিলেন।
পৃ. ১০৪, পং ২৭, “শ্বেতমর্ম্মরনির্ম্মিত” কথাটি ছিল না।
পৃ. ১০৮, পং ২৪, “ছাড়িল না” কথা কয়টির পর ছিল—
—আড়াইটা বিবাহের ব্যঙ্গটাও ছাড়িল না। শুনিয়া বাহিরের দর্শকমণ্ডলী মধ্যে অস্ফুট স্বরে কেহ কেহ বলিল, “আয়ি, আমি রাজি।” কেহ বা বলিল, “মাসী, আমার খুড়ো রাজি।”
পৃ. ১১১, পং ২৩, “খণ্ড খণ্ড করিয়া” কথা কয়টির স্থলে “মারিয়া” ছিল।
পৃ. ১১২, পং ১৯, “মন্ত্রপূত” কথাটি ছিল না।
পৃ. ১১৩, পং ১২, এই পংক্তির শেষে ছিল— অনেকেই মুরলাকে জিজ্ঞাসা করিল, “আয়ি, আড়াইটার উপর সাড়ে তিনটা হয় না?” মুরলারও লজ্জা নাই—সে উত্তর দিল, “হয়—তোর বাবাকে ডেকে আন্গে যা—”
পৃ. ১১৪, পং ১৪, “একটা” কথাটির স্থলে “প্রধান” ছিল।
পৃ. ১১৪, পং ১৬, “এত লোক…ফুরাইল না।” এই অংশের পরিবর্ত্তে ছিল— অসংখ্য দীন, বিপন্ন, এবং লোভী লোক আসিয়া দুর্গ পরিপূর্ণ করিল—তাহাদিগের জয় জয় শব্দে উচ্চ প্রাসাদ সকল চারি দিক্ হইতে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। রাজপুরুষেরা একে একে ভিক্ষুকদিগকে সীতারামের সিংহাসন সন্নিধানে আনিল, তিনি তাহাদিগকে উপযুক্ত দান করিতে বা করাইতে লাগিলেন—তখন রাজপুরুষেরা দ্বারান্তর দিয়া তাহাদিগকে বিদায় করিয়া দিল। যে টাকা চাহিল, সে টাকা পাইল, যে সোণা চাহিল, সে সোণা পাইল, যে তৈজস চাহিল, সে তৈজস পাইল, যে বনাত চাহিল, সে বনাত পাইল, যে শাল চাহিল, সে শাল পাইল, যে ভূমি চাহিল, সে ভূমি পাইল।
পৃ. ১১৫, পং ২৪-২৫, “আমি যাহা খুঁজি,…আমাকে দিন” ইহার পরিবর্ত্তে ছিল— আমার জীবন একদিন আমায় দান করিবেন। যে অমূল্য সামগ্রী আমাকে দিবেন বলিয়াছিলেন
পৃ. ১১৫, পং ২৬-৩০, এই পাঁচটি পংক্তি ছিল না।
পৃ. ১১৬, পং ২, “কাণা কড়ির বিনিময়ে রত্নাকর?” ইহার পরিবর্ত্তে ছিল— কাণা কড়ি লইয়া কি রত্নাকর বেচিব?
পৃ. ১১৭, পং ২৫, “জিজ্ঞাসা করিল” এই কথা দুইটির পূর্ব্বে ছিল— যখন বেড়ী প্রায় খোলা হইয়াছে—তখন গঙ্গারাম জয়ন্তীকে
পৃ. ১২৩, পং ৯, “মূৰ্ত্তিমতী শোভা” কথা দুইটির স্থলে “সৌন্দৰ্য মূৰ্ত্তিমতী” ছিল।
পৃ. ১২৩, পং ১৬-১৭, “শ্রী হইতে সীতারামের সর্ব্বনাশ হইল।” এই কথাগুলি ছিল না।
পৃ. ১২৫, পং ৩, “মুসলমানের” এই কথাটির স্থলে “নেড়ের” ছিল।
পৃ. ১৩১, পং ২৮, “বাসিতেন” কথাটির পর ছিল— তা বলিয়াছি
পৃ. ১৩৪, পং ৫, “টাকার অভাবে তেমনই রোমক সাম্রাজ্য” কথা কয়টির পূর্ব্বে ছিল— টাকার অভাবে যেমন নফরা হাড়ি না খাইয়া মরিল,
পৃ. ১৩৭, পং ১৮-২০, “পাঁচ বৎসর ধরিয়া…ইহাতেই সীতারামের” এই কথাগুলির পরিবর্ত্তে ছিল— এতেই ত
পৃ. ১৪০, পং ২৫-২৬, “রাজার এমন কোন…করিতে পারে?” এইগুলির পরিবর্ত্তে ছিল— এমন সম্বাদ পাইয়াছ কি যে, রাজাদিগের এমন কোন ক্ষমতা আছে যে, আমার অনিষ্ট করিতে পারে?
পৃ. ১৪৩, পং ৭, “সন্ধান পেলে না” কথা কয়টির স্থলে “পারলে না” ছিল।
পৃ. ১৪৫, পং ৬, “সিংহব্যাঘ্রবিমর্দ্দিত” কথাটির স্থলে “সিংহব্যাঘ্র বিক্রান্ত” ছিল।
এই অষ্টাদশ পরিচ্ছেদে “চণ্ডাল” কথাটির স্থলে সর্ব্বত্র “চাণ্ডাল” ছিল।
পৃ. ১৪৬, পং ৭, “প্রবাহিত” কথাটির স্থলে “প্রতিহত” ছিল।
পৃ. ১৪৬, পং ২১, “রাজার নাম” কথা দুইটির স্থলে “রাজা নাম” ছিল।
পৃ. ১৬২, পং ১৭, “দেবীমূর্ত্তি” কথাটির স্থলে “দৈবীমূৰ্ত্তি” ছিল।
পৃ. ১৬৪, পং ১, “বৈরিশূন্য” কথাটির স্থলে “আপদ্শূন্য” ছিল।
পৃ. ১৬৫, পং ১৩, “গোলন্দাজ হইয়া আসিয়াছিল” এই কথা কয়টির পর ছিল— সন্দেহ নাই
পৃ. ১৬৫, পং ১৪, “যাইবে না মনে করিয়া থাকিবে” এই কথা কয়টির স্থলে ছিল— যাইত না
পৃ. ১৬৬, পং ২১, এই পংক্তির শেষে ছিল— এবং সর্ব্বফলদাতার নিকট প্রার্থনা করি যে, পাঠকেরা সীতারামের দুষ্কর্ম্ম এবং শ্রীর অকর্ম্ম হইতে বিরত হইয়া জয়ন্তীর কর্ম্মানুকারী হউন।
এখন, যাও জয়ন্তী! প্রফুল্লের পাশে গিয়া দাড়াও। প্রফুল্ল গৃহিণী, তুমি সন্ন্যাসিনী। দুই জনে একত্রিত হইয়া সনাতন ধৰ্ম্ম সম্পূর্ণ কর।