পৃ. ৮৬, পংক্তি ৬, এই “নবম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “দশম” পরিচ্ছেদ। এই পরিচ্ছেদের পূর্ব্বে নিম্নলিখিত পরিচ্ছেদটি ছিল—

নবম পরিচ্ছেদ

রমা বাঁচিয়া গেল, কিন্তু গঙ্গারাম বাঁচিল না। তখন গঙ্গারাম শয্যা লইল। রাজকার্য্য সকল বন্ধ করিল। সেও রমার মত স্থির করিল, বিষ খাইয়া মরিবে। কিন্তু রমাও বিষ খায় নাই, গঙ্গারামও বিষ খাইল না।

চন্দ্রচূড় ঠাকুর জানিতে পারিলেন, নগর রক্ষার কাজ এ দুঃসময়ে, ভাল হইতেছে না, নগররক্ষক আদৌ দেখেন না। শুনিলেন, নগররক্ষক পীড়িত-শয্যাগত। তিনি নগররক্ষককে দেখিতে গেলেন। গঙ্গারাম বলিল, “দশ পাঁচ দিন আমায় অবসর দিন। আমার শরীর ভাল নহে—আমি এখন পারিব না।”

চন্দ্রচূড়। শরীর ত উত্তম দেখিতেছি। বোধ হয় মন ভাল নহে। সেইরূপ দেখিতেছি।

গঙ্গারাম বিছানায় পড়িয়া রহিল। বিছানায় পড়িয়া অন্তর্দ্দাহ আরও বাড়িল— নিষ্কর্ম্মারই বড় অন্তর্দ্দাহ। কাজ কর্ম্মই, অন্তরের রোগের সর্ব্বোৎকৃষ্ট ঔষধ।

বিছানায় পড়িয়া শেষ গঙ্গারাম যাহা ভাবিয়া স্থির করিল, তাহা এই।

“ধৰ্ম্মে হৌক, অধর্ম্মে হৌক, আমার রমাকে পাইতে হইবে। নহিলে মরিতে হইবে।

তা, মরি, তাতে আপত্তি নাই, কিন্তু রমাকে না পাইয়া মরাও কষ্ট। কাজেই মরা হইবে না, রমাকে পাইতে হইবে।

ধর্ম্মপথে, পাইবার উপায় নাই। কাজেই অধর্ম্মপথে পাইতে হইবে। ধর্ম্ম যে পারে, সে করুক, যে পারিল না, সে কি প্রকারে করিবে?”

গঙ্গারামের যে ভুল হইল, অধাৰ্ম্মিক লোক মাত্রেরই সেইটি ঘটিয়া থাকে। তাহারা মনে করে, ধর্ম্মাচরণ পারিয়া উঠিলাম না, তাই অধর্ম্ম করিতেছি। তাহা নহে; ধর্ম্ম যে চেষ্টা করে, সেই করিতে পারে। অধার্ম্মিকেরা চেষ্টা করে না, কাজেই পারে না।

গঙ্গারাম তার পর ভাবিয়া ঠিক করিতে লাগিল—

“অধর্ম্মের পথে যাইতে হইবে—কিন্তু তাই বা পথ কই? রমাকে হস্তগত করা কঠিন নহে। আমি যদি আজ বলিয়া পাঠাই যে, কাল মুসলমান আসিবে, আজ বাপের বাড়ী যাইতে হইবে, তাহা হইলে সে এখনই চলিয়া আসিতে পারে। তার পর যেখানে লইয়া যাইব, কাজেই সেইখানে যাইতে হইবে। কিন্তু নিয়া যাই কোথায়? সীতারামের এলাকায় ত একদিনও কাটিবে না। সীতারাম ফিরিয়া আসিবার অপেক্ষা সহিবে না। এখনই চন্দ্রচূড় আমার মাথা কাটিতে হুকুম দিবে, আর মৃণ্ময় আমার মাথা কাটিয়া ফেলিবে। কাজেই সীতারামের এলাকার বাহিরে, যেখানে সীতারাম নাগাল না পায়, সেইখানে যাইতে হইবে। সে সবই মুসলমানের এলাকা। মুসলমানের ত আমি ফেরারি আসামী,—যেখানে যাইব, সম্বাদ পাইলে আমাকে সেইখান হইতে ধরিয়া লইয়া গিয়া শূলে দিবে। ইহার কেবল এক উপায় আছে—যদি তোরাব খাঁর সঙ্গে ভাব করিতে পারি। তোরাব খাঁ অনুগ্রহ করিলে, জীবনও পাইব, রমাও পাইব। ইহার উপায় আছে।”

পৃ. ৮৬, পংক্তি ৮, “খসম” কথাটির স্থলে “পতি” ছিল।

পৃ. ৮৬, পংক্তি ৯, “দোস্ত” কথাটির স্থলে “উপপতি” ছিল।

পৃ. ৮৬, পং ২১-২৪, “গঙ্গারামের সৌভাগ্যক্রমে…তোরাব্” ইহার পরিবর্ত্তে ছিল— বন্দেআলি সেখকে এই সকল কথা বলিতে বলিয়া দিয়া, গঙ্গারাম বলিলেন, “লিখিত উত্তর লইয়া আইস।”

বন্দেআলি বলিল, “আমার কথায় ফৌজদার সাহেব বিশ্বাস করিয়া খত দিবেন কেন?”

গঙ্গারাম বলিল, “পত্র লিখিতে আমার সাহস হয় না। আমার এই মোহর লইয়া যাও। আমার মোহর তোমার হাতে দেখিলে তিনি অবশ্য বিশ্বাস করিবেন।”

বন্দেআলি মোহর লইয়া ভূষণায় গেল। ফৌজদারিতে তার চেনা লোক ছিল। ফৌজদারী সরকারে, কারকুন দপ্তরের বখশী চেরাগ আলির সঙ্গে তাহার দোস্তী ছিল। বন্দেআলি চেরাগ আলিকে ধরিল যে, ফৌজদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া দাও, আমার বিশেষ জরুরী কথা আছে। বখশী গিয়া কারকুনকে ধরিল, কারকুন পেস্কারকে ধরিল, পেস্কার সাক্ষাৎ করাইয়া দিল।

গঙ্গারাম যেমন যেমন বলিয়া দিয়াছিলেন, বন্দেআলি অবিকল সেই রকম বলিল। লিখিত উত্তর চাহিল। তোরাব খাঁ কিছুক্ষণ চিন্তা করিলেন। বুঝিলেন যে, গঙ্গারাম ত হাতছাড়া হইয়াইছে—এখন তাহাকে মাফ করায় কোন ক্ষতি হইতে পারে না। অতএব

পৃ. ৮৬, পংক্তি ২৭, “সেও পার হইতেছিল।” এই কথা কয়টির পূর্ব্বে ছিল— যাহার সঙ্গে পাঠকের মন্দিরে পরিচয় হইয়াছিল,—

পৃ. ৮৭, পংক্তি ৬, এই “দশম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “একাদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৮৮, পংক্তি ৬-৮, “গঙ্গারাম অভীষ্ট…অনুবর্ত্তী হইয়াছিল।” এই অংশের পরিবর্ত্তে ছিল—

গঙ্গা। নলদী পরগণা আমাকে দিবেন।

ফৌজদার। মহম্মদপুর আর হিন্দুর হাতে রাখিব না। কিন্তু তুমি যদি চাও, তবে তোমাকে এখানে শিপাহশালার করিতে পারি। আর টাকা ও গ্রাম দিতে পারি।

গঙ্গারাম। তাহাই যথেষ্ট। কিন্তু আর এক ভিক্ষা আছে। সীতারামের দুই মহিষী আছে।

ফৌজ। তাহারা নবাবের জন্য। তাহাদের পাইবে না।

গঙ্গা। জ্যেষ্ঠাকে মুরশিদাবাদে পাঠাইবেন। কনিষ্ঠাকে নফরকে বখশিষ করিবেন।

ফৌজদার তামাসা করিয়া বলিলেন, “তুমি সীতারামের স্ত্রী নিয়া কি করিবে? সীতারাম যেন মরিল, কিন্তু তবু ত হিন্দুর মাঝে বিধবার বিবাহ নাই। যদি মুসলমান হইতে, তবে বুঝিতাম যে, তুমি রাণীকে নেকা করিতে পারিতে।”

গঙ্গারাম ভাবিল, এ পরামর্শ মন্দ নহে। যদি নিজে মুসলমান হইয়া, রমাকে ফৌজদারের সাহায্যে মুসলমান করিয়া নেকা করিতে পারে, তবে সীতারাম জীবিত থাকিলে, আর কোন দাবী দাওয়া করিতে পারিবে না। গঙ্গারাম নির্ব্বিঘ্নে রমাকে ভোগ দখল করিতে পারিবে। অতএব ফৌজদারকে বলিল, “মুসলমান ধৰ্ম্ম‍ই সত্য ধর্ম্ম, এইরূপ আমি ক্রমে বুঝিতেছি। মুসলমান হইব, আমি এখন স্থির করিয়াছি। কিন্তু রমাকে না পাইলে মুসলমান হইব না।”

ফৌজদার হাসিয়া বলিলেন, “রমা কে? সীতারামের কনিষ্ঠা ভার্য্যা? সে নহিলে, যদি তোমার পরকালের গতি না হয়, তবে অবশ্য তুমি যাহাতে তাহাকে পাও, তাহা আমি করিব। সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাক। কিন্তু আর একটা কথা, সীতারামের অনেক ধনদৌলত পোতা আছে না?”

গঙ্গা। শুনিয়াছি, আছে।

তোরাব খাঁ। তাহা তুমি দেখাইয়া দিবে?

গঙ্গা। কোথায় আছে, তাহা আমি জানি না।

তোরাব খাঁ। সন্ধান করিতে পারিবে?

গঙ্গা। এখন করিতে গেলে লোকে আমায় অবিশ্বাস করিবে।

তোরাব খাঁ আর কিছুই বলিলেন না।

তখন সন্তুষ্ট হইয়া গঙ্গারাম বিদায় হইল। এবং সেই রাত্রেই মহম্মদপুর ফিরিয়া আসিল।

গঙ্গারাম জানিত না যে, চাঁদশাহ ফকির তাহার অনুবর্ত্তী হইয়াছিল। চাঁদশাহ ফকির পরদিন নিভৃতে চন্দ্রচূড়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বলিল, “আহ্লাদের সম্বাদ আপনাকে দিতে আসিয়াছি। ইস্‌লামের জয় হইবে।”

চন্দ্রচূড় জানিতেন, চাঁদশাহের কাছে হিন্দু মুসলমান এক—সে কোন পক্ষে নহে—ধর্ম্মের পক্ষ এবং সীতারামের পক্ষ। অতএব এ কথার কিছু মর্ম্ম বুঝিতে না পারিয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন, “ব্যাপার কি?”

চাঁদশাহ। হিন্দুরাও ইস্‌লামের পক্ষ।

চন্দ্রচূড়। কোন কোন হিন্দু বটে।

চাঁদ। আপনারাও।

চন্দ্র। সে কি?

চাঁদ। মনে করুন, নগরপাল গঙ্গারাম দাস।

চন্দ্র। গঙ্গারাম খাঁটি হিন্দুরাজার বড় বিশ্বাসী।

চাঁদ। তাই কাল রাত্রে ভূষণায় গিয়া তোরাব খাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া আসিয়াছে।

চন্দ্র। আঁ? না, মিছে কথা।

চাঁদ। আমি সঙ্গে সঙ্গে গিয়াছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়া আসিয়াছি।

এই বলিয়া চাঁদশাহ সেখান হইতে চলিয়া গেল। চন্দ্রচূড় স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রহিলেন— তাঁহার তেজস্বিনী বুদ্ধি যেন হঠাৎ নিবিয়া গেল।

পৃ. ৮৮, পংক্তি ৯, এই “একাদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “ দ্বাদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৮৮, পংক্তি ১০, “সন্ধ্যার পর গুপ্তচর” এই কথাগুলির পূর্ব্বে ছিল—

কালে বুদ্ধি ফিরিয়া আসিলে চন্দ্রচূড় ভাবিতে লাগিলেন, “ইহার বিহিত কি কর্ত্তব্য? এখন গঙ্গারামকে পদচ্যুত করিয়া আবদ্ধ করা ভিন্ন উপায় নাই। কিন্তু তাহাকে পদচ্যুত বা কারাবদ্ধ করিব কি প্রকারে? সে যদি না মানে? নগর সিপাহী সবই ত তার হাতে। সে আমারে উলটিয়া কারারুদ্ধ করিতে পারে। মৃণ্ময়ের সাহায্য ভিন্ন তাহাকে আবদ্ধ করিতে পারিব না—কিন্তু যদি গঙ্গারাম অবিশ্বাসী, তবে মৃণ্ময়কেই বা বিশ্বাস কি? তবে সাবধানের মার নাই—সতর্ক থাকাই ভাল। বিপদ ঘটে, তখন নারায়ণ সহায় হইবেন। এখন প্রথমতঃ গঙ্গারামের মন বুঝিয়া দেখিতে হইবে।” এইরূপ ভাবিয়া চন্দ্রচূড় তখন আর কাহারও সাক্ষাতে কোন কথা প্রকাশ করিলেন না। পরে

পৃ. ৮৮, পংক্তি ১৪, এই পংক্তির পর নিম্নলিখিত অংশটি ছিল—

চন্দ্রচূড় বলিলেন, “আমার বিবেচনায়, গঙ্গারামও দ্বিতীয় সেনাপতি হইয়া মৃণ্ময়ের সাহায্যার্থ যাওয়া ভাল।”

গঙ্গারাম চুপ করিয়া রহিল—দেখিতেছে, মৃণ্ময় কি বলে।

মৃণ্ময়ের একটু রাগ হইয়াছে—আমি কি একা লড়াই পারি না যে—আমার সঙ্গে আবার গঙ্গারাম! অতএব মৃন্ময় রুষ্টভাবে বলিল, “তা চলুন না—বেশ ত!”

গঙ্গারাম তখন বলিল, “আমি যাব ত নগর রক্ষা করিবে কে?”

চন্দ্ৰ। মৃণ্ময় না হয় সে জন্য এক জন ভাল লোক রাখিয়া যাইবেন।

গঙ্গা। নগর রক্ষার জন্য রাজার কাছে জবাবদিহি আমাকে করিতে হইবে। অতএব আমি নগর

ছাড়িয়া কোথাও যাইব না।

চন্দ্র। আমি নগর রক্ষা করিব।

গঙ্গা। করিবেন। কিন্তু আমার উপর যে কাজের ভার আছে, তাহা আমি করিব।

তখন চন্দ্রচূড় মনে মনে বড় সন্দিগ্ধ হইলেন। প্রকাশে বলিলেন, “যাহা তোমরা ভাল বুঝ— তাই করিও।”

পৃ. ৮৯, পংক্তি ৫, “জগতের বন্ধু” কথা দুইটির স্থলে “জগৎপিতা” ছিল।

পৃ. ৯০, পংক্তি ১, এই “দ্বাদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “ ত্রয়োদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৯০, পংক্তি ৪, “তখন তিনি” কথা দুইটির পরই ছিল— কোন কৌশলে গঙ্গারামকে আবদ্ধ না করিয়া এই সর্ব্বনাশ উপস্থিত করিয়াছেন, নিশ্চয় বুঝিয়া,

পৃ. ৯০, পংক্তি ৫-৭, “এমন সময়ে…শিহরিয়া উঠিলেন।” এই অংশটি ছিল না।

পৃ. ৯০, পংক্তি ১৭, “ও” কথাটির স্থলে “শ্রী” ছিল।

পৃ. ৯১, পং ৬, এই “ত্রয়োদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “চতুর্দ্দশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৯১, পং ১৫, এই পংক্তির পর ছিল— মুরলার সঙ্গে কথা কহিয়াছিল শ্রী। গঙ্গারামের কাছে আসিয়াছে, জয়ন্তী একা। কি জানি, যদি গঙ্গারাম চিনিতে পারে, এজন্য শ্রী গৃহমধ্যে প্রবেশ করে নাই।

পৃ. ৯২, পং ১৮, এই পংক্তির পর ছিল—

পুরুষ। কোথা পাইব? আপনাকে ত কোন দেবীর মত বোধ হইতেছে। বলি কি, কোথায় ত পাইব? এই পুরীমধ্যে কি পাইব?

জয়ন্তী। হাঁ, তাই পাইবেন।

পু। কবে পাইব?

জয়ন্তী। তাহার কিছু বিলম্ব আছে।

পৃ. ৯২, পং ২০, এই “চতুর্দ্দশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “পঞ্চদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৯৩, পং ২৬, “এখন সৰ্ব্বনাশ হইল।” এই কথা কয়টির পূর্ব্বে ছিল— কেন ফকিরের কথায় সতর্ক হইলাম না!

পৃ. ৯৬, পং ১, এই “পঞ্চদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “ষোড়শ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ৯৮, পং ২০, এই “ষোড়শ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “সপ্তদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ১০০, পং ৭, এই “সপ্তদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “অষ্টাদশ” পরিচ্ছেদ।

পৃ. ১০০, পং ১০, “জয়ন্তী।” কথাটির পর ছিল— তোমাকে পাইলে তিনি যতদূর সুখী হইবেন, এত আর কিছুতেই না। তবে তাঁহাকে তুমি সুখী না করিবে কেন?

শ্রী। তুমি ত আমাকে শিখাইয়াছ যে, চিত্তবৃত্তির নিরোধই যোগ।

জয়ন্তী। মনোবৃত্তি সকলের আত্মবশ্যতাই যোগ। তাহা কি তুমি লাভ করিতে পার নাই?

শ্রী। আমার কথা হইতেছে না।

জয়ন্তী। যাঁহার কথা হইতেছে, তাঁহাকে তুমি এই পথে আনিতে পারিবে। সেই জন্যই সাক্ষাতের বিশেষ প্রয়োজন।

পৃ. ১০০, পং ২২, এই পংক্তির পর ছিল—

জয়ন্তী। আমি যে রাজার কাছে প্রতিশ্রুত আছি যে, তোমাকে দেখাইব।

শ্রী। কিছু দিন এইখানে থাকিয়া বিচার করিয়া দেখা যাক্, দুই দিক্ বজায় রাখা যায় কি না।

এই পর্য্যন্ত দ্বিতীয় খণ্ড।