চন্দ্রশেখর

» তৃতীয় খণ্ড : পুণ্যের স্পর্শ

প্রথম পরিচ্ছেদ রমানন্দ স্বামী মুঙ্গেরের এক মঠে, একজন পরমহংস কিয়দ্দিবস বসতি করিতেছিলেন। তাঁহার নাম রমানন্দ স্বামী। সেই ব্রহ্মচারী তাঁহার সঙ্গে বিনীত ভাবে কথোপকথন করিতেছিলেন। অনেকে জানিতেন, রমানন্দ স্বামী সিদ্ধপুরুষ। তিনি অদ্বিতীয় জ্ঞানী বটে। প্রবাদ ছিলContinue Reading

চন্দ্রশেখর

» চতুর্থ খণ্ড : প্রায়শ্চিত্ত

প্রথম পরিচ্ছেদ প্রতাপ কি করিলেন প্রতাপ জমীদার, এবং প্রতাপ দস্যু। আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ের অনেক জমীদারই দস্যু ছিলেন। ডারুইন বলেন, মানবজাতি বানরদিগের প্রপৌত্র। এ কথায় যদি কেহ রাগ না করিয়া থাকেন, তবেContinue Reading

চন্দ্রশেখর

» পঞ্চম খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ আমিয়টের পরিণাম মুরশিদাবাদ আসিয়া, ইংরেজের নৌকাসকল পৌঁছিল। মীরকাসেমের নায়েব মহম্মদ তকি খাঁর নিকট সম্বাদ আসিল যে, আমিয়ট পৌঁছিয়াছে। মহাসমারোহের সহিত আসিয়া মহম্মদ তকি আমিয়টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন। আমিয়ট আপ্যায়িত হইলেন। মহম্মদ তকি খাঁContinue Reading

চন্দ্রশেখর

» ষষ্ঠ খণ্ড : সিদ্ধি

প্রথম পরিচ্ছেদ পূর্বকথা পূর্বকথা যাহা বলি নাই, এক্ষণে সংক্ষেপে বলিব। চন্দ্রশেখরই যে পূর্বকথিত ব্রহ্মচারী, তাহা জানা গিয়াছে। যেদিন আমিয়ট, ফষ্টরের সহিত, মুঙ্গের হইতে যাত্রা করিলেন, সেই দিন সন্ধান করিতে করিতে রমানন্দ স্বামী জানিলেন যে, ফষ্টরContinue Reading

রাধারাণী

» রাধারাণী

শ্রীযুক্ত শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁহার ‘বঙ্কিম-জীবনী’তে লিখিয়াছেন— গৃহ-বিগ্রদ রাধাবল্লভজীউর রথযাত্রা প্রতিবৎসর মহাসমারোহে [কাঁঠালপাড়ায়] সম্পন্ন হইত। পূজনীয় যাদবচন্দ্র তখন জীবিত। বঙ্কিমচন্দ্র ১২৮২ সালে রথযাত্রার সময় ছুটী লইয়া গৃহে বসিয়া ছিলেন। রথে বহলোকের সমাগম হইয়াছিল। সেই ভিড়ে একটিContinue Reading

রজনী

» রজনী

রজনী সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস। ১৮৭৫ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়। বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭৭ সালে। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাসের মতে, “রজনী বাংলা ভাষায় প্রথম মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণমূলকContinue Reading

রজনী

» প্রথম খণ্ড : রজনীর কথা

প্রথম পরিচ্ছেদ তোমাদের সুখদুঃখে আমার সুখদুঃখ পরিমিত হইতে পারে না। তোমরা আর আমি ভিন্নপ্রকৃতি। আমার সুখে তোমরা সুখী হইতে পারিবে না—আমার দুঃখ তোমরা বুঝিবে না—আমি একটি ক্ষুদ্র যূথিকার গন্ধে সুখী হইব; আর ষোলকলা শশী আমারContinue Reading

রজনী

» দ্বিতীয় খণ্ড : অমরনাথের কথা

প্রথম পরিচ্ছেদ আমার এই অসার জীবনের ক্ষুদ্র কাহিনী লিখিবার বিশেষ প্রয়োজন আছে। এ সংসারসাগরে, কোন চরে লাগিয়া আমার এই নৌকা ভাঙ্গিয়াছে, তাহা এই বিশ্বচিত্রে আমি আঁকিয়া রাখিব; দেখিয়া নবীন নাবিকেরা সতর্ক হইতে পারিবে। আমার নিবাস—অথবাContinue Reading

রজনী

» তৃতীয় খণ্ড : শচীন্দ্র বক্তা

প্রথম পরিচ্ছেদ এ ভার আমার প্রতি হইয়াছে—রজনীর জীবনচরিত্রের এ অংশ আমাকে লিখিতে হইবে। লিখিব। আমি রজনীর বিবাহের সকল উদ্যোগ করিয়াছিলাম—বিবাহের দিন প্রাতে শুনিলাম যে, রজনী পলাইয়াছে, তাহাকে আর পাওয়া যায় না। তাহার অনেক অনুসন্ধান করিলাম,Continue Reading

রজনী

» চতুর্থ খণ্ড : সকলের কথা

প্রথম পরিচ্ছেদ লবঙ্গলতার কথা বড় গোল বাধিল। আমি ত সন্ন্যাসী ঠাকুরের হাতেপায়ে ধরিয়া, কাঁদিয়া কাটিয়া, শচীন্দ্রকে রজনীর বশীভূত করিবার উপায় করিতেছি। সন্ন্যাসী তন্ত্রসিদ্ধ; জগদম্বার কৃপায় যাহা মনে করেন, তাই করিতে পারেন। মিত্র মহাশয় ষষ্টি বৎসরContinue Reading

রজনী

» পঞ্চম খণ্ড : অমরনাথের কথা

প্রথম পরিচ্ছেদ এই অন্ধ পুষ্পনারী কি মোহিনী জানে, তাহা বলিতে পারি না। চক্ষে কটাক্ষ নাই, অথচ আমার মত সন্ন্যাসীকেও মোহিত করিল। আমি মনে করিয়াছিলাম, লবঙ্গলতার পর আর কখন কাহাকে ভালবাসিব না। মনুষ্যের সকলই অনর্থক দম্ভ!Continue Reading

» কৃষ্ণকান্তের উইল

কৃষ্ণকান্তের উইল বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। রোহিনী, ভ্রমর এবং গোবিন্দলালের ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী বর্নিত হয়েছে কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে। সামাজিক উপন্যাস। ১৮৮২ ও ১৮৮৪ সালেContinue Reading

» প্রথম খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ হরিদ্রাগ্রামে এক ঘর বড় জমীদার ছিলেন। জমীদার বাবুর নাম কৃষ্ণকান্ত রায়। কৃষ্ণকান্ত রায় বড় ধনী; তাঁহার জমীদারীর মুনাফা প্রায় দুই লক্ষ টাকা। এই বিষয়টা তাঁহার ও তাঁহার ভ্রাতা রামকান্ত রায়ের উপার্জিত। উভয় ভ্রাতাContinue Reading

» দ্বিতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ প্রথম বৎসর হরিদ্রাগ্রামের বাড়ীতে সংবাদ আসিল, গোবিন্দলাল, মাতা প্রভৃতি সঙ্গে নির্বিঘ্নে সুস্থ শরীরে কাশীধামে পৌঁছিয়াছেন। ভ্রমরের কাছে কোন পত্র আসিল না। অভিমানে ভ্রমরও পত্র লিখিল না। পত্রাদি আমলাবর্গের কাছে আসিতে লাগিল। এক মাসContinue Reading

রাজসিংহ

» রাজসিংহ

ভূমিকা ‘রাজসিংহ’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র ঐতিহাসিক উপন্যাস। বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের পর উপন্যাসটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে। এরপর ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণে আমূল পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের পর উপন্যাসটির কলেবর পাঁচ গুণ বৃদ্ধিContinue Reading

রাজসিংহ

» প্রথম খণ্ড : চিত্রে চরণ

প্রথম পরিচ্ছেদ তসবিরওয়ালী রাজস্থানের পার্বত্যপ্রদেশে রূপনগর নামে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য ছিল। রাজ্য ক্ষুদ্র হউক, বৃহৎ হউক, তার একটা রাজা থাকিবে। রূপনগরেরও রাজা ছিল। কিন্তু রাজ্য ক্ষুদ্র হইলে রাজার নামটি বৃহৎ হওয়ায় আপত্তি নাই–রূপনগরের রাজার নামContinue Reading

রাজসিংহ

» দ্বিতীয় খণ্ড : নন্দনে নরক

প্রথম পরিচ্ছেদ অদৃষ্টগণনা জ্যোৎস্নালোকে, শ্বেতসৈকত-পুলিন-মধ্যবাহিনী নীলসলিলা যমুনার উপকূলে নগরীগণপ্রধানা মহানগরী দিল্লী, প্রদীপ্ত মণিখণ্ডবৎ জ্বলিতেছে–সহস্র সহস্র মর্‍মরাদিপ্রস্তরনির্‍মিত মিনার গম্বুজ বুরুজ ঊর্‍ধ্বে উত্থিত হইয়া চন্দ্রালোকের রশ্মিরাশি প্রতিফলিত করিতেছে। অতিদূরে কুতবমিনারের বৃহচ্চূড়া, ধূমময় উচ্চস্তম্ভবৎ দেখা যাইতেছিল, নিকটে জুম্মাContinue Reading

রাজসিংহ

» তৃতীয় খণ্ড : বিবাহে বিকল্প

প্রথম পরিচ্ছেদ বক ও হংসীর কথা নির্মল ধীরে ধীরে রাজকুমারীর কাছে গিয়া বসিলেন। দেখিলেন, রাজকুমারী একা বসিয়া কাঁদিতেছেন। সে দিন যে চিত্রগুলি ক্রীত হইয়াছিল, তাহার একখানি রাজকুমারীর হাতে দেখিলেন। নির্মলকে দেখিয়া চঞ্চল চিত্রখানি উল্টাইয়া রাখিলেন—Continue Reading

রাজসিংহ

» চতুর্থ খণ্ড : রন্ধ্রে যুদ্ধ

প্রথম পরিচ্ছেদ চঞ্চলের বিদায় প্রভাতে মোগল সৈন্য সাজিল। রূপনগরের গড়ের সিংহদ্বার হইতে, উষ্ণীষকবচশোভিত, গুম্ফশ্মশ্রুসমন্বিত, অস্ত্রসজ্জাভীষণ অশ্বারোহিদল সারি দল। পাঁচ পাঁচ জন অশ্বারোহীর এক এক সারি, সারির পিছু সারি, তার পর আবার সারি, সারি সারি সারিContinue Reading

রাজসিংহ

» পঞ্চম খণ্ড : অগ্নির আয়োজন

প্রথম পরিচ্ছেদ শাহজাদী অপেক্ষা দুঃখী ভাল বলিয়াছি, মবারক রণভূমিতে পর্‍বতের সানুদেশে সহসা অদৃশ্য হইলেন। অদৃশ্য হইবার কারণ, তিনি যে পথে অশ্বারোহণে সৈন্য লইয়া যাইতেছিলেন, তাহার মধ্যে একটা কূপ ছিল। কেহ পর্‍বতোপরি বাস করিবার অভিপ্রায়ে জলেরContinue Reading