দূর্গেশনন্দিনী

» দূর্গেশনন্দিনী

গ্রন্থপরিচয় বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ-কর্মী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমচন্দ্রের জন্ম ১৮৩৮ সালের ২৬ শে জুন, অধুনা চব্বিশ পরগণা জেলার অন্তর্গত নৈহাটির কাঁঠালপাড়া গ্রামে। বাবা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মেদিনীপুরের কলেক্টর। নিয়মমাফিক পড়াশোনা শুরু বাবার কর্মস্থল মেদিনীপুর জেলারContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» প্রথম খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ দেবমন্দির ৯৯৭ বঙ্গাব্দের নিদাঘশেষে একদিন একজন অশ্বারোহী পুরুষ বিষ্ণুপুর হইতে মান্দারণের পথে একাকী গমন করিতেছিলেন। দিনমণি অস্তাচলগমনোদ্যোগী দেখিয়া অশ্বারোহী দ্রুতবেগে অশ্ব সঞ্চালন করিতে লাগিলেন। কেন না, সম্মুখে প্রকাণ্ড প্রান্তর; কি জানি, যদি কালধর্মেContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» দ্বিতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ আয়েষা আয়েষা, জগৎসিংহ যখন চক্ষুরুন্মীলন করিলেন, তখন দেখিলেন যে, তিনি সুরম্য হর্ম্যমধ্যে পর্যঙ্কে শয়ন করিয়া আছেন। যে ঘরে তিনি শয়ন করিয়া আছেন, তথায় যে আর কখন আসিয়াছিলেন, এমত বোধ হইল না; কক্ষটি অতিContinue Reading

কপালকুণ্ডলা

» কপালকুণ্ডলা

কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। সম্ভবত এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস। চরিত্র: নবকুমার শর্ম্মা- সপ্তগ্রামনিবাসী যুবক। কাপালিক- যোগসাধকContinue Reading

কপালকুণ্ডলা

» প্রথম খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ সাগরসঙ্গমে “Floating straight obedient to the stream.” Comedy of Errors. প্রায় দুই শত পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে এক দিন মাঘ মাসের রাত্রিশেষে একখানি যাত্রীর নৌকা গঙ্গাসাগর হইতে প্রত্যাগমন করিতেছিল। পর্তুগিস ও অন্যান্য নাবিকদস্যুদিগের ভয়েContinue Reading

কপালকুণ্ডলা

» দ্বিতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ রাজপথে “—There-now lean on me: Place your foot here”— Manfred নবকুমার মেদিনীপুরে আসিয়া অধিকারীর প্রদত্ত ধনবলে কপালকুণ্ডলার জন্য একজন দাসী, একজন রক্ষক ও শিবিকাবাহক নিযুক্ত করিয়া তাঁহাকে শিবিকারোহণে পাঠাইলেন। অর্থের অপ্রাচুর্য্য হেতু স্বয়ংContinue Reading

কপালকুণ্ডলা

» তৃতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ ভূতপূর্বে “কষ্টোহয়ং খলু ভৃত্যভাবঃ।” রত্নাবলী। যখন নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে লইয়া চটি হইতে যাত্রা করেন, তখন মতিবিবি পথান্তরে বর্ধমানাভিমুখে যাত্রা করিলেন। যতক্ষণ মতিবিবি পথবাহন করে, ততক্ষণ আমরা তাঁহার পূর্ববৃত্তান্ত কিছু বলি। মতির চরিত্র মহাদোষ কলুষিত,Continue Reading

কপালকুণ্ডলা

» চতুর্থ খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ শয়নাগারে “রাধিকার বেড়ী ভাঙ্গ, এ মম মিনতি।” ব্রজাঙ্গনা কাব্য লুৎফ-উন্নিসার আগ্রা গমন করিতে এবং তথা হইতে সপ্তগ্রাম আসিতে প্রায় এক বৎসর গত হইয়াছিল। কপালকুণ্ডলা এক বৎসরের অধিক কাল নবকুমারের গৃহিণী। যেদিন প্রদোষকালে লুৎফ-উন্নিসাContinue Reading

মৃণালিনী

» মৃণালিনী

মৃণালিনী সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় উপন্যাস। প্রকাশকাল ১৮৬৯। এই উপন্যাসেই প্রথম স্বদেশপ্রেমকে বিষয়বস্তু করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। এই উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র আলিপুরে থাকাকালীন রচনা করেছিলেন। বইটি উৎসর্গ করেছিলেন বন্ধু তথা বিশিষ্ট নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রকে। ন্যাশানাল থিয়েটার ১৮৭৪ সালেContinue Reading

মৃণালিনী

» প্রথম খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ আচার্য একদিন প্রয়াগতীর্থে, গঙ্গাযমুনা-সঙ্গমে, অপূর্ব প্রাবৃট্র‍দিনান্তশোভা প্রকটিত হইতেছিল। প্রাবৃট্।‍কাল, কিন্তু মেঘ নাই, অথবা যে মেঘ আছে, তাহা স্বর্ণময় তরঙ্গমালাবৎ পশ্চিম গগনে বিরাজ করিতেছিল। সূর্যদেব অস্তে গমন করিয়াছিলেন। বর্ষার জলসঞ্চারে গঙ্গা যমুনা উভয়েই সম্পূর্ণশরীরা,Continue Reading

মৃণালিনী

» দ্বিতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ গৌড়েশ্বর অতি বিস্তীর্ণ সভমণ্ডপে নবদ্বীপোজ্জ্বলকারী রাজাধিরাজ গৌড়েশ্বর বিরাজ করিতেছেন। উচ্চ শ্বেত প্রস্তরের বেদির উপরে রত্নপ্রবালবিভূষিত সিংহাসনে, রত্নপ্রবালমণ্ডিত ছত্রতলে বর্ষীয়ান রাজা বসিয়া আছেন। শিরোপরি কনককিঙ্কিণী সংবেষ্টিত বিচিত্র কারুকার্যখচিত শুভ্র চন্দ্রাতপ শোভা পাইতেছে। এক দিকেContinue Reading

মৃণালিনী

» তৃতীয় খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ উনি তোমার কে? যে কুটীরের নিকটস্থ বৃক্ষতলে বসিয়া হেমচন্দ্র বিশ্রাম করিতেছিলেন, সেই কুটীরমধ্যে এক পাটনী বাস করিত। কুটীরমধ্যে তিনটি ঘর। এক ঘরে পাটনীর পাকাদি সমাপন হইত। অপর ঘরে পাটনীর পত্নী শিশুসন্তান সকল লইয়াContinue Reading

মৃণালিনী

» চতুর্থ খণ্ড

প্রথম পরিচ্ছেদ ঊর্ণনাভ যতক্ষণ মৃণালিনীর সুখের তারা ডুবিতেছিল, ততক্ষণ গৌড়দেশের সৌভাগ্যশশীও সেই পথে যাইতেছিল। যে ব্যক্তি রাখিলে গৌড় রাখিতে পারিত, সে ঊর্ণনাভের ন্যায় বিরলে বসিয়া অভাগা জন্মভূমিকে বদ্ধ করিবার জন্য জাল পাতিতেছিল। নিশীথ নিভৃতে বসিয়াContinue Reading

বিষবৃক্ষ

» বিষবৃক্ষ

বিষবৃক্ষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস। এটি বঙ্কিমচন্দ্রের চতুর্থ বাংলা উপন্যাস এবং তাঁর বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, রজনী গার্হস্থ্যধর্মী উপন্যাসত্রয়ীর অন্যতম। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা (১৮৭২) থেকে চৈত্র সংখ্যা (১৮৭৩) পর্যন্ত বঙ্গদর্শন পত্রিকায় মোট বারোটি কিস্তিতেContinue Reading

ইন্দিরা

» ইন্দিরা

‘ইন্দিরা’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কুশলী হাতে নির্মিত শ্রেষ্ঠ চরিত্রগুলোর একটি নয়। তারপরও এই উপন্যাসের বিশেষত্ব কী? এই রচনাকে বাংলাসাহিত্যের ছোটগল্প রচনার প্রথম সফল প্রচেষ্টার একটি হিসেবে দেখা হয়। প্রকাশিত হয়েছিল ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়। লেখকের নিজের সম্পাদিত কাগজে।Continue Reading

» যুগলাঙ্গুরীয়

ঐতিহাসিক অনু-উপন্যাস। প্রথম প্রকাশ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (বৈশাখ, ১২৮০)। প্রথম সংস্করণে পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৩৬। ১৮৯৩ সালে পঞ্চম তথা সর্বশেষ সংস্করণে পৃষ্ঠা সংখ্যা হয় ৫০। ‘যুগলাঙ্গরীয়’ খুব ছোট্ট একটা আখ্যান। কেউ বলে থাকেন নভেলা বা ছোট উপন্যাস,Continue Reading

চন্দ্রশেখর

» চন্দ্রশেখর

প্রতাপ ও শৈবালির একসময় মনে হয় তাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণতা পাবে না। তারা দুইজন নদীতে ডুবে আত্মহত্যা করতে গেলেও শৈবালিনী ফিরে আসে; কিন্তু প্রতাপ ঝাপ দেয় ও ডুবে যায়। চন্দ্রশেখর নামক এক নৌচারির হস্তক্ষেপে প্রতাপ উদ্ধারContinue Reading

চন্দ্রশেখর

» উপক্রমণিকা

প্রথম পরিচ্ছেদ বালক বালিকা ভাগীরথীতীরে, আম্রকাননে বসিয়া একটি বালক ভাগীরথীর সান্ধ্য জলকল্লোল শ্রবণ করিতেছিল। তাহার পদতলে, নবদূর্বাশয্যায় শয়ন করিয়া, একটি ক্ষুদ্র বালিকা, নীরবে তাহার মুখপানে চাহিয়াছিল—চাহিয়া, চাহিয়া, চাহিয়া আকাশ নদী বৃক্ষ দেখিয়া, আবার সেই মুখপানেContinue Reading

চন্দ্রশেখর

» প্রথম খণ্ড : পাপীয়সী

প্রথম পরিচ্ছেদ দলনী বেগম সুবে বাঙ্গালা বেহার ও উড়িষ্যার অধিপতি নবাব আলিজা মীরকাসেম খাঁ মুঙ্গেরের দুর্গে বসতি করেন। দুর্গমধ্যে, অন্তঃপুরে, রঙ্গমহলে, এক স্থানে বড় শোভা। রাত্রির প্রথম প্রহর এখনও অতীত হয় নাই। প্রকোষ্ঠমধ্যে, সুরঞ্জিত হর্ম্যতলে,Continue Reading

চন্দ্রশেখর

» দ্বিতীয় খণ্ড : পাপ

প্রথম পরিচ্ছেদ কুল্‌সম “না, চিড়িয়া নাচিবে না। তুই এখন তোর গল্প বল্।” দলনী বেগম, এই বলিয়া, যে ময়ূরটা নাচিল না, তাহার পুচ্ছ ধরিয়া টানিল। আপনার হস্তের হীরকজড়িত বলয় খুলিয়া আর একটা ময়ূরের গলায় পরাইয়া দিল;Continue Reading