» » প্রথম পরিচ্ছেদ : রাজপথে

“-There-now lean on me: Place your foot here”— Manfred নবকুমার মেদিনীপুরে আসিয়া অধিকারীর প্রদত্ত ধনবলে কপালকুণ্ডলার জন্য একজন দাসী, একজন রক্ষক ও শিবিকাবাহক নিযুক্ত করিয়া তাঁহাকে শিবিকারোহণে পাঠাইলেন। অর্থের অপ্রাচুর্য্য হেতু স্বয়ং পদব্রজে চলিলেন। নবকুমারContinue Reading

» » নবম পরিচ্ছেদ : দেবনিকেতনে

“কণ্ব। অলং রুদিতেন; স্থিরা ভব, ইতঃ পন্থানমালোকয়।” শকুন্তলা প্রাতে অধিকারী নবকুমারের নিকট আসিলেন। দেখিলেন, এখনও নবকুমার শয়ন করেন নাই। জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন কি কর্তব্য?” নবকুমার কহিলেন, “আজি হইতে কপালকুণ্ডলা আমার ধর্মপত্নী। ইহার জন্য সংসার ত্যাগContinue Reading

» » অষ্টম পরিচ্ছেদ : আশ্রয়ে

“And that very night – Shall Romeo bear thee to Mantua.” Romeo and Juliet. সেই অমাবস্যার ঘোরান্ধকার যামিনীতে দুই জনে ঊর্দ্ধশ্বাসে বনমধ্যে প্রবেশ করিলেন। বন্য পথ নবকুমারের অপরিজ্ঞাত; কেবল সহচারিণী ষোড়শীকে লক্ষ্য করিয়া তদ্বর্ত্মসম্বর্তী হওয়াContinue Reading

» » সপ্তম পরিচ্ছেদ : অন্বেষণে

“And the great lord of Luna Fell at the deadly stroke; As falls on mount Avernus A thunder-smitten oak.” Lays of Ancient Rome. এদিকে কাপালিক গৃহমধ্যে তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিয়া, না খড়্গ, না কপালকুণ্ডলাকেContinue Reading

» » ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : কাপালিকসঙ্গে

“কথং নিগড়সংযতাসি। দ্রুতম্ নয়ামি ভবতীমিত—” রত্নাবলী নবকুমার কুটীরমধ্যে প্রবেশ করিয়া দ্বারসংযোজনপূর্বক করতলে মস্তক দিয়া বসিলেন। শীঘ্র আর মস্তকোত্তোলন করিলেন না। “এ কি দেবী–মানুষী–না কাপালিকের মায়ামাত্র!” নবকুমার নিস্পন্দ হইয়া হৃদয়মধ্যে এই কথার আন্দোলন করিতে লাগিলেন। কিছুইContinue Reading

» » পঞ্চম পরিচ্ছেদ : সমুদ্রতটে

“_____ যোগপ্রভাবো ন চ লক্ষ্যতে তে। বিভর্ষি চাকারনির্বতানাং মৃণালিনী হৈমমিবোপরাগম্৷” রঘুবংশ প্রাতে উঠিয়া নবকুমার সহজেই বাটী গমনের উপায় করিতে ব্যস্ত হইলেন; বিশেষ, এ কাপালিকের সান্নিধ্য কোনক্রমেই শ্রেয়স্কর বলিয়া বোধ হইল না। কিন্তু আপাতত: এ পথহীনContinue Reading

» » চতুর্থ পরিচ্ছেদ : স্তূপশিখরে

“— সবিস্ময়ে দেখিলা অদূরে, ভীষণ-দর্শন মূর্তি৷” — মেঘনাদবধ যখন নবকুমারের নিদ্রাভঙ্গ হইল, তখন রজনী গভীরা। এখনও যে তাঁহাকে ব্যাঘ্রে হত্যা করে নাই, ইহা তাঁহার আশ্চর্য বোধ হইল। ইতস্তত: নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিলেন, ব্যাঘ্র আসিতেছে কিContinue Reading

» » দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : উপকূলে

“Ingratitude! Thou marble-hearted fiend! _” King Lear আরোহীদিগের স্ফূর্তিব্যঞ্জক কথা সমাপ্ত হইলে, নাবিকেরা প্রস্তাব করিল যে, জোয়ারের বিলম্ব আছে; -এই অবকাশে আরোহিগণ সম্মুখস্থ সৈকতে পাকাদি সমাপন করুন, পরে জলোচ্ছ্বাস আরম্ভেই স্বদেশাভিমুখে যাত্রা করিতে পারিবেন। আরোহিবর্গওContinue Reading

» » প্রথম পরিচ্ছেদ : সাগরসঙ্গমে

“Floating straight obedient to the stream.” Comedy of Errors. প্রায় দুই শত পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে এক দিন মাঘ মাসের রাত্রিশেষে একখানি যাত্রীর নৌকা গঙ্গাসাগর হইতে প্রত্যাগমন করিতেছিল। পর্তুগিস ও অন্যান্য নাবিকদস্যুদিগের ভয়ে যাত্রীর নৌকা দলবদ্ধContinue Reading

» কপালকুণ্ডলা

কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। সম্ভবত এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস। চরিত্র: নবকুমার শর্ম্মা- সপ্তগ্রামনিবাসী যুবক। কাপালিক- যোগসাধকContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » দ্বাবিংশতিতম পরিচ্ছেদ : সমাপ্তি

ফুল ফুটিল। অভিরাম স্বামী গড় মান্দারণে গমন করিয়া মহাসমারোহের সহিত দৌহিত্রীকে জগৎসিংহের পাণিগৃহীত্রী করিলেন। উৎসবাদির জন্য জগৎসিংহ নিজ সহচরবর্গকে জাহানাবাদ হইতে নিমন্ত্রণ করিয়া আনাইয়াছিলেন। তিলোত্তমার পিতৃবন্ধুও অনেকে আহ্বানপ্রাপ্ত হইয়া আনন্দকার্যে আসিয়া আমোদ আহ্লাদ করিলেন। আয়েষারContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » একবিংশ পরিচ্ছেদ : সফলে নিষ্ফল স্বপ্ন

পিতৃহীনা অনাথিনী, রুগ্না শয্যায়; — জগৎসিংহ তাঁহার শয্যাপার্শ্বে। দিন যায়, রাত্রি যায়, আর বার দিন আসে; আর বার দিন যায়, রাত্রি আসে। রাজপুত-কুল-গৌরব তাহার ভগ্ন পালঙ্কের পাশে বসিয়া শুশ্রূষা করিতেছেন; সেই দীনা, শব্দহীনা বিধবার অবিরলContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » বিংশ পরিচ্ছেদ : দীপ নির্বাণোন্মুখ

যে পর্যন্ত তিলোত্তমা আশমানির সঙ্গে আয়েষার নিকট হইতে বিদায় লইয়া আসিয়াছিলেন, সেই পর্যন্ত আর কেহ তাঁহার কোন সংবাদ পায় নাই। তিলোত্তমা, বিমলা, আশমানি, অভিরাম স্বামী, কাহারও কোন উদ্দেশ পাওয়া যায় নাই। যখন মোগলপাঠানে সন্ধিসম্বন্ধ হইল,Continue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ : প্রতিযোগিতা

আয়েষা লেখনী হস্তে পত্র লিখিতে বসিয়াছেন। মুখকান্তি গম্ভীর, স্থির; জগৎসিংহকে পত্র লিখিতেছেন। একখানা কাগজ লইয়া পত্র আরম্ভ করিলেন। প্রথমে লিখিলেন, “প্রাণাধিক,” তখনই প্রাণাধিক শব্দ কাটিয়া দিয়া লিখিলেন, “রাজকুমার,” “প্রাণাধিক” শব্দ কাটিয়া “রাজকুমার” লিখিতে আয়েষার অশ্রুধারাContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ : প্রতিযোগিতা

জগৎসিংহ কারামুক্ত হইয়া পিতৃশিবিরে গমনান্তর নিজ স্বীকারানুযায়ী মোগল পাঠানে সন্ধিসম্বন্ধ করাইলেন। পাঠানেরা দিল্লীশ্বরের অধীনতা স্বীকার করিয়াও উৎকলাধিকারী হইয়া রহিলেন। সন্ধির বিস্তারিত বিবরণ ইতিবৃত্তে বর্ণনীয়। এ স্থলে অতি-বিস্তার নিষ্প্রয়োজন। সন্ধি সমাপনান্তে উভয় দল কিছু দিন পূর্বাবস্থিতিরContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » সপ্তদশ পরিচ্ছেদ : অন্তিমকাল

বিমলার পলায়নের ক্ষণমাত্র পরেই একজন কর্মচারী অতিব্যস্তে জগৎসিংহের কারাগারমধ্যে আসিয়া কহিল, “যুবরাজ! নবাব সাহেবের মৃত্যুকাল উপস্থিত, তিনি আপনাকে স্মরণ করিয়াছেন।” যুবরাজ চমৎকৃত হইয়া কহিলেন, “সে কি!” রাজপুরুষ কহিলেন, “অন্তপুরঃমধ্যে শত্রু প্রবেশ করিয়া নবাব সাহেবকে আঘাতContinue Reading

দূর্গেশনন্দিনী

» » ষোড়শ পরিচ্ছেদ : দাসী চরণে

সেই রজনীতে কতলু খাঁর বিলাস-গৃহমধ্যে নৃত্য চলিতেছিল। তথায় অপরা নর্তকী কেহ ছিল না–বা অপর শ্রোতা কেহ ছিল না। জন্মদিনোপলক্ষে মোগল সম্রাটেরা যেরূপ পারিষদমণ্ডলী মধ্যে আমোদ-পরায়ণ থাকিতেন, কতলু খাঁর সেরূপ ছিল না। কতলু খাঁর চিত্ত একান্তContinue Reading