প্রথম পরিচ্ছেদ : রাজপথে

“-There-now lean on me: Place your foot here”— Manfred নবকুমার মেদিনীপুরে আসিয়া অধিকারীর প্রদত্ত ধনবলে কপালকুণ্ডলার জন্য একজন দাসী, একজন রক্ষক ও শিবিকাবাহক নিযুক্ত করিয়া তাঁহাকে শিবিকারোহণে পাঠাইলেন। অর্থের অপ্রাচুর্য্য হেতু স্বয়ং পদব্রজে চলিলেন। নবকুমারContinue Reading

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : পান্থনিবাস

“কৈষা যোষিৎ প্রকৃতিপলা” উদ্ধবদূত যদি এই রমণী নির্দোষ সৌন্দর্য্যবিশিষ্টা হইতেন, তবে বলিতাম, “পুরুষ পাঠক! ইনি আপনার গৃহিণীর ন্যায় সুন্দরী। আর সুন্দরী পাঠকারিণি! ইনি আপনার দর্পণস্থ ছায়ার ন্যায় রূপবতী৷” তাহা হইলে রূপবর্ণনার একশেষ হইত। দুর্ভাগ্যবশত: ইনিContinue Reading

তৃতীয় পরিচ্ছেদ : সুন্দরীসন্দর্শনে

_______ধর দেবি মোহন মূরতি দেহ আজ্ঞা, সাজাই ও বরবপু আনি নানা আভরণ! মেঘনাদবধ নবকুমার গৃহস্বামীকে ডাকিয়া অন্য প্রদীপ আনিতে বলিলেন। অন্য প্রদীপ আনিবার পূর্বে একটি দীর্ঘনিশ্বাসশব্দ শুনিতে পাইলেন। প্রদীপ আনিবার ক্ষণেক পরে ভৃত্যবেশী একজন মুসলমানContinue Reading

চতুর্থ পরিচ্ছেদ : শিবিকারোহণে

“_________________খুলিনু সত্বরে, কঙ্কণ, বলয়, হার, সীঁথি, কণ্ঠমালা, কুণ্ডল, নূপুর কাঞ্চি।” মেঘনাদবধ গহনার দশা কি হইল, বলি শুন। মতিবিবি গহনা রাখিবার জন্য একটি রৌপ্যজড়িত হস্তিদন্তের কৌটা পাঠাইয়া দিলেন। দস্যুরা তাঁহার অল্প সামগ্রীই লইয়াছিল–নিকটে যাহা ছিল, তদ্ব্যতীতContinue Reading

পঞ্চম পরিচ্ছেদ : স্বদেশে

“শব্দাখ্যেয়ং যদপি কিল তে যঃ সখীনাং পুরস্তাৎ। কর্ণে লোলঃ কথয়িতুমভূদাননস্পর্শলোভাৎ॥” মেঘদূত নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে লইয়া স্বদেশে উপনীত হইলেন। নবকুমার পিতৃহীন, তাঁহার বিধবা মাতা গৃহে ছিলেন, আর দুই ভগিনী ছিল। জ্যেষ্ঠা বিধবা; তাহার সহিত পাঠক মহাশয়ের পরিচয়Continue Reading

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : অবরোধে

“কিমিত্যপাস্যাভরণানি যৌবনে ধৃতং ত্বয়া বার্ধকশোভি বল্কলম্। বদ প্রদোষে স্ফুটচন্দ্রতারকা বিভাবরী যদ্যরুণায় কল্পতে॥” — কুমারসম্ভব সকলেই অবগত আছেন যে, পূর্বকালে সপ্তগ্রাম মহাসমৃদ্ধিশালী নগর ছিল। এককালে যবদ্বীপ হইতে রোমক পর্যন্ত সর্বদেশের বণিকেরা বাণিজ্যার্থ এই মহানগরে মিলিত হইত।Continue Reading