প্রথম পরিচ্ছেদ : ভূতপূর্বে
“কষ্টোহয়ং খলু ভৃত্যভাবঃ।” রত্নাবলী। যখন নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে লইয়া চটি হইতে যাত্রা করেন, তখন মতিবিবি পথান্তরে বর্ধমানাভিমুখে যাত্রা করিলেন। যতক্ষণ মতিবিবি পথবাহন করে, ততক্ষণ আমরা তাঁহার পূর্ববৃত্তান্ত কিছু বলি। মতির চরিত্র মহাদোষ কলুষিত, মহদ্গুণেও শোভিত। এরূপContinue Reading
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : পথান্তরে
“যে মাটিতে পড়ে লোকে উঠে তাই ধরে বারেক নিরাশ হয়ে কে কোথায় মরে॥ তুফানে পতিত কিন্তু ছাড়িব না হাল। আজিকে বিফলা হলো, হতে পারে কাল॥” নবীন তপস্বিনী যে দিন নবকুমারকে বিদায় করিয়া মতিবিবি বা লুৎফ-উন্নিসাContinue Reading
তৃতীয় পরিচ্ছেদ : প্রতিযোগিনী-গৃহে
“শ্যামাদন্যো নহি নহি প্রাণনাথে মমাস্তি।” উদ্ধবদূত এ সময়ে শের আফগান বঙ্গদেশের সুবাদারের অধীনে বর্ধমানের কর্মাধ্যক্ষ হইয়া অবস্থিতি করিতেছিলেন। মতিবিবি বর্ধমানে আসিয়া শের আফগানের আলয়ে উপনীত হইলেন। শের আফগান সপরিবারে তাঁহাকে অত্যন্ত সমাদরে তথায় অবস্থিতি করাইলেন।Continue Reading
চতুর্থ পরিচ্ছেদ : রাজনিকেতনে
“পত্নীভাবে আর তুমি ভেবো না আমারে।” বীরাঙ্গানা কাব্য মতি আগ্রায় উপনীতা হইলেন। আর তাঁহাকে মতি বলিবার আবশ্যক করে না। কয়দিনে তাঁহার চিত্তবৃত্তিসকল একেবারে পরিবর্তিত হইয়াছিল। জাহাঁগীরের সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হইল। জাহাঁগীর তাঁহাকে পূর্ববৎ সমাদর করিয়া,Continue Reading
পঞ্চম পরিচ্ছেদ : আত্মমন্দিরে
“জনম অবধি হম রূপ নেহারনু নয়ন না তিরপিত ভেল। সোই মধুর বোল শ্রবণহি শুননু শ্রুতিপথে পরশ না গেল॥ কত মধুযামিনী রভসে গোঁয়ায়নু না বুঝনু কৈছন কেল। লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখনু তবু হিয়া জুড়ানContinue Reading
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : চরণতলে
“কায় মনঃ প্রাণ আমি সঁপিব তোমারে। ভুঞ্জ আসি রাজভোগ দাসীর আলয়ে॥” বীরাঙ্গানা কাব্য ক্ষেত্রে বীজ রোপিত হইলে আপনিই অঙ্কুর হয়। যখন অঙ্কুর হয়, তখন কেহ জানিতে পারে না–কেহ দেখিতে পায় না। কিন্তু একবার বীজ রোপিতContinue Reading
সপ্তম পরিচ্ছেদ : উপনগরপ্রান্তে
“_______ I am settled, and bend up Each corporal agent to this terrible feat.” Macbeth. কক্ষান্তরে গিয়া লুৎফ-উন্নিসা দ্বার রুদ্ধ করিলেন। দুই দিন পর্যন্ত সেই কক্ষ হইতে নির্গত হইলেন না। এই দুই দিনে তিনি নিজContinue Reading