[ ঘ ]
আজিজিয়া
কী মুশকিল! কোথায় করবালা আর কোথায় আজিজিয়া! আর সে কতদিন পরেই না এখানে এসেছি! … তবু গুল এখানে এল কী করে?
শুনেছি এদেশের সুন্দরীরা এমনই মুক্ত স্বাধীন আবার এমনই একগুঁয়ে। একবার যাকে ভালবাসে, তাকে আর চিরজীবনেও ভোলে না। এদের এ সত্যিকারের ভালবাসা। এ উদ্দাম ভালবাসায় মিথ্যে নেই, প্রতারণা নেই!–কিন্তু আমি তো এ ‘সাপে-নেঙুড়ে’ ভালবাসায় বিলকুল রাজি নই। তা হলে আমার এ রিক্ততার অহঙ্কারের মাথা কাটা যাবে যে।…
কাল যখন গুল আমার পাশ দিয়ে ঘোড়াটা ছুটিয়ে চলে গেল, তখন তার ‘নরগেস’ ফুলের মত টানা চোখ দুটোয় কী একটা ব্যথা-কাতর মিনতি কেঁপে কেঁপে উঠছিল। তার সেই চকিত চাওয়া, মৌনভাষা যেন কেঁদে কেঁদে কয়ে গেল, ‘বহুত দাগা দিয়া তু বেরহম!’ …
আমি আবার বললুম, ‘আমি যে মুক্ত আমায় বাঁধতে পারবে না! … আমি যে রিক্ত, আমি তোমায় কি দিব?’ সে তার ফিরোজা রঙের উড়ানিটা দিয়ে আমার হাতদুটো এক নিমেষে বেঁধে ফেলে বললে, ‘এই তো বেঁধেছি! … আর তুমি রিক্ত বলছ হাসিন? তা হোক, আমার কুম্ভভরা ভালবাসা হতে না হয় খানিক ঢেলে দিয়ে তোমার রিক্ত চিত্ত পূর্ণ করে দেব!’
আমি বলছি, ‘না–না’, সে তত হাসছে আর বলছে, ‘মিথ্যুক, মিথ্যুক, বেরহম!’
সত্যিই তো, এ কী নতুন উন্মাদনা জাগিয়ে দিচ্ছে প্রাণে গুল? কেন আমার শুষ্ক প্রাণকে মুঞ্জরিত করে তুলছ–নাঃ, এখান হতেও সরে পড়তে হবে দেখছি,–আমার কী একটা কথা মনে পড়ছে, ‘সকল গরব হায়, নিমেষে টুটে যায়, সলিল বয়ে যায় নয়নে।’
ওরে আকাশের মুক্ত পাখি, ওরে মুগ্ধ বিহগী! এ কী শিকলি পরতে চাচ্ছিস তা তুই এখন কিছুতেই বুঝতে পারছিসনে।–এড়িয়ে চল–এড়িয়ে চল সোনার শিকল! ‘মানুষ মরে মিঠাতে, পাখি মরে আঠাতে!’
* * *
কুতল-আমারা
(শেষ বসন্তের নিশীথ রাত্রি)
আঃ, খোদা! কেমন করে তুমি এমন দু’ দুটো আসন্ন বন্ধন হতে আমায় মুক্তি দিলে, তাই ভাবছি আর অবিশ্রান্ত অশ্রু এসে আমাকে বিচলিত করে তুলছে! এ মুক্তির আনন্দটা বড় নিবিড় বেদনায় ভরা! রিক্তের বেদন আমার মত এমনই বাঁধা আর ছাড়ার দোটানার মধ্যে না পড়লে কেউ বুঝতে পারবে না। … হাঁ, এই সঙ্গে একটা নীরস হাসির বেগ কিছুতেই যেন সামলাতে পারছিনে এই দুটো ব্যর্থ-বন্ধনের নিষ্ঠুর কঠিন পরিণাম দেখে। তাই এই নিশীথে একটা পৈশাচিক হাসি হেসে গাইছি, ‘নিঠুর এই করেছ ভাল! এমনি করে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো! এই করেছ ভাল!’ কী হয়েছে, তাই বলছি।–
সেদিন চিঠি পেলুম, শাহিদার, আমার গোপন ঈপ্সিতার বিয়ে হয়ে গেছে,–সে সুখী হয়েছে! … মনে হল, যেন এক বন্ধন হতে মুক্তি পেলাম।–না, না, আর অসত্য বলব না, আমার সেই সময় কেমন একটা হিংসা আর অভিমানে সারা বুক যেন আলোড়িত হয়ে উঠেছিল, তাই এই কদিন ধরে বড় হিংস্রের মতই ছুটে বেড়িয়েছি, কিন্তু শান্তি পাইনি! এই আমাদের রক্তমাংসময় শরীর আর তারই ভিতরকার মনটা নিয়ে যতটা অহঙ্কার করি, বাইরে তার কতটুকু টিকে?–যেমনি মনটাকে পিটিয়ে পিটিয়ে এক নিমেষের জন্য দুরস্ত করে রাখি, অমনি মনে হয় ‘এই তো এক মস্ত দরবেশ হয়ে পড়েছি!’ তারপরেই আবার কখন কোন্ ক্ষণে যে মনের মাঝে ক্ষুধিত বাসনা হাহাকার ক্রন্দন জুড়ে দেয়, তা আর ভেবেই পাই না! আবার, পেলেও সেটাকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চাই!–হায়রে মানুষ! বুঝি বা এই বন্ধনেই সত্যিকার মুক্তি রয়েছে! কে জানে? … ভুলে যাও অভাগিনী শাহিদা, ভুলে যাও–সকল অতীত, সব স্মৃতির বেদনা, সব গোপন আকাঙ্ক্ষা, সব কিছু। সমাজের চারিদিকে অন্ধকার খাঁচায় বন্দিনী থেকে কেন হতভাগিনী তোমরা এমন করে অ-পাওয়াকে পেতে চাও? কেন তোমাদের মুগ্ধ অবোধ হিয়া এমন করে তারই পায়ে সব ঢেলে দেয়, যাকে সে কক্খনো পাবে না? তবে কেন এ অন্ধ কামনা? … বিশ্বের গোপনতম অন্তরে অন্তরে তোমাদের এই ব্যর্থপ্রেমের বেদনা-ধারা ফল্গুনদীর মত বয়ে যাচ্ছে, প্রাণপণে এই মূঢ় ভালবাসাকে রুখতে গিয়ে তোমার হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে আর সেই বিদীর্ণ হৃদয়ের খুনে সমাজের আবরণ লালে-লাল হয়ে গেছে, তবু সে তোমাদের এই আপনি-ভালবাসার, পূর্বরাগের প্রশ্রয় দেয়নি। তাই আজও পাথরের দেবতার মতো বিশাল দণ্ডহস্তে সে তোমাদের সতর্ক পাহারা দিচ্ছে।
ভুলে যাও শাহিদা, ভুলে যাও, নতুনের আনন্দে পুরাতন ভুলে যাও! তোমাদের কোনো ব্যক্তিত্বকে ভালবাসবার অধিকার নেই, জোর করে স্বামিত্বকে ভালবাসতে হবেই!…
আঃ, আজ কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদের চাঁদের ম্লান রশ্মি পাতলা মেঘের বসন ছিঁড়ে কী মলিন করুণ হয়ে ঝরছে!–গত নিশির কথাটা মনে পড়ছে আর গুরুব্যথায় নিজেই কেঁপে কেঁপে উঠছি!–
কাল রাত্তিরে এমনি সময়ে যখন এখানকার সান্ত্রীদের অধিনায়করূপে রিভলভার হাতে চারিদিক পর্যবেক্ষণ করে বেড়াচ্ছি, তখন শুনলুম, পেছনের সান্ত্রী একবার গুরুগম্ভীর আওয়াজে ‘চ্যালেঞ্জ’ করলে, ‘হল্ট, হু কামস দেয়ার?’ আর একবার সে জোরে বললে, ‘কৌন হ্যায়? খাড়া রহো! হিলো মত!–মাগো!– উঃ!’ তারপর আর কোনো আওয়াজ পাওয়া গেল না। শুধু একটা অব্যক্ত গোঙানি হাওয়ায় ভেসে এল! আমি ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে গিয়ে দেখলুম, লাল পোশাক-পরা একটি আরব রমণী সান্ত্রীর রাইফেলটা নিয়ে ছুটছে আর সান্ত্রীর হিমদেহ নিস্পন্দ হয়ে পড়ে রয়েছে। আমার আর বুঝতে বাকি থাকল না কেন এতদিন ধরে আমাদের রাইফেল চুরি যাচ্ছে আর সান্ত্রী মারা পড়ছে। ওঃ কী দুর্ধর্ষ সাহসী এই বেদুইন রমণী! আমি পলকে স্থির হয়ে রমণীকে লক্ষ্য করে গুলি ছাড়লুম, তার গায়ে লাগল না। আর একটি গুলি ছাড়তেই বোধ হয় নিজের বিপদ ভেবেই সে সহসা আমার দিকে মুখ ফিরে দাঁড়াল, তার পর বিদ্যুদ্বেগে পাকা সিপাইয়ের মত রাইফেলটা কাঁধে করে নিয়ে আমার দিকে লক্ষ্য করল, খট করে ‘বোল্ট’ বন্ধ করার শব্দ হল, তারপর কী জানি কেন হঠাৎ সে রাইফেলটা দূরে ছুড়ে দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বসে পড়ল!–আত্মরক্ষার্থে আমি ততক্ষণ ‘বোল্ট’ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েছিলুম। এই সুযোগে এক লাফে রিভলভারটা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে যা দেখলুম, তাতে আমারও হাতের রিভলভারটা এক পলকে খসে পড়ল।–তখন তার মুখের বোরকা খসে পড়েছে আর মেঘ ছিঁড়ে পূর্ণিমা-শশীর পূর্ণ শ্বেত জোছনা তার চোখে মুখে যেন নিঃশেষিত হয়ে পড়েছে! আমি স্পষ্ট দেখলুম, জানু পেতে বসে বেদুইন যুবতি ‘গুল’। তার বিস্ময়চকিত চাউনি ছাপিয়ে জ্যোৎস্নার চেয়েও উজ্জ্বল অশ্রুবিন্দু গড়িয়ে পড়ছে। একটা বেদনাতুর আনন্দের আতিশয্যে সে থরথর করে কাঁপছিল। তার প্রাণের ভাষা তারই ঐ অশ্রুর আখরে যেন আঁকা হয়ে যাচ্ছিল, ‘এতদিনে এমন করে দেখা দিলে নিষ্ঠুর! ছি, এত কাঁদানো কি ভাল!’ পাথর কেটে সে কে যেন আমার চোখে অনেকদিন পরে দু-ফোঁটা অশ্রু এনে দিল!
এ কী পরীক্ষায় ফেললে খোদা? আমার এ বিস্ময়মুগ্ধ ভাব কেটে যাওয়ার পরই মনে হল, কী করা উচিত? ভয় হল আজ বুঝি সব সংযম, সব ত্যাগ-সাধনা এই মুগ্ধা তরুণীর চোখের জলে ভেসে যায়!–আবার এই সঙ্গে মনে পড়ল শাহিদার কথা, এমনই একটি কচি অশ্রুস্নাত মুখ!…
সমস্ত কুতল-আমারার মরুভূমি আর পাহাড়ের বুকে দোল খাইয়ে কার জলদমন্দ্র আওয়াজ ছুটে এল, ‘সেনানী – হুঁশিয়ার!’
আবার আমি যেন দেখতে পেলুম, আশিস-বারির মঙ্গলঝারি আর অশ্রুসমুজ্জ্বল বিজয়মাল্য হস্তে বাংলা আমাদের দিকে আশা-উত্তেজিত দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে!–প্রেমের চরণে কর্তব্যের বলিদান দেব? না, না, কক্ষনো না!
আপনা-আপনি আমার কঠিন মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, ‘খোদা, হৃদয়ে বল দাও! বাহুতে শক্তি দাও! আর কর্তব্য-বুদ্ধি উদ্বুদ্ধ করো প্রাণের শিরায় শিরায়!’…
নিমেষে আমার সমস্ত রক্ত উষ্ণ হয়ে ভীমতেজে নেচে উঠল। আর সঙ্গে সঙ্গে বজ্রমুষ্টিতে পিস্তলটা সোজা করে ধরলুম! সমস্ত স্তব্ধ প্রকৃতির বুকে বাজ পড়ার মত কড় কড় করে হুকুম এল, ‘গুলি করো!’ …
দ্রুম! দ্রুম!! দ্রুম!!! … একটা যন্ত্রণা-কাতর কাতরানি–‘আম্মা!– মাঃ!! আঃ!’ …
তারপরেই সব শেষ।
* * *
তারপরেই আমি আত্মবিস্মৃত হয়ে পড়লুম! … ছুটে গিয়ে গুলের এলিয়ে-পড়া দেহলতা আমার চিরতৃষিত অতৃপ্ত বুকে বিপুল বলে চেপে ধরলুম! তারপর তার বেদনাস্ফুরিত ওষ্ঠপুটে আমার পিপাসী ওষ্ঠ নিবিড়ভাবে সংলগ্ন করে আর্তকণ্ঠে ডাকলুম, ‘গুল–গুল–গুল!’–প্রবল একটা জলো-হাওয়ার নাড়া পেয়ে শিউলি ঝরে পড়ার মত শুধু একরাশ ঝরা অশ্রু তার আমার মুখে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল!
অবশ অলস তার ভুজলতা দিয়ে বড় কষ্টে সে আমার কণ্ঠ বেষ্টন করে ধরলে, তারপর আরও কাছে–আরও কাছে সংলগ্ন হয়ে নিঃসাড় নিস্পন্দ হয়ে পড়ে রইল! … মেঘের কোলে লুটিয়ে-পড়া চাঁদের পানসে জ্যোৎস্না তার ব্যথা-কাতর মুখে পড়ে সে কী একটা স্নিগ্ধ করুণ মহিমশ্রী ফুটিয়ে তুলেছিল! … সেই অকরুণ স্মৃতিটাই বুঝি আমার ভাবী জীবনের সম্বল, বাকি পথের পাথেয়। … অনেকক্ষণ পরে সে আস্তে চোখ খুলে আমার মুখের পানে চেয়েই চোখ বুজে বললে, ‘এই ‘আশেকের’ হাতে ‘মাশুকের’ মরণ বড় বাঞ্ছনীয় আর মধুর, নয় হাসিন?’ আমি শুধু পাথরের মত বসে রইলুম। আর তার মুখে এক টুকরা মলিন হাসি কেঁপে কেঁপে মিলিয়ে গেল। শেষের সে তৃপ্ত হাসি তার ঠোঁটে আর ফুটল না, শুধু একটা ভূমিকম্পের মত কীসের ব্যাকুল শিহরণ সঞ্চরণ করে গেল! … তার বুকের লোহুতে আর আমার আঁখের আঁশুতে এক হয়ে বয়ে যাচ্ছিল! সে তখনও আমায় নিবিড় নিষ্পেষণে আঁকড়ে ধরে ছিল আর তার চোখে-মুখে চিরবাঞ্ছিত তৃপ্তির স্নিগ্ধ শান্তশ্রী ফুটে উঠেছিল!–এই কি সে চাচ্ছিল? তবে এই কি তার নারী-জীবনের সার্থকতা? … আর একবার–আর একবার–তার মৃত্যু-শীতল ওষ্ঠপুটে আমার শুষ্ক অধরোষ্ঠ প্রাণপণে নিষ্পেষিত করে হুমড়ি পড়ে ডাক দিলুম,–‘গুল, গুল, গুল!’ বাতাসে আহত একটা কঠোর বিদ্রুপ আমায় মুখ ভেংচিয়ে গেল, ‘ভুল–ভুল–ভুল!’ …
আবার সমস্ত মেঘ ছিন্ন করে চাঁদের আলোর যেন ‘ফিং’ ফুটছিল। গুলের নিঝুম দেহটা সমেত আমি মূর্ছিত হয়ে পড়ছিলুম, এমন সময় বিপুল ঝঞ্ঝার মত এসে এক প্রৌঢ়া বেদুইন মহিলা আমার বক্ষ হতে গুলকে ছিনিয়ে নিলে এবং উন্মাদিনীর মত ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠল, ‘গুল–আম্মা–গুল!’
* * *
প্রৌঢ়া তার মৃতা কন্যাকে বুকে চেপে ধরে আর একবার আর্তনাদ করে উঠতেই আমি তার কোলে মূর্ছাতুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে ডাকলুম, ‘আম্মা–আম্মা!’ মার মত গভীর স্নেহে আমার ললাট চুম্বন করে প্রৌঢ়া কেঁদে উঠল, ‘ফর্জন্দ ফর্জন্দ!’ কাবেরীর জলপ্রপাতের চেয়েও উদ্দাম একটা অশ্রুস্রোত আমার মাথায় ঝরে পড়ল। …
আঃ! কত নিদারুণ সে কন্যাহীনা মার কান্না!
* * *
আমি আবার প্রাণপণে গা ঝেড়ে উঠে কাতরে উঠলুম, ‘আম্মা–আম্মা–মা!’–একটা রুদ্ধ কণ্ঠে চাপা কান্নার প্রতিধ্বনি পাগল হাওয়ায় বয়ে আনলে– ‘ফর্জন্দ’।…
অনেক দূরে … পাহাড়ের ওপর হতে, … সে কোন্ শোকাতুরা মাতার কাঁদনের রেশ, ভেসে আসছিল, ‘আহ–আহ আহ!’ … আরবী ঘোড়ার ঊর্ধ্বশ্বাস ছোটার পাষাণে আহত শব্দ শোনা গেল–খট্ খট্ খট্!!!
[ ঙ ]
করাচি
(মেঘম্লান সন্ধ্যা, – সাগর বেলা)
আমি আজ কাঙাল না রাজাধিরাজ? বন্দী না মুক্ত? পূর্ণ না রিক্ত?….
একা এই ম্লান মৌন আরব সাগরের বিজন বেলায় বসে তাই ভাবছি আর ভাবছি। আর আমার মাথার ওপর মুক্ত আকাশ বেয়ে মাঝে মাঝে বৃষ্টি ঝরছে–রিম ঝিম ঝিম!