প্রথম পরিচ্ছেদ : আচার্য
একদিন প্রয়াগতীর্থে, গঙ্গাযমুনা-সঙ্গমে, অপূর্ব প্রাবৃট্রদিনান্তশোভা প্রকটিত হইতেছিল। প্রাবৃট্।কাল, কিন্তু মেঘ নাই, অথবা যে মেঘ আছে, তাহা স্বর্ণময় তরঙ্গমালাবৎ পশ্চিম গগনে বিরাজ করিতেছিল। সূর্যদেব অস্তে গমন করিয়াছিলেন। বর্ষার জলসঞ্চারে গঙ্গা যমুনা উভয়েই সম্পূর্ণশরীরা, যৌবনের পরিপূর্ণতায় উন্মদিনী,Continue Reading
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : পিঞ্জরের বিহঙ্গী
লক্ষ্মণাবতী-নিবাসী হৃষীকেশ সম্পন্ন বা দরিদ্র ব্রাহ্মণ নহেন। তাঁহার বাসগৃহের বিলক্ষণ সৌষ্ঠব ছিল। তাঁহার অন্ত:পুরমধ্যে যথায় দুইটি তরুণী কক্ষপ্রাচীরে আলেখ্য লিখিতেছিলেন, তথায় পাঠক মহাশয়কে দাঁড়াইতে হইবে। উভয় রমণীই আত্মকর্মে সবিশেষ মনোভিনিবেশ করিয়াছিলেন, কিন্তু তন্নিবন্ধন পরস্পরের সহিতContinue Reading
তৃতীয় পরিচ্ছেদ : ভিখারিণী
সখীদ্বয় এই সকল কথাবার্তা কহিতেছিলেন, এমন সময়ে কোমলকণ্ঠনি:সৃত মধুর সঙ্গীত তাঁহাদিগের কর্ণরন্ধ্রে প্রবেশ করিল। “মথুরাবাসিনি, মধুরহাসিনি, শ্যামবিলাসিনি-রে!” মৃণালিনী কহিলেন, “সই, কোথায় গান করিতেছে?” মণিমালিনী কহিলেন, “বাহির বাড়ীতে গায়িতেছে!” গায়ক গায়িতে লাগিল। “কহ লো নাগরি, গেহContinue Reading
চতুর্থ পরিচ্ছেদ : দূতী
লক্ষ্মণাবতী নগরীর প্রদেশান্তরে সর্বধন বণিকের বাটীতে হেমচন্দ্র অবস্থিতি করিতেছিলেন। বণিকের গৃহদ্বারে এক অশোকবৃক্ষ বিরাজ করিতেছিল; অপরাহ্নে তাহার তলে উপবেশন করিয়া, একটি কুসুমিত অশোকশাখা নিষ্প্রয়োজনে হেমচন্দ্র ছুরিকা দ্বারা খণ্ড খণ্ড করিতেছিলেন, এবং মুহুর্মুহুঃ পথপ্রতি দৃষ্টি করিতেছিলেন,Continue Reading
পঞ্চম পরিচ্ছেদ : লুব্ধ
মৃণালিনী বা গিরিজায়া এতন্মধ্যে কেহই আত্মপ্রতিশ্রুতি বিস্মৃতা হইলেন না। উভয়ে প্রহরেক রাত্রিতে হৃষীকেশের গৃহপার্শ্বে সংমিলিত হইলেন। মৃণালিনী গিরিজাকে দেখিবামাত্র কহিলেন, “কই, হেমচন্দ্র কোথায়?” গিরিজায়া কহিল, “তিনি আইসেন নাই।” “আইসেন নাই!” এই কথাটি মৃণালিনীর অন্তস্তল হইতেContinue Reading
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : হৃষীকেশ
মৃণালিনীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার শয়নাগারে আসিয়া হৃষীকেশ কহিলেন, “মৃণালিনী! তোমার এ কি চরিত্র?” মৃ। আমার কি চরিত্র? হৃ। তুমি কার মেয়ে, কি চরিত্র কিছুই জানি না, গুরুর অনুরোধে আমি তোমাকে গৃহে স্থান দিয়াছি। তুমি আমারContinue Reading