রুদ্রমঙ্গল
‘রুদ্রমঙ্গল’ প্রবন্ধ সঙ্কলনের প্রথম প্রকাশকাল জানা যায় না, কেননা মুদ্রিত পুস্তিকায় প্রকাশকালের উল্লেখ নেই। ৭৮ পৃষ্ঠার পুস্তিকা ‘রুদ্রমঙ্গলে’র মুদ্রাকর ছিলেন শ্রীঅমূল্যচন্দ্র ভট্টাচার্য্য, ‘ভট্টাচার্য্য প্রিণ্টিং ওয়ার্কস’, ২ নিবেদিতা লেন, বাগবাজার, কলিকাতা। মূল্য আট আনা।
আলী আহমদ উল্লেখ করেছেন ‘রুদ্রমঙ্গল’ বর্মণ পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রকাশনা সংস্থা হয়ত গ্রন্থটির পরিবেশক ছিলেন। প্রকাশকাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭৭— ‘রুদ্রমঙ্গল’ প্রকাশের পরে বঙ্গীয় সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, প্রকাশকাল ১৯৭৭ হলে বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত বঙ্গীয় সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই, কেননা, ততদিনে বঙ্গীয় সরকার বিলুপ্ত হয়েছে। তবে, স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭৭ সালে গ্রন্থটির নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়ে থাকবে।
‘রুদ্রমঙ্গল’ প্রবন্ধ ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১লা ভাদ্র, ‘আমার পথ (‘ধূমকেতুর পথ’ শিরোনামে) ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬শে শ্রাবণ, ‘মোহর্রম’ ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১৬ই ভাদ্র, ‘বিষবাণী’ ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬শে ভাদ্র, ‘ক্ষুদিরামের মা’ ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২রা আশ্বিন এবং ‘ধূমকেতুর পথ’ ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬শে আশ্বিন তারিখের ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাটি ছিল অর্ধসাপ্তাহিক, এর মালিক ও সম্পাদক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম স্বয়ং।
১৯২৬ খৃষ্টাব্দের ২রা এপ্রিল মুতাবিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ১৯শে চৈত্র শুক্রবার কলিকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। সেই উপলক্ষে নজরু ইসলাম ১৯২৬ খৃষ্টাব্দের ২৬শে আগষ্ট মুতাবিক ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ৯ই ভাদ্র তারিখের ‘গণবাণী’তে ‘মন্দির ও মসজিদ’ এবং ২রা সেপ্টেম্বর মুতাবিক ১৬ই ভাদ্র তারিখের ‘গণবাণী’তে ‘হিন্দু-মুসলমান’ লেখেন।