মধ্যমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং বহরমপুরের রামদাস সেন ও ভ্রাতুষ্পুত্র জ্যোতিষচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকখানি পত্রের পাণ্ডুলিপি নৈহাটী বঙ্কিম ভবনে রক্ষিত আছে। এই পত্রগুলি কোন কোন পত্রিকায় ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়। হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের “ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র” শীর্ষক পুস্তকেও এ সমুদয় গ্রথিত হইয়াছে। আমরা এখানে চিঠিগুলি দিলাম। পাঠক লক্ষ্য করিবেন কোন কোন পত্রে সম্পূর্ণ তারিখ নাই।

জ্যোতিষচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত পত্র

নীলমণি কি পাইবে না পাইবে তাহা জানি না। তুমি আমার বড় সুসময় দেখিয়াছ। রথযাত্রা, ঠাকুর বাড়ীর মেরামত, তোমার কন্যার বিবাহ, বাকী দেনার পরিশোধ (তোমার ছোটকাকা কিছুই দিলেন না।) ইত্যাদিতে ব্যতিব্যস্ত, এই সময় তুমি গচ্ছিত টাকার মত ব্যতিব্যস্ত করিয়াছ। আমার অসাধ্য হইয়াছে—ইতি—

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

————–

তাং ২৩শে আষাঢ়

কাল তোমাকে যখন পত্র লিখিয়াছিলাম, তখন আমার তেতলা ঘরে আগুন লাগিয়াছিল। ঘর পোড়ে নাই কিন্তু বিস্তর দ্রব্য সামগ্রী পুড়িয়া ক্ষতি হইয়াছে। সেই সময়ে তোমার পত্র পাইয়া উত্তর দিয়াছিলাম, তাই অমন পত্র লিখিয়াছিলাম। নহিলে লিখিতাম না। টাকাকড়ি এক পয়সা হাতে নাই। পূঁজি ভাঙ্গিয়া বিবাহের উদ্যোগ করিতেছি—

ইতি—তাং ২৪শে আষাঢ়
1st Aug. 1889

————–

প্রিয়তমেষু—

তোমার পত্র পাইয়া ও তুমি কঠিন রকম পড়িয়া যাওয়ার সম্বাদ পাইয়া চিন্তিত আছি। কোথায় কি রকম জখম হইয়াছে কিরূপ চিকিৎসা হইতেছে এক্ষণে কেমন আছ আর এখন লোক পাঠান আবশ্যক কিনা লিখিবে।

তুমি বাড়ী আসিলে সপিণ্ডীকরণ হইবে। আমি সেই সময় দিনস্থির করিয়া দিব। ভাদ্র মাস পড়িতে না পড়িতে যাহাতে পরিবার লইয়া যাওয়া হয় সে চেষ্টা করা আবশ্যক।

কাঁটালপাড়ার সব ভাল আছে, সংবাদ পাইয়াছি।

14th Aug., 1889

————–

কল্যাণবরেষু—

তোমার পত্র পাইয়াছি। তুমি সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করিয়াছ কিনা লিখিবে। তোমার কনিষ্ঠ পুত্রের অন্নপ্রাশন এক্ষণে হইতে পারে না, কেননা তাহার সর্বাঙ্গে ফোঁড়া ও জ্বরও কখন কখন হইয়া থাকে। অসুস্থ শরীরে অন্নপ্রাশন দিতে নাই। উপনয়নের সময়ে হইবে।

সুতরাং এক্ষণে সপিণ্ডীকরণের প্রয়োজন নাই। নীলমণি মুড়াগাছায় গিয়াছিল। পুনশ্চ আসিয়াছে; সে মুড়াগাছায় যাওয়ার পর আমার পরিবারবর্গ লইয়া রাখিতে কাঁটালপাড়ায় গিয়াছিল, এক্ষণে তাহারা সেইখানেই আছে অতএব চিন্তার বিষয় নাই।

টাকা মাসকাবারে কৈলাসের নিকট পাঠাইব। কৈলাসকে টাকা মজুত রাখিতে বলিবে, আমি বাড়ী গিয়া খরচপত্র করিব। আমি সংসারের সকল বন্দোবস্ত করিতেছি।

যদি মেহেরপুরে পীড়া বেশী না থাকে তবে পরিবার লইয়া যাওয়াই ভাল। কেননা তোমার নিজের তত্ত্বাবধান না হইলে ছেলেগুলি ভাল থাকে না। আর তোমাদের বাড়ীর কূয়া-পায়খানা অতিশয় অনিষ্টকারী জানিবে।

অনিলার একটী সম্বন্ধ আসিয়াছে। পাত্র ধনী ব্যক্তি, সব ভাল কিন্তু বয়স ৩৬ বৎসর। তোমার মত কি-না। অনিলার বিবাহে ব্যয় করা তোমার বা আমার ক্ষমতা নাই, অতএব যাহাতে অল্পব্যয় হয় তাহাই খুঁজিতে হয়। কৃতদার পাত্রে ব্যয় হইবে না।

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৮শে শ্রাবণ

————–

প্রাণাধিকেষু—

এবার যখন কোন সুযোগ পাইবে আমার ঘরের চাবির গোছা পাঠাইয়া দিও। তোমার পিতার আমলের বঙ্গদর্শন তিন বৎসর আমার জন্য বাঁধাইয়া দিও।

আমি এক বেল কাগজ পাঠাইয়াছি, পৌঁছিয়াছে কিনা সংবাদ পাই নাই। সংবাদ লিখিবে। রথের সে ১৫ টাকা কি হইল লিখিবে। বড়বাবু দিয়াছেন কি?

আনন্দমঠ যে সংখ্যায় বাহির হইয়াছে সেই সংখ্যা হইতে এক কপি বঙ্গদর্শন অক্ষয় সরকারকে দিও। “With B.C. Chatterjee’s compliments” লিখিয়া দিও। তাহা হইলে তোমাদের দেওয়া বুঝাইবে না। আনন্দমঠ শেষ হইলে দেওয়া বন্ধ করিবে।

আমায় হাবড়ায় পত্র লিখিও। বঙ্গদর্শন অচল হইলে আমাকে জানাইও। টাকা বা matter সম্বন্ধে যাহা উপকার করিতে পারি করিব।

রাধানাথ আমাকে আন্দাজি ৩০‍৲ দিয়াছে। তোমাদের যদি despatch বন্ধ থাকে তবে লিখিও, আমি টাকা পাঠাইব।

ইতি তাং ১৪ জুলাই

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চাটার্জি

————–

ঝিনাইদাহ, ২২শে কার্তিক

প্রিয়তমেষু—

তোমার পিতাকে আর অধিক কুইনাইন খাওয়াইবা না। কলিকাতায় পাঠাইবা। আমি জ্বরে বড় কষ্ট পাইয়াছি। যশোহর হইতে ডাক্তার ও ঔষধ আনাইয়া চিকিৎসা হইয়াছে। কাল রাত্রিতে জ্বর ছাড়িয়াছে। এই পত্রের সহিত তোমাদের সাংসারিক খরচ ১০০‍৲ টাকা, পূজার ১০‍৲ টাকা, ৺ঠাকুর সেবার বাকী ১৬‍৲, একুনে ১২৬‍৲ টাকা পাঠাইলাম। তোমার পিতর হাতে দিবে।

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

————–

প্রাণাধিকেষু,

বারাসতের ডেপুটি-ম্যাজিষ্ট্রেট কেদার বসু রবিবার দিন প্রাতে কাঁটালপাড়ায় যাইবেন ও বৈঠকখানায় দুইদিন বাস করিবেন। বৈঠকখানাটি ঝাঁট দিয়া সাফ করাইয়া টেবিল চৌকি পাতিয়া রাখিবা। শয়ন জন্য একখানি তক্তপোষ পাতিয়া দিবা। রন্ধন জন্য কোন চালা সাফ করাইয়া রাখিবা, রাত্রিতে শয়ন জন্য আমায় যেরূপ বিছানা দাও, সেইরূপ দিবা। কেদারবাবু বড় ভদ্রলোক, পরম বৈষ্ণব ও শুদ্ধাচার। তাঁহাকে আনাইবার জন্য ষ্টেশনে ৮||• টার ট্রেণে লোক উপস্থিত থাকিলে ভাল হয়।

পুঃ কর্তার সপিণ্ড সময়ে সমাজ খাওয়ানো হয় নাই, আগামী বুধবার উদ্যোগ করার ইচ্ছা আছে, আম্র দধি ইত্যাদির বন্দোবস্ত রাখিবা। ভাল গ্লাস দেওয়ার জন্য কুম্ভকার ঠিক করিবা।

কেদারবাবুকে আনিতে ষ্টেশনে তুমি নিজে গেলে ভাল হয়।

আং শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

————–

প্রিয়তমেষু,

মুরলী যে কাঁটালপাড়ায় যায় এমন কোন সম্ভাবনা নাই। বড়বাবুরও চাকর নাই। চাকর যাহাকে যাহাকে বহাল করিয়াছিলেন তাহারা পালাইয়াছে। কেহ থাকিতে চাহে না। আজ তিনি পৃথক বাসা করিয়াছেন, তাঁহার বাসায় অটল মোতায়েন আছে, অতএব মুরলীকে পাঠাইলে আমার বাসায় কাজ চলিবে না। অটল মুরলী উভয়ে উপস্থিত না থাকিলে বড়বাবুর কার্য চলে না। কেননা তাঁহার বাসায় জনপ্রাণী নাই। আমার কাঁটালপাড়া যাইবার কোন সম্ভাবনা নাই। বড়বাবুর অবস্থা ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হইতেছে, কখন কি রকম হয় তাহার স্থির নাই। তিনি আমাকে কোথাও যাইতে দেন না। রাত্রে উঠাইয়া আনেন। সুতরাং তাঁহাকে ফেলিয়া আমি কাঁটালপাড়া যাইতে পারিব না।

তোমার জ্যেষ্ঠতাতের এই মরণাপন্ন অবস্থা, আর তোমার পিতার শয্যাগত এই অবস্থায় তুমি যে ভোজের ঘটা বাধাইয়াছ তাহা অতি বিস্ময়কর। তোমার বালকবুদ্ধি আজও যায় নাই।

যাহা হউক সেখানে মুরলীর যাওয়া হইল না। সেখানে লোকাভাবে অটলকে পাঠান হইল না। আমার ছুরিকাঁটা যাহা ছিল তাহা ঝিনাইদহ হইতে আসিবার সময় Shirres সাহেবকে দিয়া আসিয়াছি। বেসেট যাহা আছে তাহা টেবিলে বাহির করা যায় না।

আমার বিবেচনায় যদি গোপেন্দ্রকৃষ্ণকে খাওয়াইতে হয়, তবে আমাদের দেশী ব্যঞ্জনাদি উত্তম করিয়া খাওয়াইলে ভাল হইতে পারে। তুমি যে ২||• পাঠাইয়াছিলে তাহা ফেরত পাঠাইলাম।

ইতি তাং বুধবার

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

————–

১লা ফেব্রুয়ারী ১৮৮৬

প্রিয়তমেষু—

তোমার চাকরী হওয়ার সংবাদ পাইয়া আমার বিশেষ আনন্দ হইয়াছে। তোমার চাকরীতে আমার বিশেষ উপকার; কিন্তু তাহা তত আনন্দের কারণ নহে। তুমি অমানুষ হইয়া যাইতেছিলে, এক্ষণে মনুষ্যত্বলাভ করিতে পারিবে। আর আমি আজ মরিলে কাল তোমাদের সংসার নির্বাহের উপায় ছিল না। সে উপায় হইল, ইহাই আমার আনন্দের কারণ।

কোন organic disease না থাকিলে কেহই certificate দিতে অস্বীকার করে না। তোমার সেরূপ কোন পীড়া নাই। কর্মকার্য সম্বন্ধে উপদেশ চাহিয়াছ তাহা আমি দিব। অনুবর্তী হইলে তোমার উপকার হইবে। আপাততঃ নিম্নলিখিত বইগুলি মনোযোগ পূর্বক অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করিবে।

(1) Code of Cr. Procedure Chap. 5, 6, 7, 14, cal 3 sub, II,

(2) Penal Code.

(3) Evidence Act.

(4) Police Manual.

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

————–

কল্যাণবরেষু—

তোমার পত্র পাইয়াছি, আঙ্গুলের একটু বেদনা হওয়ায় নিজহাতে পত্র লিখিতে পারিলাম না। তুমি নূতন কার্যে প্রবৃত্ত হইয়া যেরূপভাবে ব্যবহার করিতেছ তাহাতে সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। উপরওয়ালা সাহেবরা যখন যাহা বলিবেন তখনই তাহা স্বীকার করিতে হইবে এবং সাধ্যানুসারে তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে। রাসবিহারীবাবু কুলোক হইলেও তাঁহার উপর কিছুমাত্র অসন্তোষ প্রকাশ করিবে না। তাঁহার সম্বন্ধে কোন কথা সাহেবের নিকট বা অপর কাহারও নিকট কিছুমাত্র বলিবে না এবং তাঁহার খুব আনুগত্য করিবে। তিনি কাজ শেখান বা না শেখান আপনি কাজ শিখিবে। যে আপনি কাজ শিখিতে জানে তাহার পরের সাহায্যের প্রয়োজন হয় না, যে আপনি কাজ শিখিতে না জানে পরের সাহায্যে তাহার কোন উপকার হয় না। সাহেব যদ্যপি তোমাকে পুনর্বার “কুষ্টিয়া” যাইতে বলেন তখনই তাহা স্বীকার করিবে, কাজের জন্য আটকাইবে না। অপরজনকে জিজ্ঞাসা করিয়া কাজ করা যাইতে পারে। Magistrate সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইলে তোমাকে সদরে রাখার জন্য কোন কথা বলিবে না। ইহাকে “ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়া বলে।” District সাহেব তাহাতে খুব রাগ করিবার সম্ভাবনা। বংশমর্যাদা লইয়া একশবার বড়াই করিবে না, উহাতে লোক বিরক্ত হয়, উপহাস করে এবং বংশেও এমন কিছু গৌরবের কথা নাই যে সকলের কাছে সে বড়াই করা যায়। অমুককে কুষ্টিয়া দাও, আমি যাইব না, এমন সকল কথা সাহেবের কাছে বলিবে না। সর্বদা নম্রভাবে চলিবে। নম্রতা শিক্ষা তোমার নিতান্ত আবশ্যক। যাহারা তোমাকে পরামর্শ দিয়াছে যে, তুমি ছয়মাসকাল সদরে থাকিতে চাও একথা তুমি জোর করিয়া বলিতে পার, তাহারা তোমার পরম শত্রু। জোর করিয়া কোন কথা বলিলে তোমার চাকরী থাকিবে না। সাহেবের যাহা ইচ্ছা তাহা করিতে পারে। বাঙ্গালী বিশেষতঃ তোমার মত ক্ষুদ্র চাকুরের কোন কথায় জোর চলে না ইহা নিশ্চিত জানিও। কার্যে প্রবৃত্ত হইয়াছে। রাসবিহারীবাবু কি অন্য কাহাকেও শত্রু করিও না। ইতি—১৭ই ভাদ্র

শ্রীবঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়

————–

তুমি বোধকরি পূজার সময় বাড়ী গিয়াছিলে, এতদিনে ফিরিয়া আসিয়া থাকিবে। আমার নিকট উপদেশ চাহিয়াছিলে, আমি এই পত্রের মধ্যে সাতটী উপদেশ লিখিয়া পাঠাইলাম। এই সাতটী Golden Rule বিবেচনা করিবে। বিশেষ প্রথম পাঁচটি। ইহার অনুবর্তী হইলে সর্বত্র মঙ্গল ঘটিবে।

এখানকার সমস্ত মঙ্গল। ভরসা করি এই মাস হইতে তুমি সংসারের ভার লইতে পারিবে। ইতি—১লা আশ্বিন

শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বিশেষ উপদেশ

১। প্রথম প্রয়োজনীয় কথা—সত্য ভিন্ন মিথ্যা পথে যাইবে না। কলমের মুখে কখন মিথ্যা নির্গত না হয়। তাহা হইলে চাকরী থাকে না। নিতান্তপক্ষে কর্তৃপক্ষের অবিশ্বাস জন্মে। অবিশ্বাস জন্মিলে আর উন্নতি হয় না।

২। দ্বিতীয়—প্রয়োজনীয় কথা পরিশ্রম। বিনা পরিশ্রমে কখন উন্নতি হয় না। কখনও কোন কাজ পড়িয়া না থাকে।

৩। উপরওয়ালাদের আজ্ঞাকারিতা। তাঁহাদিগের নিকট বিনীত ভাব। চাকরী রাখার এবং উন্নতির পক্ষে ইহা নিতান্ত প্রয়োজনীয়। তর্ক করিও না।

৪। আপনার কাজের Rules & Hours বিশেষরূপে অবগত হইবে।

৫। কাহারও উপর অত্যাচার করিবে না। পুলিশের লোকে আসামীর উপর বড় অত্যাচার করে। অনেকের বিশ্বাস তাহা না হইলে কাজ চলে না, তাহা ভ্রান্তি। না চলে সেও ভাল। ইহা নিজে কখন করিবে না বা অধীনস্থ কাহাকেও করিতে দিবে না। ইহার কারাদণ্ড আছে।

৬। সকলের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করিবে। অধীনস্থ ব্যক্তিদিগকে সদ্ব্যবহার দ্বারা বশীভূত করিবে। কেহ শত্রু না হয়। কর্তব্য কর্মের অনুরোধে অনেকের অনিষ্ট করিতে হয়। উহার উপায় নাই। দোষীর অবশ্য দণ্ড চাই।

৭। নিষ্কারণে ভীত হইও না।

Leave a Reply