শ্রীযুক্ত দর্পণ সম্পাদক মহাশয় বরাবরেষু।
অনুগ্রহপূর্ব্বক আমার কএক পংক্তি আপনকার
দর্পণে প্রকাশ করিতে আজ্ঞা হয়।
অনুগ্রহপূর্ব্বক আমার কএক পংক্তি আপনকার
দর্পণে প্রকাশ করিতে আজ্ঞা হয়।
বিষয়ে বিরক্ত হয়ে, স্নিগ্ধ কুঞ্জবনে।
যেই জন বাস করে সুখী সেই জনে।।
সেই নির্জ্জন বটে কিন্তু একা নয়।
নিত্য প্রেম সঙ্গে কথা নিত্য নিত্য কয়।।
কতমত কাণাকাণি রাজার গোচরে।
ভালকে অবজ্ঞা যাহে মন্দে শ্রদ্ধা করে।।
তাহাতে সুমিষ্ট মিষ্ট, পক্ষির বিলাপ।
বিয়োগিনী পক্ষিণীর, কঠোর সন্তাপ।।
তুচ্ছ মান হতে জন্মে, যে প্রশংসা বায়।
তাহা হতে মলয়জে, মিষ্ট বলা যায়।।
আর মিষ্ট নবপুষ্পে সুগন্ধি পবন।
ধন বিষ হতে মিষ্ট, নদীর জীবন।।
চাতুরী আশঙ্কা দুঃখে পূর্ণিত সংসার।
সত্য সুখ বনে, শুদ্ধ ছায়া সহকার।।*
যেই জন বাস করে সুখী সেই জনে।।
সেই নির্জ্জন বটে কিন্তু একা নয়।
নিত্য প্রেম সঙ্গে কথা নিত্য নিত্য কয়।।
কতমত কাণাকাণি রাজার গোচরে।
ভালকে অবজ্ঞা যাহে মন্দে শ্রদ্ধা করে।।
তাহাতে সুমিষ্ট মিষ্ট, পক্ষির বিলাপ।
বিয়োগিনী পক্ষিণীর, কঠোর সন্তাপ।।
তুচ্ছ মান হতে জন্মে, যে প্রশংসা বায়।
তাহা হতে মলয়জে, মিষ্ট বলা যায়।।
আর মিষ্ট নবপুষ্পে সুগন্ধি পবন।
ধন বিষ হতে মিষ্ট, নদীর জীবন।।
চাতুরী আশঙ্কা দুঃখে পূর্ণিত সংসার।
সত্য সুখ বনে, শুদ্ধ ছায়া সহকার।।*
শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-‘সমাচার দর্পণ’, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫২
-‘সমাচার দর্পণ’, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫২
—————–
* ‘সমাচার দর্পণে’ মুদ্রণকালে কবিতাটিতে কয়েকটি মারাত্মক ভুল হইয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্র, ১০ মার্চ্চ ১৮৫২ তারিখের ‘সংবাদ প্রভাকরে’ এই ভুলগুলি সংশোধন করিয়া একখানি পত্র লেখেন। (‘শনিবারের চিঠি’ ১৩৩৮, পৃ. ২৮৯-৯১ দ্রষ্টব্য।) এই কবিতাটিতে ভুলগুলি সংশোধন করা হইয়াছে।
* ‘সমাচার দর্পণে’ মুদ্রণকালে কবিতাটিতে কয়েকটি মারাত্মক ভুল হইয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্র, ১০ মার্চ্চ ১৮৫২ তারিখের ‘সংবাদ প্রভাকরে’ এই ভুলগুলি সংশোধন করিয়া একখানি পত্র লেখেন। (‘শনিবারের চিঠি’ ১৩৩৮, পৃ. ২৮৯-৯১ দ্রষ্টব্য।) এই কবিতাটিতে ভুলগুলি সংশোধন করা হইয়াছে।