অলৌকিক জলযান » এক
।। এক।। ১৭ই মে—১৯৫৩। এ-ভাবে সোনা ক্রমে হেঁটে যাচ্ছে। ক্রমে সেই দিনগুলো থেকে, জন্ম থেকে সে এভাবে ক্রমে হেঁটে যাচ্ছে যেন। বড় হতে হতে চার পাশের মুগ্ধতার ভিতর কখন যেন কঠিন কিছু আবিষ্কার করেও সেContinue Reading
।। এক।। ১৭ই মে—১৯৫৩। এ-ভাবে সোনা ক্রমে হেঁটে যাচ্ছে। ক্রমে সেই দিনগুলো থেকে, জন্ম থেকে সে এভাবে ক্রমে হেঁটে যাচ্ছে যেন। বড় হতে হতে চার পাশের মুগ্ধতার ভিতর কখন যেন কঠিন কিছু আবিষ্কার করেও সেContinue Reading
।। দুই।। সকাল থেকেই বেশ একটা এলোমেলো হাওয়া দিচ্ছে। নদী থেকে এই হাওয়া উঠে এলে মৃদু ঠাণ্ডা একটা ভাব থাকে জাহাজের ভেতর। ছোটবাবুর উঠতে দেরি হয়ে গেছে। দুবার মৈত্র অমিয় ডেকে গেছে। কিন্তু ছোটবাবু রাতেContinue Reading
।। তিন।। বারোটা-চারটার ওয়াচ শেষে সিঁড়ি ভেঙ্গে ওপরে উঠে এল মৈত্র। জাহাজের পিচিঙ ক্রমে বাড়ছে। সমুদ্রে বেশ বাতাস আছে। তবু আকাশ পরিষ্কার থাকলে তেমন ভয় থাকে না। ভয় অমিয় এবং ছোটবাবুকে নিয়ে। এরা দুজনই নতুন।Continue Reading
।। চার।। সমুদ্র ক্রমে শান্ত হয়ে এল একসময়। বন্দর পেতে বেশি দেরি নেই। জাহাজিদের এ-সফরে প্রথম বন্দর। কাজেই অনেকে, সেই সকাল থেকেই কিনার দেখার চেষ্টা করছে। কিছুই তো দেখা যায় না। কেবল নীল আকাশ, নীলContinue Reading
।। পাঁচ।। ঠিক এ-সময়ে জাহাজে নানা জায়গায় নানা কাজ। যেমন, মৈত্র বৌকে চিঠি লিখছে, শেফালি আমরা কলম্বো বন্দরে আজ পৌঁছেছি। কাল আবার নোঙর তুলব। জাহাজে রসদ উঠলেই আমাদের কাজ শেষ। এখানে আশা করেছিলাম তোমার চিঠিContinue Reading
।। ছয়।। এ-বন্দরটা বেশ নিরিবিলি নির্জন। শহর খুব কাছে না হয়তো। বাতিঘর থেকে আলো এসে মাঝে মাঝে তাদের জাহাজে পড়ছে। ছোটবাবু একবার আলোর মুখোমুখি পড়ে চোখে অনেকক্ষণ ঝাপসা দেখেছে। সে ভেবেছিল চুপচাপ ফল্কাতে বসে থাকবে।Continue Reading
।। সাত।। রাত থাকতেই জাহাজ নোঙর তুলেছে। ডেবিডের ওয়াচ আটটা বারোটা। কিন্তু জাহাজ নোঙর তুলেছে বলে, শেষ রাতের দিকে পিছিলে হাড়িয়া হাফিজ করতে হয়েছে তাকে। জাহাজ নোঙর তুলে সমুদ্রে না পড়া পর্যন্ত সে ডেকে বসেছিল।Continue Reading
।। আট।। আবার ব্যস্ততা জাহাজে। বন্দর আসছে, বন্দর ধরছে জাহাজ। জাহাজিরা সবাই কাজ ফেলে ওপরে ছুটে যাচ্ছে। মেজ-মালোম ডেবিড দূরবীনে বন্দর দেখছে। এনজিন-সারেঙ মাঝে মাঝে উঠে আসছেন ডেকে। মৈত্র বার বার অমিয়কে সাবধান করছে, ঠিকContinue Reading
॥ নয় ॥ জাহাজ ছাড়ার আগে মৈত্র ছোটবাবুকে ওয়াচে নিয়ে নিল। সারেঙের ইচ্ছে ছিল না। কি দরকার, যখন চলে যাচ্ছে। এখন তো সমুদ্রে তেমন ঝড় উঠছে না। আর সামনে যে সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে, খুবContinue Reading
।। দশ।। সাগরের জল নীল, সব সাগরের জল নীল। যেখানে যখন সমুদ্র আলাদা নামে ভাগ হয়ে গেছে, ঠিক সেখানে তারা এমন কিছু দেখতে পায় না, যা দেখে সমুদ্রকে আলাদা নামে চেনা যায়। সেই নীল রঙ,Continue Reading
॥ এগার ॥ রাতে রাতে বন্দরে ঢুকেছিল জাহাজ। সেণ্টিসে রসদ, মন্টিভিডিওতে কয়লা, জল আর কিছু না—জাহাজিরা অন্ধকার রাতে বন্দর স্পষ্ট দেখতে পায়নি। কেমন পাহাড়ী ছায়ায় লাল-নীল আলোর মালা, কেউ জাহাজ থেকে নামতে পারেনি। সবাই অন্ধকারেContinue Reading
।। বারো।। সেই জেটি সেই প্রশস্ত পথ সামনে। অদূরে ওরা শহরের ভিতর স্কাইস্ক্রেপার তেমনি দেখতে পাচ্ছে। ডেকে দাঁড়ালে চার পাশে অজস্র জাহাজ। জাহাজের চিমনি। সব চিমনি থেকে ধোঁয়া ওঠে না আজকাল। মোটর ভেসেলে কোন ধোঁয়াContinue Reading
।। তেরো।। ভোরবেলা মৈত্রের উঠতে একটু বেলা হয়ে গেল। বোধহয় মৈত্র রাতে সেই স্বপ্নটা দেখছিল। বোধহয় স্বপ্নটা এত দ্রুত মাথার ভেতর পাক খাচ্ছিল যে কখন ভোর হয়ে গেছে মৈত্র টের পায়নি। একটা মাছের কঙ্কাল, তিমিContinue Reading
।। চৌদ্দ।। সকালে উঠেই মৈত্র দেখল, চব্বিশ ঘণ্টার ফ্ল্যাগ মাস্তুলে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাহাজের মাল নামানো শেষ। ড্রিফটিঙ লাইন অনেক ওপরে উঠে গেছে জাহাজের। গ্যাঙওয়েতে সিঁড়ি খাড়া। খাড়া সিঁড়িতে উঠতে ভয়। ক্রমে জাহাজ জলের ওপরContinue Reading
।। পনের।। জ্যাক অনেকক্ষণ এ-ভাবে বসে থাকল। সূর্য মাথার ওপরে উঠে আসছে। আকাশে কোন মেঘের আভাস নেই! জাহাজটা দুরন্তগতিতে জল কেটে যাচ্ছে। দু’পাশে জাহাজের জলকণা উড়ছে। জাহাজের দু’পাশে অজস্র বুদবুদ ওঠে ভেঙে যাচ্ছে। অনেক দূরেContinue Reading
আওরঙ্গজেব ব্যক্তি ও কল্পকথা অড্রি ট্রুসকে অনুবাদ মোহাম্মদ হাসান শরীফ প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০২০ বাংলা সংস্করণ উৎসর্গ আব্বাকে, তিনিই আমাকে প্রথম বাদশাহ আওরঙ্গজেব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। অনুবাদকের কথা এ বইটি পড়ার সময় শৈশবে শোনা একটিContinue Reading
অবিস্মরণীয় আওরঙ্গজেব আমি এসেছি অচেনা মানুষ হিসেবে, চলেও যাব অচেনা মানুষের মতো। —মৃত্যুর প্রাক্কালে আওরঙ্গজেবের লেখা চিঠি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৭০৭ সালে ৮৮ বছরের পরিণত বয়সে যখন জীবনের পেছন দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন তিনি ব্যর্থতাই দেখতেContinue Reading
ভারতবর্ষীয় যুবরাজের শৈশব আশা করা যায়, তার শুভাগমন এই শ্বাশত রাজবংশের জন্য সৌভাগ্যময় আর শুভ প্রমাণিত হবে। —নাতি আওরঙ্গজেবের জন্মের পর জাহাঙ্গীরের শুভেচ্ছা দাদা জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে গুজরাতের দোহাদে ১৬১৮ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আওরঙ্গজেব।Continue Reading
সম্প্রসারণ ও ন্যায়বিচার আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে শ্রেষ্ঠ বিজয়ীরা সবসময় শ্রেষ্ঠ রাজা হন না। দুনিয়ার জাতিগুলো প্রায়ই স্রেফ অসভ্য বর্বরদের অধীনস্ত হয়, সবচেয়ে বিপুল বিজয়ও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ভেঙে খান খান হয়েContinue Reading
তার বিশাল সাম্রাজ্য সুরক্ষা করা শাহ জাহান সপ্তাহে এক দিন দরবার আয়োজনে অভ্যস্ত ছিলেন এবং সত্যনিষ্ঠতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিময় ছিলেন, কারোরই তার কাছে অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন হতো না। এখন আওরঙ্গজেব দিনে দুবারContinue Reading
© All Right Reserved by Eduliture ২০২৫