» » মোহান্তের মোহ-অন্তের গান

মোহান্তের মোহ-অন্তের গান

[গান]

জাগো আজ দণ্ড-হাতে চণ্ড বঙ্গবাসী।
ডুবাল পাপ-চণ্ডাল তোদের বাংলা দেশের কাশী।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
তোরা
হত্যা দিতিস যাঁর থানে, আজ সেই দেবতাই কেঁদে
ওরে
তোদের দ্বারেই হত্যা দিয়ে মাগেন সহায় আপনি আসি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
মোহের যার নাইকো অন্ত
পূজারি সেই মোহান্ত,
মা বোনে সর্বস্বান্ত করছে বেদি-মূলে।
তোদেরে
পূজার প্রসাদ বলে খাওয়ায় পাপ-পুঁজ সে গুলে।
তোরা
তীর্থে গিয়ে দেখে আসিস পাপ-ব্যভিচার রাশি রাশি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
পুণ্যের ব্যাবসাদারি
চালায় সব এই ব্যাপারি,
জমাচ্ছে হাঁড়ি হাঁড়ি টাকার কাঁড়ি ঘরে।
হায়
ছাই মেখে যে ভিখারি-শিব বেড়ান ভিক্ষা করে –
ওরে
তাঁর পূজারি দিনে-দিনে ফুলে হচ্ছে খোদার খাসি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
এইসব ধর্ম-ঘাগি
দেবতায় করছে দাগি,
মুখে কয় সর্বত্যাগী ভোগ-নরকে বসে।
সে যে
পাপের ঘণ্টা বাজায় পাপী দেবদেউলে পশে।
আর
ভক্ত তোরা পূজিস তারেই, জোগাস খোরাক সেবাদাসী!
  জাগো বঙ্গবাসী॥
দিয়ে নিজ রক্তবিন্দু
ভরালি পাপের সিন্ধু –
ডুবলি তায়ডুবলি হিন্দু ডুবালি দেবতারে।
দেখ
ভোগের বিষ্ঠা পুড়ছে তোদের বেদির ধূপাধারে।
পূজারীর
কমণ্ডলুর গঙ্গাজলে মদের ফেনা উঠছে ভাসি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
দিতে যায় পূজা-আরতি
সতীত্ব হারায় সতী,
পুণ্য-খাতায় ক্ষতি লেখায় ভক্তি দিয়ে,
তার
ভোগ-মহলের জ্বলছে প্রদীপ তোদের পুণ্য-ঘিয়ে।
তোদের
ফাঁকা ভক্তির ভণ্ডামিতে মহাদেব আজ ঘোড়ার ঘাসি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥
তোরা সব শক্তিশালী
বুকে নয়, মুখে খালি!
বেড়ালকে বাছতে দিলি মাছের কাঁটা যে রে!
তোরা
   পূজারিকে করিস পূজা পূজার ঠাকুর ছেড়ে।
মা-র অসুর শোধরা সে ভুল, আদেশ দেন মা সর্বনাশী।
‘জয় তারকেশ্বর’ বলে পরবি রে নয় গলায় ফাঁসি।
  জাগো বঙ্গবাসী॥