» » ভূত-ভাগানোর গান

ভূত-ভাগানোর গান

[বাউল গান]

ওই
তেত্রিশ কোটি দেবতাকে তোর তেত্রিশ কোটি ভূতে
আজ
নাচ বুড্‌ঢি নাচায় বাবা উঠতে বসতে শুতে!
ও ভূত
  যেই দেখেছে মন্দির তোর
নাই দেবতা নাচছে ইতর,
আর
মন্ত্র শুধু দন্ত-বিকাশ, অমনি ভূতের পুতে,
তোর
ভগবানকে ভূত বানালে ঘানি-চক্রে জুতে॥

ও ভূত
  যেই জেনেছে তোদের ওঝা
আজ নকলের বইছে বোঝা,
ওরে
অমনি সোজা তোদের কাঁধে খুঁটো তাদের পুঁতে,
আজ
ভূত-ভাগানোর মজা দেখায় বোম-ভোলা বম্বুতে!

ও ভূত
  সর্ষে-পড়া অনেক ধুনো
দেখে শুনে হল ঝুনো,
তাই
তুলো-ধুনো করছে ততই যতই মরিস কুঁথে,
ও ভূত
নাচছে রে তোর নাকের ডগায় পারিসনে তুই ছুঁতে!

আগে বোঝেনিকো তোদের ওঝা
তোরা গোঁজামিলের মন্ত্র-ভজা।
(শিখলি শুধু চক্ষু-বোঁজা)
শিখলি শুধু কানার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে থুতে,
তাই
আপনাকে তুই হেলা করে ডাকিস স্বর্গদূতে॥

ওরে
  জীবন-হারা, ভূতে-খাওয়া!
  ভূতের হাতে মুক্তি পাওয়া
সে কি সোজা? – ভূত কি ভাগে ফুসমন্তর ফুঁতে?
তোরা
ফাঁকির ‘কিন্তু’ এড়িয়ে – পড়বি কূলহারা ‘কিন্তু’তে!

ওরে
  ভূত তো ভূত – ওই মারের চোটে
  ভূতের বাবাও উধাও ছোটে!
ভূতের বাপ ওই ভয়টাকে মার, ভূত যাবে তোর ছুটে।
তখন
ভূতে-পাওয়া এই দেশই ফের ভরবে দেবতা দূতে॥