ডেটাশিটগুলো সরিয়ে রেখে পিয়া যখন কেবিন থেকে বেরিয়ে এল, ততক্ষণে আলো বেশ কমে এসেছে। বোটের সামনের দিকে যাওয়ার পথে কানাইয়ের কেবিনের সামনে এসে একটু দাঁড়াল ও, বোঝার চেষ্টা করল ভেতর থেকে কোনও আওয়াজ আসছে কিনা। ওর দেওয়া ওষুধটা খেয়ে সারা দুপুর ঘুমিয়েছে কানাই, কিন্তু এখন মনে হল ঘুমটা ভেঙে গেছে। কেবিনের ভেতরে নড়াচড়ার শব্দ কানে এল পিয়ার। দরজায় টোকা মারার জন্যে ও একবার হাতটা তুলল, কিন্তু কী মনে হতে টোকাটা আর দিল না। আস্তে আস্তে ডেক পার হয়ে লঞ্চের সামনের দিকটায় গিয়ে দাঁড়াল।
সূর্য ডুবতে চলেছে। জোয়ারের জলে প্রায় তলিয়ে গেছে গর্জনতলা। অন্ধকার হয়ে আসা আকাশের গায়ে দ্বীপটাকে এখন ঝাপসা একটা দাগের মতো দেখতে লাগছে। সন্ধের মরা আলোয় মনে হচ্ছে দিনের শেষে পরম শান্তির ঘুমে আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছে গর্জনতলা। কিন্তু হঠাৎ সবে মাত্র পিয়া গলুইটার কাছে উঠে দাঁড়াতে গেছে–ঝাপসা দ্বীপটার ওপর মিটমিট করে উঠল খুদে খুদে আলোর টিপ; মাত্র এক পলকের জন্যে। তারপরেই আবার অন্ধকার। পরমুহূর্তেই আবার জ্বলে উঠল আলোর বিন্দুগুলো, একসঙ্গে হাজার হাজার, হয়তো বা লক্ষ লক্ষ ছুঁচের ডগার মতো বিন্দু বিন্দু আলো। এত মৃদু, যে বোটের ওপর থেকে কোনওরকমে শুধু বোঝা যায়। জ্বলা-নেভার ছন্দে দৃষ্টি একটু অভ্যস্ত হয়ে আসতেই শেকড় আর ডালপালার আবছায়া একটা আদল ধরা পড়ল পিয়ার চোখে, গুঁড়ি গুঁড়ি আলোর দানায় ঢাকা।
তাড়াতাড়ি উলটোদিকে ফিরে পিয়া ছুটল কানাইয়ের কেবিনের দিকে। দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকল, “জেগে আছেন? একটা জিনিস দেখে যান একবার। তাড়াতাড়ি আসুন।”
দরজাটা খুলতেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে একটু পিছিয়ে গেল পিয়া। যাকে দেখতে পাবে আশা করছিল, ওর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা যেন সে নয়, অন্য কেউ। মুখ আর শরীর থেকে ঘষে সাফ করা হয়ে গেছে সমস্ত ময়লা, পরনে হরেনের কাছ থেকে ধার করা একটা গেঞ্জি আর লুঙ্গি। কানাইয়ের চেহারার মধ্যে সবসময়ে যে একটা স্পষ্ট আত্মবিশ্বাসের ছাপ থাকে, সেটার কোনও চিহ্নও দেখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে মানুষটাকে যেন চিনতেই অসুবিধা হচ্ছিল পিয়ার।
“কানাই, কী হয়েছে আপনার? আপনি ঠিক আছেন তো?”
“হ্যাঁ। ভালই আছি। একটু শুধু ক্লান্ত।”
“তা হলে আসুন আমার সঙ্গে। একটা জিনিস দেখাব।”
কানাইকে সঙ্গে করে বোটের সামনের দিকটায় নিয়ে গেল পিয়া। গর্জনতলার দিকে। ইশারা করে বলল, “ওই দেখুন।”
“কী দেখব?”
“অপেক্ষা করুন একটু।”
বলতে বলতেই হঠাৎ মিটমিট করে জ্বলে উঠল আলোর বিন্দুগুলো। “মাই গড!” বলে উঠল কানাই। “ওগুলো কী?”
“এমনি জোনাকি পোকা। একসঙ্গে তালে তালে জ্বলছে আর নিভছে,” জবাব দিল পিয়া। “এই ব্যাপারটার কথা আমি কোথায় যেন পড়েছি। সাধারণত নাকি ম্যানগ্রোভ জঙ্গলেই এটা দেখা যায়।”
“জীবনে কখনও এরকম দেখিনি আমি।”
“আমিও না,” পিয়া বলল।
মুগ্ধ হয়ে আলোর নাচ দেখতে লাগল পিয়া আর কানাই। বিন্দুগুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে লাগল অন্ধকার ঘন হওয়ার সাথে সাথে। হঠাৎ কানাইয়ের চাপা গলা-খাঁকারির আওয়াজ কানে এল পিয়ার; মনে হল কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে ও। খানিক পরে শেষ পর্যন্ত যখন বলল কথাটা, আশ্চর্য হয়ে গেল পিয়া। “শুনুন পিয়া,” কোনও ভূমিকা ছাড়াই শুরু করল কানাই, “একটা কথা আপনাকে বলতে চাইছিলাম–আমি ভাবছি কাল সকালেই ফিরে যাব।”
“ফিরে যাবেন? কোথায়?”
“লুসিবাড়ি, তারপর সেখান থেকে দিল্লি।”
“আচ্ছা!” পিয়া বিস্ময়ের ভান করল। এখন ও বুঝতে পারছিল, কানাই কী বলতে যাচ্ছে সেটা প্রথম থেকেই মনে মনে জানত ও। “এত তাড়াতাড়ি ফিরে যাবেন?”
“হ্যাঁ, কানাই বলল। “আমার আসলে অফিসে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। কালকের দিনটা গেলে এখানে আমার ন’ দিন হয়ে যাবে। ওদিকে সবাইকে আমি বলে এসেছি যে দিন দশেকের মধ্যেই ফিরব। দেরি হলে আবার অফিসের লোকজন সব চিন্তা করতে শুরু করবে। কালকে যদি ভোর ভোর রওয়ানা হয়ে যাই তা হলে পরশুই পৌঁছে যাব দিল্লি।”
কানাইয়ের গলা শুনে পিয়া বুঝতে পারছিল একটা কিছু কথা ও চেপে যাচ্ছে। “সেটাই আপনার ফেরত যাওয়ার একমাত্র কারণ? শুধু অফিসের জন্যে?”
“না,” শুকনো গলায় জবাব দিল কানাই। “আরেকটা কারণ হল, এখানে আমার থাকার আর কোনও প্রয়োজন নেই। মেসোর নোটবইটাও পড়া শেষ হয়ে গেছে। আর আপনারও যে খুব একটা কিছু কাজে আমি লাগছি এমনও নয়–আমার মনে হয় ট্রান্সলেটর ছাড়াও আপনি দিব্যি চালিয়ে নিতে পারবেন।”
“হ্যাঁ, আমার জন্যে আপনার থাকার সত্যিই কোনও প্রয়োজন নেই,” পিয়া বলল। “কিন্তু কিছু যদি না মনে করেন তা হলে একটা কথা জিজ্ঞেস করব? আজকে ওই দ্বীপে যা ঘটেছে তার সঙ্গে কি আপনার এই সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক আছে?”
জবাব দিতে খানিকক্ষণ সময় নিল কানাই। তারপর কিছুটা যেন অনিচ্ছার সঙ্গে বলল, “এসব আমার ঠিক পোষাবে না পিয়া। আজকে ওখানে যা হয়েছে তাতে আমি বুঝে গেছি। যে এ আমার জায়গা নয়।”
“ওখানে হয়েছিলটা কী আমাকে বলুন তো ঠিক করে। আপনি দ্বীপটাতে গিয়ে পৌঁছলেন কী করে?”
“ফকিরই বলেছিল একবার গিয়ে ঘুরে আসা যাক দ্বীপটা থেকে। আর আমিও ভাবলাম দেখেই আসি একবার। না যাওয়ার কী আছে? এই হল ব্যাপার।”
বিষয়টা নিয়ে যে কানাইয়ের কথা বলার খুব একটা ইচ্ছে নেই সেটা বোঝা গেলেও আবার প্রশ্ন করল পিয়া, “দোষটা কি তা হলে ফকিরের? ও কি ইচ্ছে করে আপনাকে ওখানে রেখে চলে এসেছিল?”
“না,” স্পষ্ট গলায় বলল কানাই। “আমিই আসলে কাদায় পড়ে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ও আমাকে সাহায্যই করতে চেয়েছিল–কিন্তু আমিই ওকে গালাগাল করে বলেছিলাম চলে যেতে। ওকে দোষ দেওয়াটা ঠিক না।” কথাটা শেষ করেই ঠোঁটটা একটু ফাঁক করল কানাই, যেন পিয়াকে বলতে চায় এই নিয়ে আর কোনও আলোচনা করতে রাজি নয় ও।
“আপনি তো মনে হচ্ছে মন ঠিকই করে ফেলেছেন,” পিয়া বলল। “তা হলে আর আটকানোর চেষ্টা করব না আমি। ক’টা নাগাদ রওয়ানা হওয়ার প্ল্যান করছেন?”
“ভোরবেলা,” কানাই বলল। “হরেনের সঙ্গে কথা বলে নেব। ঠিক সময়ে যদি বেরিয়ে যেতে পারি তা হলে আমাকে লুসিবাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ও সন্ধে নাগাদ ফিরে আসতে পারবে এখানে। আপনি তো বোধহয় এমনিতেই সারাটা দিন ফকিরের নৌকোতে ঘুরে ঘুরে কাটাবেন।”
“সেরকমই ইচ্ছে,” বলল পিয়া।
“তা হলে তো দিনের বেলা বোটটা আপনার কোনও কাজে লাগবে না, কী বলেন? কিছু অসুবিধা নিশ্চয়ই হবে না।”
কানাইয়ের সঙ্গে এই ক’দিন যেটুকু সময় কাটিয়েছে সে কথা মনে পড়তে একটু খারাপ লাগল পিয়ার। “না। অসুবিধা হবে না,” বলল ও। “তবে আপনার সঙ্গে আড্ডাটা মিস করব। এই ক’দিন সময়টা বেশ ভাল কেটেছে আমার। খুব এনজয় করেছি।”
“আমারও আপনার সঙ্গে সময়টা ভাল কেটেছে, পিয়া।” কথাটা বলে নিজেকে খানিকটা গুছিয়ে নেওয়ার জন্যে যেন একটু চুপ করে গেল কানাই। “আসলে, আমি আশা করেছিলাম–”
“কী?”
“আমি ভেবেছিলাম আপনিও চলে আসবেন… মানে, দিল্লিতে।”
“দিল্লিতে?” কথাটা পিয়ার এত অদ্ভুত লাগল যে একটা হাসির দমক গুরগুরিয়ে উঠে এল পেটের ভেতর থেকে।
“কথাটা হাস্যকর মনে হচ্ছে আপনার?” জিজ্ঞেস করল কানাই।
“সরি কানাই,” তাড়াতাড়ি বলল পিয়া। “আসলে এরকম কিছু একটা আপনি বলবেন আমি আশাই করতে পারিনি। এখান থেকে কত দূরে দিল্লি আর আমার তো এখানে এখন অনেক কাজ।”
“সে আমি জানি,” বলল কানাই। “আমি তো আর আপনাকে এক্ষুনি যেতে বলছিলাম না। ভেবেছিলাম আপনার সার্ভে-টার্ভে শেষ হয়ে গেলে তারপর যদি আসেন।”
কানাইয়ের কথার সুরটা শুনে একটু অস্বস্তি লাগল পিয়ার। মনে পড়ল, প্রথম যখন দেখা হয়েছিল ওর সঙ্গে, ট্রেনে–কী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রত্যেকটা কথা বলছিল, চলাফেরায় কেমন একটা কর্তৃত্বের ভাব ছিল। সেই স্মৃতির সঙ্গে ওর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমতা আমতা করে কথা বলা, দ্বিধাগ্রস্ত এই মানুষটাকে কিছুতেই মেলানো যাচ্ছিল না। ফিরে দাঁড়িয়ে গর্জনতলার দিকে তাকাল পিয়া। দেখল দিগন্ত থেকে সেখানে আস্তে আস্তে উঠে আসছে চাঁদ।
“আপনি ঠিক কী চাইছেন একটু পরিষ্কার করে বলুন তো, কানাইকে জিজ্ঞেস করল পিয়া। “আমাকে দিল্লিতে কেন যেতে বলছেন?”
দু’ চোখের মাঝখানে নাকের হাড়টাকে দু’আঙুলে চেপে ধরল কানাই। যেন ঠিক ঠিক
শব্দগুলো খুঁজে পেতে সুবিধে হবে তাতে। “আমি আপনাকে মিথ্যে কথা বলব না পিয়া ঠিক কী যে বলতে চাইছি সেটা আমি নিজেই জানি না। এইটুকু শুধু বলতে পারি, যে আমি আবার আপনাকে দেখতে চাই। আর আপনি আমাকে আমার নিজের জায়গায় দেখেন, যেখানে’আমি থাকি সেখানে দেখেন, সেটাও চাই।”
দিল্লিতে কানাইয়ের জীবনের একটা ছবি মনে মনে ভাবার চেষ্টা করল পিয়া। কল্পনায় দেখতে পেল বিশাল একটা বাড়ি, নানারকম কাজের লোক সেখানে একজন রান্নার লোক, একজন ড্রাইভার, একজন ফাইফরমাশ খাটার লোক। মনে হল নিজের জীবন থেকে বহু দূরের কোনও ছবি দেখছে, টিভির বা সিনেমার কোনও দৃশ্যের মতো। কল্পনার সেই ছবিকে সিরিয়াসলি নেওয়াটা ওর পক্ষে অসম্ভব। আর এটাও পিয়া জানে, যে মনের এই ভাব লুকোনোটাও ওর পক্ষে সম্ভব নয়।
হাত বাড়িয়ে কানাইয়ের একটা হাত ছুঁল পিয়া। বলল, “শুনুন কানাই, আপনার কথা শুনলাম আমি। খুব ভাল লাগল, বিশ্বাস করুন। যা যা আপনি করেছেন আমার জন্যে, তাতে ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি মন থেকে চাই আপনি ভাল থাকুন, আপনার ভাল থোক। দেখবেন, একদিন ঠিক আপনার মনের মতো কোনও মেয়েকে খুঁজে পাবেন আপনি। কিন্তু আমি সে মেয়ে নই।”
হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল কানাই। বোঝা গেল জবাবটা অপ্রত্যাশিত ছিল, না ওর কাছে। বলল, “কত কী যে আপনাকে বলতে চাই পিয়া। মনে হয় এত কিছু না চাইলে হয়তো বলাটা অনেক সহজ হত। ময়না যেরকম বলে।”
কানাই নামটা উচ্চারণ করতেই যেন একটা ধাক্কা খেল পিয়া। “কী বলে?”
“বলে যে, কথা হল হাওয়ার মতো, শুধু জলের ওপরটায় ঢেউ তোলে, আসল নদীটা বয়ে যায় নীচে তাকে দেখাও যায় না, শোনাও যায় না।”
“তার মানে কী?”
“ফকিরের ব্যাপারে কথা বলতে বলতেই বলেছিল ময়না এটা,” কানাই বলল।
“মানে?”
“ফকির ওর সব, বুঝলেন–মানে, আপনার যদিও সেরকম মনে নাও হতে পারে, কিন্তু ও যেন কীরকম একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে, ভাবছে ফকির ওকে ছেড়ে চলে যাবে।”
“কিন্তু ফকির সেরকম করবে কেন?”
গলা নিচু করল কানাই, “হয়তো আপনার জন্যে।”
“অদ্ভুত কথা বলছেন আপনি কানাই,” প্রতিবাদ করল পিয়া। “এরকম মনে হওয়ার তো কোনও কারণ নেই। ময়নারও না, অন্য কারওরই না।”
“কোনও কারণই কি নেই?”
পিয়া বুঝতে পারছিল আস্তে আস্তে মেজাজটা খারাপ হতে শুরু করেছে ওর। গলার স্বর যতটা সম্ভব শান্ত রেখে বলল, “ঠিক কী বলতে চাইছেন আপনি, কানাই?”
“ময়না কী মনে করে সেটাই বলছি,”নরম সুরে জবাব দিল কানাই। “ওর বিশ্বাস, আপনি ফকিরের প্রেমে পড়েছেন।”
“আর আপনি?” তীক্ষ্ণ গলায় জিজ্ঞেস করল পিয়া। “আপনারও কি একই ধারণা?”
“তা হলে বলেই ফেলি, প্রেমে পড়েছেন নাকি?”
ধারালো, প্রায় কর্কশ গলায় পিয়া বলল, “কথাটা কি আপনি ওর হয়ে জানতে চাইছেন কানাই, না আপনার নিজের প্রয়োজনে জিজ্ঞেস করছেন?”
“কিছু কি এসে যায় তাতে?”
“সে আমি জানি না, কানাই। আপনাকে কী যে বলব আমি জানি না। ওকেও বা কী বলব। তাও বুঝতে পারছি না। আপনার কোনও প্রশ্নেরই উত্তর আমার জানা নেই।” হাত দিয়ে দুই কান চেপে ধরল পিয়া, যেন বাইরে সরিয়ে রাখতে চায় কানাইয়ের গলার আওয়াজ। “শুনুন, আমি দুঃখিত, এই নিয়ে আর একটা কথাও বলতে চাই না আমি।”
চাঁদ উঠে এসেছে গর্জনতলার ঠিক ওপরে। ফটফটে জ্যোৎস্নায় স্নান দেখাচ্ছে আলোর বিন্দুগুলো–আর চোখেই পড়ে না প্রায়। আবছা হয়ে আসা সেই আলোর টিপের দিকে চেয়েছিল পিয়া, মনে করতে চেষ্টা করছিল, মাত্র কয়েক মিনিট আগেও কেমন মোহময় মনে হচ্ছিল সেগুলোকে। “কী সুন্দর লাগছিল, তাই না?”
জবাবটা যখন এল, কানাইয়ের গলাও তখন পিয়ার মতোই আড়ষ্ট। “আমার মেসো থাকলে হয়তো বলত এ হল ভাটির দেশের জাদু।”