এক
সাধারণ ভাবে দেখতে গেলে, লেখক ও পাঠকের মধ্যে যে সম্পর্ক, সেটা দাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক। প্রথম জন দেয়, দ্বিতীয় জন নেয়। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, সম্পর্কটা পারস্পরিক, যাকে বলে মিউচুয়্যাল। পাঠকও দেয়, অনেক সময়Continue Reading
দুই
প্রথমটা চিনতে পারিনি। একটু ঠাহর করে দেখতেই মুখ থেকে অজ্ঞাতসারে বেরিয়ে এল, আপনি! —ভাবছেন, এতদিন পরে খোঁজ পেলাম কি করে? সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বললাম, আপনার কি কোনো অসুখ করেছিল? —অসুখ? হ্যাঁ, তা, বলতেContinue Reading
তিন
দূরত্বের একটা নিজস্ব মহিমা আছে। কাছে থাকতে যার দিকে একবারও ফিরে তাকাইনি, দূরে গেলে তাকেই মনে হবে অপরূপ। সামনে বসে যে আমার মনকে কোনোদিন নাড়া দিল না, একদিন দেখলাম, নাগালের বাইরে গিয়ে সে কখন মনContinue Reading
চার
আমার এই পুরনো চিঠির ঝাঁপিটা যখন খুলে বসি, সকলের আগে যে জিনিসটা চোখে পড়ে এবং দেখে বিস্ময় লাগে, সেটা হচ্ছে চিঠিগুলোর বৈচিত্র্য। একটা হাতের লেখা থেকে আরেকটা হাতের-লেখা যেমন আলাদা—কোনোটা বাঁকা ছাঁদের কোনোটা সোজা—সেই লেখারContinue Reading
পাঁচ
কোনো প্রসিদ্ধ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রবীণ অধ্যাপক একবার আমার জেল ‘ভিজিট’ করতে এসেছিলেন। দিগ্গজ ব্যক্তি। যেমনি পাণ্ডিত্য, তেমনি ভূয়োদর্শন। দু-দুটো ‘ওলজীচে ডক্টর—ক্রিমিনোলজী এবং পিনোলজী। অর্থাৎ একাধারে অপরাধতত্ত্বের ও দণ্ডবিধানে বিশেষজ্ঞ। আমার চাকরি তখন শেষ হব-হবContinue Reading
ছয়
সেকালে কবি এবং কথাশিল্পীর কাজ ছিল রাজার মনোরঞ্জন। একালেও তাই, তবে এক রাজার নয়, বহু রাজার। তখন তাঁর গুণাগুণের বিচার করত রাজ-দরবার, এখন করে জন-দরবার। এ বড় কঠিন ঠাঁই। ‘একটি শ্লোকে স্তুতি গেয়ে’ সে-’রাজার কাছে’Continue Reading
সাত
সে কথা এখন থাক। অভিলাষবাবু যার জন্যে এত গরজ করে আমাকে টেনে নিয়ে এলেন, সেই ব্যাপারটা আগে বলে নিই। যা অনুমান করেছিলাম তাই। আবার একটা নতুন ঝঞ্ঝাট সাধ করে সেধে আনবার প্রয়োজন বোধ করছেন ভদ্রলোক।Continue Reading
আট
এতদিন যেসব জেল-থেকে-ফেরা অচেনা পত্রলেখক ও লেখিকা আমাকে তাদের আত্মকাহিনী শুনিয়েছেন (যার কিছু কিছু আমি পাঠক-দরবারে পেশ করেছি), তাদের দুটো দলে ফেলা যেতে পারে। এক যাঁরা বলতে চেয়েছেন, তাঁরা নিরপরাধ অর্থাৎ বিভ্রান্ত বিচারের বলি, দুই—যাঁরাContinue Reading