সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার জন্য যিনি মহাগ্রন্ত আল-ক়োরআ’নকে মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবে অবতীর্ণ করেছেন, আর অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষিত বর্ষিত হোক ঐ মহামানবের প্রতি যার চরিত্র ছিল ক়োরআ’নের বাস্তব নমুনা। মূলতঃ আল-ক়োরআ’ন মানব জাতির জন্য একটি সংবিধান এবং তাদের মুক্তির দিশারী, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, এই আল-ক়োরআ’ন আজ বহু মুসলমানের নিকট শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ মাত্র, তাই তারা সময়ে সুযোগে আচার অনুষ্ঠানে বরকত স্বরূপ তা তেলাওয়াত করে থাকে। অথচ বাস্তবতা হল এই যে, এই মহাগ্রন্থকে আমলে এনে ইতিহাস স্বীকৃত জাহেলিয়াতের যুগের লোকেরা মহামানব মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ও সাল্লামের) স্বীকৃত সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল, এমন কি এই ক়োরআ’ন অবতীর্ণের পনেরশ বছর পরেও বহু অমুসলিম এই আল-ক়োরআ’ন গবেষণা করে তাঁর সত্যতায় অভিভূত হয়ে শান্তির দ্বীন ইসলাম গ্রহণে নিজেকে ধন্য করছে, অথচ আমাদের অনেক মুসলমান আজ এই আল-ক়োরআ’নকে যথাযথভাবে আমলে না আনার কারণে তারা তাঁর যথাযথ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উর্দুভাষী সুলেখক জনাব ইকবাল কীলানী সাহেব তাঁর লিখিত ‘তালিমাত ক়োরআ’ন মাজীদ’ নামক গ্রন্থে আল-ক়োরআ’নের বিভিন্ন বিষয়সমূহকে দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন যা পাঠে একজন মানুষ আল-ক়োরআ’নের শিক্ষণীয় বিষয় সমূহকে সহজে বুঝতে পারবে এবং আল-ক়োরআ’ন অনুযায়ী জীবন গঠনে আগ্রহী হবে।

আর এই মূল্যবান গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদের দায়িত্ব আমি নগন্যের উপর অর্পিত হলে, একাজে আমার কাঁচা হাত হওয়া সত্বেও আমি তার অনুবাদের কাজ শুরু করি এই আশায় যে, এই গ্রন্থ পাঠে বাংলাভাষী মুসলমান মহাগ্রন্থ আল-ক়োরআ’ন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ করে যথাযথ আমলের মাধ্যমে তারা তাদের ইহকাল এবং পরকালে উপকৃত হবে, আর এই উসীলায় মহান আল্লাহ্ এই গোনাহগারের প্রতি সদয় হয়ে তাকে ক্ষমা করবেন।

পরিশেষে সুহৃদ পাঠকবর্গের প্রতি এই আবেদন থাকল যে, এই গ্রন্থ পাঠান্তে কোন প্রকার ভুলভ্রান্তি তাদের দৃষ্টিগোচর হলে, আর তারা তা আমাকে অবগত করালে আমি পরবর্তী সংস্করণে তা সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্।

১৪/০৭/২০১০

পি. ও. বক্স -৭৮৯৭ (৮২০)

রিয়াদ – ১১১৫৯, কে. এস. এ.

ফকীর ইলা আফভী রাব্বিহি

আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ

মোবাইল : ০৫০৪১৭৮৬৪৪