পঞ্চম পরিচ্ছেদ |

তখনও সূর্যোদয় হয় নাই, পূর্বদিক রঞ্জিত হইয়াছে মাত্র। প্রমীলা আসিয়া নিদ্রিত সুরেন্দ্রনাথের গলা জড়াইয়া ধরিল–মাস্টারমশায়! সুরেন্দ্রনাথের অলস চক্ষু দুটি ঈষৎ উন্মুক্ত হইল–কি প্রমীলা? বড়দিদি এসেছেন। সুরেন্দ্রনাথ উঠিয়া বসিল। প্রমীলার হাত ধরিয়া বলিল, চল, দেখে আসি।Continue Reading

চতুর্থ পরিচ্ছেদ |

মনোরমা মাধবীর বাল্যকালের সখী, তাহাকে বহুদিন পত্র লেখা হয় নাই, উত্তর না পাইয়া সে বিষম চটিয়া গিয়াছিল। আজ দ্বিপ্রহরের পর একটু সময় করিয়া, মাধবী তাহাকে পত্র লিখিতে বসিয়াছিল। এমন সময় প্রমীলা আসিয়া ডাকিল, বড়দিদি! মাধবীContinue Reading

তৃতীয় পরিচ্ছেদ |

আজ চারি বৎসর হইল ব্রজরাজবাবুর পত্নীবিয়োগ হইয়াছে–বুড়া বয়সের এ দুঃখ বুড়াতেই বোঝে। কিন্তু সে কথা যাক–তাঁহার আদরের কন্যা মাধবী দেবী যে এই তার ষোল বৎসর বয়সেই স্বামী হারাইয়াছে–ইহাই ব্রজরাজের শরীরের অর্ধেক রক্ত শুষিয়া লইয়াছে। সাধContinue Reading

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ |

কলিকাতার জনকোলাহলপূর্ণ রাজপথে পড়িয়া সুরেন্দ্রনাথ প্রমাদ গণিল। এখানে তিরস্কার করিবারও কেহ নাই, দিবানিশি শাসনে রাখিতেও কেহ চাহে না। মুখ শুকাইলে কেহ ফিরিয়া দেখে না, মুখ ভারী হইলেও কেহ লক্ষ্য করে না। এখানে নিজেকে নিজে দেখিতেContinue Reading

প্রথম পরিচ্ছেদ |

এ পৃথিবীতে এক সম্প্রদায়ের লোক আছে, তাহারা যেন খড়ের আগুন। দপ্‌ করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেও পারে, আবার খপ্‌ করিয়া নিবিয়া যাইতেও পারে। তাহাদিগের পিছনে সদাসর্বদা একজন লোক থাকা প্রয়োজন–সে যেন আবশ্যক অনুসারে খড় যোগাইয়া দেয়। গৃহস্থ-কন্যারাContinue Reading

বড়দিদি |

কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তাঁর প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু সাহিত্যিকContinue Reading

সংযোজন : তিন |

মধ্যমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং বহরমপুরের রামদাস সেন ও ভ্রাতুষ্পুত্র জ্যোতিষচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকখানি পত্রের পাণ্ডুলিপি নৈহাটী বঙ্কিম ভবনে রক্ষিত আছে। এই পত্রগুলি কোন কোন পত্রিকায় ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়। হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের “ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র”Continue Reading

সংযোজন : দুই |

মধ্যমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং বহরমপুরের রামদাস সেন ও ভ্রাতুষ্পুত্র জ্যোতিষচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকখানি পত্রের পাণ্ডুলিপি নৈহাটী বঙ্কিম ভবনে রক্ষিত আছে। এই পত্রগুলি কোন কোন পত্রিকায় ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়। হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের “ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র”Continue Reading

সংযোজন : এক |

মধ্যমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং বহরমপুরের রামদাস সেন ও ভ্রাতুষ্পুত্র জ্যোতিষচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকখানি পত্রের পাণ্ডুলিপি নৈহাটী বঙ্কিম ভবনে রক্ষিত আছে। এই পত্রগুলি কোন কোন পত্রিকায় ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়। হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের “ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র”Continue Reading

গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়কে লিখিত |

নমস্কার পূর্বক নিবেদন আপনার যাহা বক্তব্য তাহা কাল বৈকালে মুখে মুখেই বলিতে পারিতেন, তথাপি পত্রখানি যে নিজে হাতে করিয়া আনিয়াছিলেন, ইহা আমার বিশেষ সৌভাগ্য কারণ, মুখের কথা তখনই অন্তর্হিত হইত, কিন্তু পত্রখানি যত্ন করিয়া রাখিলেContinue Reading

কুমার বিনয়কৃষ্ণ দেবকে লিখিত |

অশেষ গুণসম্পন্ন শ্রীযুক্ত কুমার বিনয়কৃষ্ণ দেব আশীর্বাদ ভাজনেষু আপনি আমাকে যে কয়েক প্রশ্ন করিয়াছেন, ধর্মশাস্ত্রব্যবসায়ীরাই তাহার উপযুক্ত উত্তর দিতে সক্ষম। আমি ধর্মশাস্ত্রব্যবসায়ী নহি, এবং ধর্মশাস্ত্রবেত্তার আসন গ্রহণ করিতেও প্রস্তুত নহি। তবে সমুদ্রযাত্রা সম্বন্ধে যে আন্দোলনContinue Reading

ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে লিখিত |

[এক] শ্রদ্ধাস্পদেষু তিনকড়ি বাবুর নিকট এক সেট পুস্তক দিয়াছি। তন্মধ্যে আর একটি নূতন পুস্তক ধর্মতত্ত্ব আছে। ঐ গ্রন্থ পাঠকালে আপনার যাহা কিছু মনে উদয় হয় অথবা গ্রন্থকারকে বলিবার প্রয়োজন হয়, তাহা যদি অনুগ্রহ করিয়া মার্জিনেContinue Reading