সাম্প্রতিক সংযোজন
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » চতুর্দশ পরিচ্ছেদ : মোহ
জগৎসিংহ আনত হইয়া দেখিলেন, তিলোত্তমার স্পন্দ নাই। নিজ বস্ত্র দ্বারা ব্যজন করিতে লাগিলেন, তথাপি তাঁহার কোন সংজ্ঞাচিহ্ন না দেখিয়া প্রহরীকে ডাকিলেন। তিলোত্তমার সঙ্গী তাঁহার নিকটে আসিল। জগৎসিংহ তাঁহাকে কহিলেন, “ইনি অকস্মাৎ মূর্ছিতা হইয়াছেন। কে ইঁহারContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ : অঙ্গুরীয় প্রদর্শন
বিমলা গমন করিলে পর, একাকিনী কক্ষমধ্যে বসিয়া তিলোত্তমা যে সকল চিন্তা করিতে ছিলেন, তাহা সুখদুঃখ উভয়েরই কারণ। পাপাত্মার পিঞ্জর হইতে যে আশু মুক্তি পাইবার সম্ভাবনা হইয়াছে, এ কথা মুহুর্মুহুঃ মনে পড়িতে লাগিল; কিন্তু কেবল এইContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » দ্বাদশ পরিচ্ছেদ : অলৌকিক আভরণ
মহোৎসব উপস্থিত। অদ্য কতলু খাঁর জন্মদিন। দিবসে রঙ্গ, নৃত্য, দান, আহার, পান ইত্যাদিতে সকলেই ব্যাপৃত ছিল। রাত্রিতে ততোধিক। এইমাত্র সায়াহ্নকাল উত্তীর্ণ হইয়াছে; দুর্গমধ্যে আলোকময়; সৈনিক, সিপাহী, ওমরাহ, ভৃত্য, পৌরবর্গ, ভিক্ষুক, মদ্যপ, নট, নর্তকী, গায়ক, গায়িকা,Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » একাদশ পরিচ্ছেদ : গৃহান্তর
অপরাহ্নে কথামত ওসমান রাজপুত্র সমক্ষে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, “যুবরাজ! প্রত্যুত্তর পাঠাইবার অভিপ্রায় হইয়াছে কি?” যুবরাজ প্রত্যুত্তর লিখিয়া রাখিয়াছিলেন, পত্র হস্তে লইয়া ওসমানকে দিলেন। ওসমান লিপি হস্তে লইয়া কহিলেন, “আপনি অপরাধ লইবেন না; আমাদের পদ্ধতি আছে,Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » দশম পরিচ্ছেদ : প্রতিমা বিসর্জন
বলা বাহুল্য যে, জগৎসিংহের সে রাত্রে নিদ্রা আসিল না। শয্যা অগ্নিবিকীর্ণবৎ, হৃদয়মধ্যে অগ্নি জ্বলিতেছে। যে তিলোত্তমা মরিলে জগৎসিংহ পৃথিবী শূন্য দেখিতেন, এখন সে তিলোত্তমা প্রাণত্যাগ করিল না কেন, ইহাই পরিতাপের বিষয় হইল। সে কি? তিলোত্তমাContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » নবম পরিচ্ছেদ : দিগ্গজ সংবাদ
ভৃত্যসঙ্গে গজপতি বিদ্যাদিগ্গজ কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিলে রাজকুমার জিজ্ঞাসিলেন, “আপনি ব্রাহ্মণ?” দিগ্গজ হস্তভঙ্গী সহিত কহিলেন, “যাবৎ মেরৌ স্থিতা দেবা যাবদ্ গঙ্গা মহীতলে, অসারে খলু সংসারে সারং শ্বশুরমন্দিরং।” জগৎসিংহ হাস্য সংবরণ করিয়া প্রণাম করিলেন। গজপতি আশীর্বাদ করিলেন,Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » অষ্টম পরিচ্ছেদ : আরোগ্য
দিন যায়। তুমি যাহা ইচ্ছা তাহা কর, দিন যাবে, রবে না। যে অবস্থায় ইচ্ছা, সে অবস্থায় থাক, দিন যাবে, রবে না। পথিক! বড় দারুণ ঝটিকা বৃষ্টিতে পতিত হইয়াছ? উচ্চ রবে শিরোপরি ঘনগর্জন হইতেছে? বৃষ্টিতে প্লাবিতContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » সপ্তম পরিচ্ছেদ : বিমলার পত্র সমাপ্ত
“আমি পূর্বেই বলিয়াছি যে, গড় মান্দারণের কোন দরিদ্রা রমণী আমার পিতার ঔরসে গর্ভবতী হয়েন। আমার মাতার যেরূপ অদৃষ্টলিপির ফল, ইঁহারও তদ্রুপ ঘটিয়াছিল। ইঁহার গর্ভেও একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে, এবং কন্যার মাতা অচিরাৎ বিধবা হইলে, তিনিContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : বিধবা
“যুবরাজ! আমি প্রতিশ্রুত ছিলাম যে, একদিন আপনার পরিচয় দিব। এখন তাহার সময় উপস্থিত হইয়াছে। ভরসা করিয়াছিলাম, আমার তিলোত্তমা অম্বরের সিংহাসনরূঢ়া হইলে পরিচয় দিব। সে সকল আশাভরসা নির্মূল হইয়াছে। বোধ করি যে, কিছু দিন মধ্যে শুনিতেContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » পঞ্চম পরিচ্ছেদ : বিমলার পত্র
তিলোত্তমা কোথায়? পিতৃহীনা, অনাথিনী বালিকা কোথায়? বিমলাই বা কোথায়? কোথা হইতে বিমলা স্বামীর বধ্যভূমিতে আসিয়া দর্শন দিয়াছিলেন? তাহার পরই আবার কোথায় গেলেন? কেন বীরেন্দ্রসিংহ মৃত্যুকালে প্রিয়তমা কন্যার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন না? কেনই বা নামমাত্রে হুতাশনবৎContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » চতুর্থ পরিচ্ছেদ : অবগুণ্ঠনবতী
দুর্গজয়ের দুই দিবস পরে, বেলা প্রহরেকের সময়ে কতলু খাঁ নিজ দুর্গমধ্যে দরবারে বসিয়াছেন। দুই দিকে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া পারিষদগ্ণ দণ্ডায়মান আছে। সম্মুখস্থ ভূমিখণ্ডে বহু সহস্র লোক নিঃশব্দে রহিয়াছে। অদ্য বীরেন্দ্রসিংহের দণ্ড হইবে। কয়েকজন শস্ত্রপাণি প্রহরী বীরেন্দ্রসিংহকেContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » তৃতীয় পরিচ্ছেদ : তুমি না তিলোত্তমা
পরদিন প্রদোষকালে জগৎসিংহের অবস্থান-কক্ষে আয়েষা, ওসমান আর চিকিৎসক পূর্ববৎ নিঃশব্দে বসিয়া আছেন; আয়েষা পালঙ্কে বসিয়া স্বহস্তে ব্যজনাদি করিতেছেন; চিকিৎসক ঘন ঘন জগৎসিংহের নাড়ী দেখিতেছেন; জগৎসিংহ অচেতন; চিকিৎসক কহিয়াছেন, সেই রাত্রে জ্বরত্যাগের সময়ে জগৎসিংহের লয় হইবারContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : কুসুমের মধ্যে পাষাণ
কুসুমের মধ্যে পাষাণসেই দিবস অনেক রাত্রি পর্যন্ত আয়েষা ও ওসমান জগৎসিংহের নিকট বসিয়া রহিলেন। জগৎসিংহের কখন চেতনা হইতেছে, কখন মূর্ছা হইতেছে; হকিম অনেকবার আসিয়া দেখিয়া গেলেন। আয়েষা অবিশ্রান্তা হইয়া কুমারের শুশ্রূষা করিতে লাগিলেন। যখন দ্বিতীয়Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » প্রথম পরিচ্ছেদ : আয়েষা
আয়েষা, জগৎসিংহ যখন চক্ষুরুন্মীলন করিলেন, তখন দেখিলেন যে, তিনি সুরম্য হর্ম্যমধ্যে পর্যঙ্কে শয়ন করিয়া আছেন। যে ঘরে তিনি শয়ন করিয়া আছেন, তথায় যে আর কখন আসিয়াছিলেন, এমত বোধ হইল না; কক্ষটি অতি প্রশস্ত, অতি সুশোভিত;Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » দ্বিতীয় খণ্ড » দ্বিতীয় খণ্ড
দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের এই খণ্ডে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কতলু খাঁর কন্যা আয়েষার ও মানসিংহ পুত্র জগৎসিংহের প্রেমকাহিনী বর্ণনা করেছেন। এই কাহিনীর ঐতিহাসিক ভিত্তি একেবারে না থাকলেও এতে মুসলিম সম্প্রদায় এতে বঙ্কিমচন্দ্রকে মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে বিবেচনা করেছেন। যাইContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » প্রথম খণ্ড » একবিংশ পরিচ্ছেদ : খড়্গে খড়্গে
বিমলাকে দেখিয়া জগৎসিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিসের কোলাহল?” বিমলা কহিলেন, “পাঠানের জয়ধ্বনি। শীঘ্র উপায় করুন; শত্রু আর তিলার্ধ মাত্রে এ ঘরের মধ্যে আসিবে।” জগৎসিংহ ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিলেন, “বীরেন্দ্রসিংহ কি করিতেছেন?” বিমলা কহিলেন, “তিনি শত্রুহস্তে বন্দীContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » প্রথম খণ্ড » বিংশ পরিচ্ছেদ : প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে
বিমুক্তি লাভ করিয়া বিমলার প্রথম কার্য বীরেন্দ্রসিংহকে সংবাদ দান। ঊর্ধ্বশ্বাসে বীরেন্দ্রের শয়নকক্ষাভিমুখে ধাবমানা হইলেন। অর্ধপথ যাইতে না যাইতেই “আল্লা – আল্লা – হো” পাঠান সেনার চীৎকারধ্বনি তাঁহার কর্ণে প্রবেশ করিল। “এ কি পাঠান সেনার জয়ধ্বনি!”Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » প্রথম খণ্ড » ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ : প্রেমিকে প্রেমিকে
বিমলা যখন দেখিলেন যে, চতুর ওসমান অন্যত্র গেলেন, তখন তিনি ভরসা পাইলেন যে কৌশলে মুক্তি পাইতে পারিবেন। শীঘ্র তাহার উপায় চেষ্টা করিতে লাগিলেন। প্রহরী কিয়ৎক্ষণ দণ্ডায়মান থাকিলে বিমলা তাহার সহিত কথোপকথন আরম্ভ করিলেন। প্রহরী হউক,Continue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » প্রথম খণ্ড » অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ : চতুরে চতুরে
বিমলা আসিয়া নিজ কক্ষে পালঙ্কের উপর বসিলেন। বিমলার মুখ অতি হর্ষপ্রফুল্ল; তিনি গতিকে মনোরথ সিদ্ধ করিয়াছেন। কক্ষমধ্যে প্রদীপ জ্বলিতেছে; সম্মুখে মুকুর; বেশভূষা যেরূপ প্রদোষকালে ছিল, সেইরূপই রহিয়াছে; বিমলা দর্পণাভ্যন্তরে মুহূর্তজন্য নিজ প্রতিমূর্তি নিরীক্ষণ করিলেন। প্রদোষকালেContinue Reading
দূর্গেশনন্দিনী » প্রথম খণ্ড » সপ্তদশ পরিচ্ছেদ : বীরপঞ্চমী
উভয়ে শৈলেশ্বর প্রণাম করিয়া, সশঙ্কচিত্তে গড় মান্দারণ অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কিঞ্চিৎ নীরবে গেলেন। কিছু দূর গিয়া রাজকুমার প্রথমে কথা কহিলেন, “বিমলে, আমার এক বিষয়ে কৌতূহল আছে। তুমি শুনিয়া কি বলিবে বলিতে পারি না।” বিমলা কহিলেন,Continue Reading