প্রথম পরিচ্ছেদ : শাহজাদী অপেক্ষা দুঃখী ভাল

বলিয়াছি, মবারক রণভূমিতে পর্‍বতের সানুদেশে সহসা অদৃশ্য হইলেন। অদৃশ্য হইবার কারণ, তিনি যে পথে অশ্বারোহণে সৈন্য লইয়া যাইতেছিলেন, তাহার মধ্যে একটা কূপ ছিল। কেহ পর্‍বতোপরি বাস করিবার অভিপ্রায়ে জলের জন্য এই কূপটি খনন করিয়াছিল। এক্ষণেContinue Reading

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : রাজসিংহের পরাভব

রাজসিংহ উদয়পুরে আসিলেন বলিয়াছি। চঞ্চলকুমারীর উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ, এজন্য চঞ্চলকুমারীকেও উদয়পুরে লইয়া আসিয়া রাজাবরোধে সংস্থাপিত করিলেন। কিন্তু তাঁহাকে উদয়পুরে রাখিবেন, কি রূপনগরে তাঁহার পিতার নিকট পাঠাইয়া দিবেন, ইহার মীমাংসা তাঁহার পক্ষে কঠিন হইল। তিনি যতContinue Reading

তৃতীয় পরিচ্ছেদ : অগ্নি জ্বালাইবার প্রয়োজন

রূপনগরের অধিপতির উত্তর উপযুক্ত সময়ে পৌঁছিল। উত্তর বড় ভয়ানক। তাহার মর্‍ম এই;-রাজসিংহকে তিনি লিখিতেছেন, “আপনি রাজপুতানার মধ্যে সর্‍বপ্রধান। রাজপুতানার মুকুটস্বরূপ। এক্ষণে আপনি রাজপুতের নামে কলঙ্ক দিতে প্রস্তুত। আপনি বলপূর্‍বক আমার অপমান করিয়া, আমর কন্যাকে হরণContinue Reading

চতুর্থ পরিচ্ছেদ : অগ্নি জ্বালাইবার আরও প্রয়োজন

মাণিকলালের কাছে নির্‍মল শুনিল যে, চঞ্চলকুমারী রাজমহিষী হইলেন। কিন্তু কবে বিবাহ হইল, বিবাহ হইয়াছে কি না, তাহা মাণিকলাল কিছুই বলিতে পারিল না। নির্‍মল তখন স্বয়ং চঞ্চলকুমারীকে দেখিতে আসিলেন।অনেক দিনের পর নির্‍মলকে দেখিয়া চঞ্চলকুমারী অত্যন্ত আনন্দিতাContinue Reading

পঞ্চম পরিচ্ছেদ – সে প্রয়োজন কি?

নির্মল শিবিকারোহণে দাস-দাসী সঙ্গে লইয়া রাণার অন্ত:পুরাভিমুখে চলিতেছেন। পথিমধ্যে বড় চক বা চৌক। তাহার একটা বাড়ীতে বড় লোকের ভিড়। নির্‍মলের দোলা বহুমূল্য বস্ত্রে আবৃত ছিল। কিন্তু জনমর্‍দের শব্দে তিনি কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া, আবরণ উদ্ঘাটিত করিয়া দেখিলেন।Continue Reading

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ – আগুন জ্বালিবার প্রস্তাব

চঞ্চলকুমারীর হরণে ভারতবর্ষে যে আগুন জ্বলিল, তাহাতে হয় মোগল সাম্রাজ্য, নয় রাজপুতানা ধ্বংস প্রাপ্ত হইত। কেবল মহারাণা রাজসিংহের দয়া-দাক্ষিণ্যের জন্য এতটা হইতে পারে নাই। সেই আশ্চর্‍য ঘটনাপরম্পরা বিবৃত করা, উপন্যাস গ্রন্থের উদ্দেশ্য হইতে পারে না।Continue Reading